পাঁচ ঘণ্টা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের থাকার কথা। কিন্তু দুপুর ১টার পরে কোনও চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ক্ষুব্ধ মহকুমাশাসক। ঘটনাটি রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে হঠাৎ পরিদর্শনে যান মহকুমাশাসক তথা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বৈভব শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন, “নিয়ম রয়েছে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের থাকতে হবে। গিয়ে দেখি ১টার পরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে দু’তিন জন চিকিৎসক ছাড়া বাকিদের দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, সুপারও এ দিন হাসপাতালে ছিলেন না।” এ ছাড়া তিনি আরাও নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ে। মহকুমাশাসক জানান, প্রসূতি বিভাগে পুরুষদের দেখা গিয়েছে। এক্সরেও বন্ধ ছিল। এ সব ব্যাপারে তিনি সুপারকে শো-কজ করার জন্য চিন্তাভাবনা করা হবে এবং জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও জানাবেন। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “আমি কাজে বাইরে ছিলাম। পরে মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। এক্সরে প্লেট নিয়মিত ভাবে আসছে না। পরে এক্সরে প্লেট আসায় কাজ শুরু হয়।” বহির্বিভাগে চিকিৎসক না থাকার প্রশ্নে সুপার বলেন, “এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল। আমি চিকিৎসকদের একাধিকবার বলেছি। আর নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারির অভাবের জন্য প্রসূতি বিভাগে পুরুষেরা ঢুকে পড়ছেন।”
|
এইচআইভি পজিটিভ এক তরুণীর প্রসব হল শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই প্রথমবার কোনও এইচআইভি পজিটিভ প্রসূতির প্রসব হল এই হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বছর ছাব্বিশের ওই তরুণীর বাড়ি সিঙ্গুরে। বুধবার রাতে তাঁর সন্তান হয়। প্রসবের সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিশেষ ধরনের কিট (প্রোটেকশন কিট) ব্যবহার করেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো এইচআইভি আক্রান্ত প্রসূতিরা আসেন। কিন্তু ওই রোগের কথা তাঁরা গোপন করে যান। ফলে, চিকিৎসকদের পক্ষে তা বোঝা সম্ভব হয় না। তাই, আলাদা করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নেওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলেরই ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট জয়ন্ত সান্যাল জানান, এক জন এইচআইভি আক্রান্ত প্রসূতির সন্তানের ৩০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে ওই রোগে আক্রান্ত হওয়ার। আগে থেকে মায়ের রোগের কথা জানা থাকলে জন্মের পরেই বাচ্চাকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়। জয়ন্তবাবু বলেন, “এ ক্ষেত্রে মহিলার রোগের কথা জানা থাকায় জন্মের পরেই বাচ্চাটিকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। তাকে মায়ের দুধও দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি বলেন, “রক্তের সংযোগ ছাড়া এই রোগ সংক্রামিত হয় না। ফলে, অন্য রোগীদেরও আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।”
|
পেটের অসুখ দেখা দিয়েছে দাঁতন-১ ব্লকের আইকোলা পঞ্চায়েতের ষড়রং পূর্বপাড়ায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার এলাকার পাঁচটি পরিবার চিকিৎসার জন্য বালেশ্বরে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবারও কয়েকজনকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, বৃষ্টিতে এলাকায় জমে থাকা জল থেকে এই রোগ ছড়াচ্ছে। এ দিকে, কংগ্রেস নেতা ফিরোজ খান অভিযোগ তোলেন, “এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা না পাওয়ায় অসুস্থদের অনেকে ওড়িশায় যেতে বাধ্য হয়েছেন।” বিডিও তিলকমৌলি রক্ষিত বলেন, “বিএমওএইচকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।” বিএমওএইচ সঞ্জীব রানা অবশ্য বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধও।”
|
প্রসূতিদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ‘সিজার’ চালু হল সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, স্থানীয় সাংসদ রত্না দে নাগের তহবিলের ৪ লক্ষ টাকায় সেখানে সিজার মেশিন কেনা হয়। বৃহস্পতিবার এর উদ্বোধন করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। |