অধ্যক্ষকে হুমকি, অভিযুক্ত ৫ ছাত্র
ধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর এবং তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল মাজদিয়ার সুধীরঞ্জন লাহিড়ী কলেজের পাঁচ ছাত্রের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে অধ্যক্ষ সরজেন্দ্রনাথ কর ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রশান্ত অধিকারী। অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর দলের আরও এক সমর্থকের বিরুদ্ধেও। বাকি তিন জন ছাত্র অবশ্য তৃণমূল নয়। তাঁরা এসএফআই-এর সমর্থক।
অধ্যক্ষের অভিযোগ, বুধবার বিকেলে ভুগোল অনার্সে এক ছাত্রকে ভর্তি করানোর দাবিতে প্রথমে এসএফআই-এর ছাত্রেরা তাঁর ঘরে ঢুকে অনুরোধ-উপরোধ শুরু করে। কিন্তু এই সময়ে ভর্তির কোনও সুযোগ না থাকায় অধ্যক্ষ স্পষ্টই তাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর ‘অক্ষমতার’ কথা। সরজেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “ভর্তির প্রক্তিয়া কবেই নবন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন জোর করলে ভর্তি করা যায়!” ভর্তি করা সম্ভব নয়, ছাত্রদের স্পষ্ট করে এ কথা জানাতেই এ বার ওই ছাত্রেরা তাদের ‘স্বরূপ’ ধরে। অধ্যক্ষকে বিশ্রী ভাষায় তারা গালমন্দ করতে থাকে বলে সরজেন্দ্রনাথবাবুর জানান।
এই সময়ে ঘরে আচমকা হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে তৃণমূলের সমর্থকেরা। এত দিনের বিরোধীদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে তারাও ওই ‘বিশেষ’ ছাত্রটির ভর্তির জন্য তদ্বির করতে থাকে। প্রথমে নিচু স্বরে, তারপরে প্রবল চেঁচামেচি এবং অশ্রাব্য গালিগালাজ-সহ। এই সময়েই তাঁকে মারধরের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। অধ্যক্ষের ঘরের চেয়ার টেবিও বাঙচুর করা হয়।
অভিযুক্ত তৃণমূল সমর্থক প্রশান্ত অধিকারী অবশ্য অধ্যক্ষের ওই অভিযোগ মানতে চায়নি। ওই ঘটনার দায় এসএফআই-এর বিরুদ্ধে চাপিয়ে ওই ছাত্রটির দাবি, “এস এফ আইয়ের ছেলেরা ওখানে ছিল। আমি শুধু দেখতে গিয়েছিলাম চেঁচামেচি হচ্ছে কেন।” অন্য দিকে, এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক কৌশিক দত্ত বলেন, “ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নন। যা করার তা তৃণমূলের ছেলেরাই করেছে। তারপর চেনা সুরে তারা দোষ চাপিয়েছে আমাদের সমর্থকদের উপরে।”
তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি জয়ন্ত পাল জানিয়েছেন, ওই কলেজে তাঁদের ছাত্র সংগঠনের বেশ কয়েকজন সম্পর্কে কিছু ‘তথ্য’ তাঁর কাছে এসেছে। তিনি জানান, কলেজে বেশ কিছু ছেলে ছাত্র-ভর্তি নিয়ে ‘দুর্নীতি’ করছে। জয়ন্ত বলেন, “মাজদিয়ার ওই কলেজে আমাদের দু’এক জন কর্মীর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তি করানোর অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে দলীয় ভাবে তদন্তও করা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অধ্যক্ষের অভিযোগ পেয়ে তারা এ ব্যাপারে তদন্তও শুরু করেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.