এসেছে এমনই সব মুখোশ। ছবিটি তুলেছেন শৈলেন সরকার। |
ব্যবহার করা হবে প্রচুর মুখোশ। পুজোর জন্য চড়িদার শিল্পীরাই সে সব মুখোশ বানিয়ে দিচ্ছেন। সপরিবারে দুর্গা প্রতিমা বানানো হচ্ছে ছৌ নাচের মুখোশ দিয়েই। উদ্যোক্তারা জানালেন, এই পুজো মণ্ডপে হাজির থাকবেন ছৌ শিল্পীরা। প্রতি দিনই মণ্ডপে নাচের অনুষ্ঠান দেখাবেন তাঁরা। উদ্যোক্তারা চাইছেন, মণ্ডপে এসে দর্শনার্থীরা যেন পুরোপুরি ছৌ গ্রামের স্বাদ পান। রাতেও ঠিক দিনের আলোর মতোই গ্রামটিকে তুলে ধরতে প্রচুর জোরালো আলোর ব্যবস্থা থাকছে।
দেবজিৎবাবু জানালেন, নিছকই কল্পনা থেকে নয়। গ্রাম তৈরির কাজে নামার আগে তিনি এবং পুজোর উদ্যোক্তারা বেশ কয়েক বার ওই গ্রামে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। কুঁড়ে ঘরে মাটির দাওয়ায় বসে তাঁদের সঙ্গে মোটা চালের ভাত আর পোড়া লঙ্কা দিয়ে মাখা আলু সেদ্ধ খেয়েছেন। শুনেছেন তাঁদের জীবন ও জীবিকার কথা। এর পরেই তারা কাজে নেমেছেন। মণ্ডপ সজ্জার কাজে হাত দিয়েছেন জুলাই মাস থেকে। মাটি আর কাপড় দিয়ে বানানো হচ্ছে মণ্ডপ। দুমকা থেকে প্রায় পাঁচ হাজার মাটির খোলা আনা হয়েছে কুঁড়ে ঘরের ছাউনি বানানোর জন্য। মণ্ডপ সাজাতে প্রায় সাতশো মুখোশ আনানো হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এ বার তাঁদের মণ্ডপ শিল্পাঞ্চলের দর্শনার্থীদের তাক লাগিয়ে দেবে।
ভয় কেবল বৃষ্টিকে। প্রকৃতিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ‘ছৌ গ্রামে’র থিম নিয়ে হাজির তাঁরা। |