|
|
|
|
স্কুলে রান্নার কাজ মেলেনি, অনশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর বদলে মিড-ডে মিলের কাজ করছেন স্কুলের সঙ্গে যুক্ত লোকজন অথবা পরিচালন সমিতির সদস্যদের আত্মীয়েরা। এই অভিযোগে শুক্রবার গলসি ১ ব্লক অফিসে অনশন শুরু করেছেন বুদবুদ থানা এলাকার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর প্রায় তিনশো সদস্য। জেলাশাসক ওঙ্কারসিংহ মিনা অবশ্য জানান, মিড-ডে মিল কে রান্না করবেন তা ঠিক স্কুল কর্তৃপক্ষই ঠিক করবেন।
বুদবুদ থানার কসবা রাধারানি বিদ্যামন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু হয়েছে মঙ্গলবার। অভিযোগ, স্কুল পরিচালন সমিতি কোনও স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীকে না নিয়ে রান্নার দায়িত্ব দিয়েছে পরিচালন সমিতির সদস্যদের নিকট আত্মীয়দের। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলির তরফে প্রতিমা বাগদি জানান, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী রান্নার দায়িত্ব দিতে হবে তাঁদের কোনও গোষ্ঠীকে। কিন্তু স্কুল পরিচালন সমিতি তা মানছে না। তাঁর অভিযোগ, “স্কুলের সদ্য প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক স্বপনকুমার ঘোষের কথাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালন সমিতি। আমাদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। স্কুলে গেলে বের করে দেওয়া হয়েছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
পরিচালন সমিতির সভাপতি সুশীল ঘোষ অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “মিড-ডে মিল চালু করার ব্যাপারে প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে কাজ হয়েছে। পক্ষপাত বা স্বজনপোষণের কোনও প্রশ্নই নেই।” স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি স্বপনবাবুর দাবি, স্কুলে যাতে সুষ্ঠু ভাবে মিড-ডে মিল চালু থাকে সেই পরামর্শই দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমি প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন স্কুলে এক দিন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর কিছু সদস্যা এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। আমি পুলিশে খবর দিলে তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।” তাঁর পাল্টা দাবি, হাইস্কুলে মিড-ডে মিল রান্না স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীকে দিয়েই করাতে, হবে এমন কোনও নির্দেশিকার কথা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, “মাধ্যমিক শিক্ষা দফতর থেকে কোনও নির্দেশিকা এখনও আসেনি। তা ছাড়া, যাঁরা রান্নার কাজ করছেন তাঁদের অধিকাংশই দুঃস্থ পরিবারের সদস্য।”
জেলাশাসক জানান, আদালতের নির্দেশে স্কুলের উচ্চ প্রাথমিক বিভাগে মিড-ডে মিল চালু বাধ্যতামূলক। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা দাবি জানাতেই পারেন, কিন্তু মিড-ডে মিল রান্নার ব্যবস্থার দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের। তিনি বলেন, “প্রশাসন প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করবে। সুষ্ঠু ভাবে মিড-ডে মিল চালু রাখার দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের।” |
|
|
|
|
|