“কলেজেস উইথ পোটেনসিয়াল ফর এক্সিলেন্স’ সম্মান পেল রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়। এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চিঠি মঙ্গলবারই পেয়েছেন গোপ কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর জন্য উন্নয়ন খাতে ১ কোটি টাকাও পাবে কলেজ। ৩ বছরের মধ্যে সেই টাকা খরচ করতে হবে। গোপ কলেজের অধ্যক্ষ উদয়চাঁদ পাল বলেন, “এই সম্মান অতি গর্বের। এর জন্য ইউজিসি যে অর্থ দেবে তাতে স্মার্ট ক্লাস (যেখানে থাকবে প্রোজেক্টর, লাউড স্পিকার ও মাইক) চালুর পাশাপাশি অন্য উন্নয়নমূলক কাজও করতে পারব।” প্রসঙ্গত, ছাত্রছাত্রীদের রেজাল্ট, কলেজের পরিকাঠামো, কতগুলি বিভাগে পড়ানো হয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে কলেজের ভূমিকা এ সব দেখেই বিশেষ এই সম্মান দেয় ইউজিসি। এর জন্য ২০১০ সালে আবেদন জানিয়েছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তার পরই বিশেষ প্রতিনিধি দল কলেজ পরিদর্শন করে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দু’টি কলেজকে এই সম্মান দেওয়ার জন্য রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে গোপ কলেজ এই সম্মান পেল।
সামাজিক কর্মকাণ্ডেও পিছিয়ে নেই গোপ কলেজ। গ্রামের দরিদ্র মহিলাদের স্বনির্ভর করতে রঙিন মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হল কলেজের উদ্যোগে। মঙ্গলবার এর সূচনা করে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “পঞ্চায়েত এলাকায় এমন অনেক কলেজ রয়েছে। প্রত্যেকেই এ ভাবে উদ্যোগী হলে সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হবেন।” কলেজের অধ্যক্ষ উদয়চাঁদ পালের কথায়, “কলেজের ছাত্রীদের স্বনির্ভর করতে আমরা নানা ব্যবস্থা করি। সাফল্যও মিলেছে। এ বার কলেজের গণ্ডি ছাড়িয়ে গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছি।” কলেজের কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট সেন্টার ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে চলছে এই কর্মকাণ্ড। প্রাণিবিদ্যার শিক্ষিকা তথা সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর রূপা দাশগুপ্ত বলেন, “নিজেদের কলেজের পাশাপাশি অন্যান্য কলেজের ছাত্রীদের নিয়েছি। স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের পাশাপাশি সাধারণ মাহিলাদেরও নিয়েছি। যাতে কম খরচে বাড়িতে বসেই রঙিন মাছের চাষ করে তাঁরা স্বনির্ভর হতে পারেন। ঋণ পাওয়ার ব্যাপারেও আমরা সহযোগিতা করি।” ৫ দিনের এই প্রশিক্ষণে ১১৮ জন যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে ভেষজ গাছের চাষ নিয়ে এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির হবে বলে রূপাদেবী জানিয়েছেন। |