বিলের দাবি করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে কোচবিহার শহরের দিনহাটা রোড সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে। এদিনই পুরো বিষয়টি জানিয়ে কোচবিহার কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের আত্মীয়রা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ফারজান বিবি (১৯)। বাড়ি মাথাভাঙ্গার বড়খলিসামারিতে। ১ সেপ্টেম্বর সন্তানসম্ভবা ওই মহিলা কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। পরদিন তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, ১৬ সেপ্টেম্বর ফারজান বিবির ছুটির ব্যপারে যোগাযোগ করলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকার বিল মেটাতে বলেন। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ওই বিল মেটাতে পারেননি প্রসূতির পরিবার। তার পর থেকে চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নার্সিংহোমের তরফে শুভজিৎ কুণ্ডু বলেন, “সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ওই রোগিণীকে ভর্তি করানো হয়। অগ্রিম ছাড়াই টানা দু’সপ্তাহ আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করানো হয়। বিল মেটাতে সমস্যার কথা জানানোয় ২০ হাজার টাকা ছাড় দিতে রাজি হই। তাও চিকিৎসা চলছিল। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এ দিন তাঁর মৃত্যু হলে যে সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।” প্রসূতির স্বামী মোতাজুল মিয়াঁ বলেন, “মাথাভাঙ্গা হাসপাতাল রেফার করায় স্ত্রীকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। দালাল চক্রের লোকজন নার্সিংহোমে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। কত খরচ হতে পারে বলা হয়নি। স্ত্রী চিকিৎসাধীন থাকার সময় ৩১ হাজার টাকা মিটিয়ে দিই। তাও ছুটির দিন ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দাবি করা হয়। দিতে পারিনি তাই চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার জন্যই স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।”
|
অকেজো ফুসফুসকে বিশ্রাম দিয়ে রক্তে অক্সিজেন সঞ্চালন করা হল দেহের বাইরে। টানা সাত দিন এ ভাবে ফুসফুসকে নিষ্ক্রিয় রেখে তার অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে রোগীকে নতুন জীবন দিলেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসা পরিভাষায় এই পদ্ধতির নাম ‘এক্সট্রা কর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন’ (ইসিএমও)। বাইপাসের কাছে এক হাসপাতালে এই পদ্ধতিতে বাঁচানো হল ৫৪ বছরের এক রোগীকে। হাসপাতালের অধিকর্তা কুণাল সরকার বলেন, “ওপেন হার্ট সার্জারিতে হার্ট-লাং মেশিন ব্যবহার করে হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুসকে মাত্র কয়েক ঘণ্টা নিষ্ক্রিয় রাখা যায়। ইসিএমও তা রাখা যায় টানা ১০-১৫ দিন। ফুসফুসের উন্নতি হলে দেহকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো হয়।” নিউমোনিয়া বা সোয়াইন ফ্লু’র ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিই রোগীকে বাঁচাতে পারে বলে চিকিৎসকদের দাবি। |