|
|
|
|
নিরাপত্তা যাচাইয়ে সিপি-র মণ্ডপসফর |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পুজোর সময় শহরের নিরাপত্তা সব সময়েই কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আর সাম্প্রতিক দিল্লি বিস্ফোরণের পরে তা আরও বেড়েছে। সেই প্রেক্ষিতে পুজোর প্রায় এক সপ্তাহ আগেই, শুক্রবার শহরের বিভিন্ন পুজোমণ্ডপ পরিদর্শন করলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা-সহ লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তারা। নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পুজো কমিটির কর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশও দিলেন তাঁরা।
লালবাজার সূত্রের খবর, পুজোর ভিড়ে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দমকল বা পুলিশের গাড়ি ঢোকাটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সেই কথা মাথায় রেখেই মণ্ডপে জরুরি দরজার কথা বলেছিলেন পুলিশ ও দমকল কর্তারা। কিন্তু এ দিন পরিদর্শনে গিয়ে লালবাজারের কর্তারা দেখেন, অনেক পুজো কমিটিই সেই দরজা এখনও তৈরি করেনি। দক্ষিণ কলকাতার বাবুবাগানের পুজোমণ্ডপে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কমিশনার। ওই মণ্ডপের জরুরি দরজা কোথায়, তা জিজ্ঞাসা করা হলে পুজোকমিটির কর্তারা মণ্ডপ সংলগ্ন একটি পাঁচিল ভেঙে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে পুলিশকর্তাদের জানান। কিন্তু কমিশনার তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ব্যবস্থা নয়, জরুরি দরজাই করতে হবে। পুলিশ জানিয়েছে, শুধু বাবুবাগান নয়, জরুরি দরজার সমস্যা রয়েছে আরও বেশ কয়েকটির ক্ষেত্রে। কিছু ক্ষেত্রে মণ্ডপের উচ্চতা নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় পুজোকর্তাদের প্রশ্নও করেন তাঁরা।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর দরজাও অনেক ক্ষেত্রে চওড়া করতে বলা হয়েছে। যে সব মণ্ডপে কাদা রয়েছে সেখানে বালি ফেলে শুকনো করতে বলা হয়েছে।” পুজোকমিটিগুলি পুলিশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলেও কমিশনার জানান।
এ দিন বাঁশের তৈরি ওভারহেড গেট নিয়েও আপত্তি জানান কমিশনার। পুলিশের দাবি, বাঁশের তৈরি ওই গেট নিরাপদ নয়। কসবা বোসপুকুর শীতলামন্দির পুজোকমিটি রাস্তার উপরে তিনটি ওভারহেড গেট তৈরি করেছিল। কিন্তু তা রাখা যাবে না বলে কমিশনার এ দিন পুজো কমিটির কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন।
দক্ষিণ কলকাতার পরে কমিশনারের কনভয় পৌঁছয় মধ্য ও উত্তর কলকাতায়। সেখানে কলেজ স্কোয়ারের পুজোমণ্ডপের একপাশে পুরসভার একটি লোহার কাঠামো রয়েছে। একটি শহিদবেদীকে ঘিরে রেখেছে ওই কাঠামো। দর্শনার্থীদের যাতায়াতের অসুবিধা হবে, সেই কারণে ওই লোহার কাঠামো কেটে ছোট করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। পরিদর্শনে উপস্থিত এক পুর ইঞ্জিনিয়ারকে ওই বিষয়ে নজর দিতে বলেন তিনি। এর পর শিয়ালদহ অ্যাথলেটিক ক্লাব ও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ঘুরে দুপুর ১টা নাগাদ লালবাজার ফিরে যায় কমিশনারের কনভয়। |
|
|
|
|
|