আগামী মার্চের মধ্যে ১৬ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে রাজ্যের নতুন সরকার। এই লক্ষ্যে পৌঁছতে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান সংগ্রহ করতে ‘ধান বাজার’ ও ‘বিশেষ শিবির’ করবে তারা। চলতি আর্থিক বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪.৪ লক্ষ মেট্রিন টন চাল সংগ্রহ করা হবে।
কৃষিপণ্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করে তোলার বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় উপরের দিকেই আছে। এই কারণে চাল সংগ্রহ ও বণ্টনের কাজ সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার অধীনে একটি স্থায়ী কমিটিও তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, শনিবার সেই কমিটির প্রথম বৈঠক হতে চলেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। কমিটি তৈরি হয়েছে ছ’জন মন্ত্রীকে নিয়ে। বৈঠকের জন্য তৈরি রিপোর্টেই এই সব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বছরে মোট ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন চালের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রেশন ব্যবস্থায় এপিএল এবং বিপিএলের জন্য চাল প্রয়োজন যথাক্রমে দু’লক্ষ এবং ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন। এ ছাড়া রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য চাল লাগে তিন লক্ষ মেট্রিক টন। এপিএলের জন্য ভাল মানের চাল লাগে। সেই চাল ফুড কর্পোরেশন থেকে কিনতে হয়। কারণ, ওই মানের চাল এ রাজ্যে উৎপন্ন হয় না। সেবাকাজের চালও ফুড কর্পোরেশন থেকে কিনে নেয় রাজ্য।
এ বছর চাল সংগ্রহের জন্য তিনটি ব্যবস্থার উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, রাজ্যের ১০১৮টি চালকল থেকে ‘লেভি’ বাবদ পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করবে খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। দ্বিতীয়ত, সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে ৭.৭৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করবে। তৃতীয়ত, ফুড কর্পোরেশন থেকে সংগ্রহ করা হবে ৩.২৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল। সব মিলিয়ে ১৬ লক্ষ মেট্রিক টন। গত বছরের মতো এ বারেও সরকারের অধীন ছ’টি সংস্থা চাল সংগ্রহের কাজ করবে। তবে তাদের কাজকর্মের উপরে কড়া নজর রাখা হবে। |