|
|
|
|
ছ’বছর ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ পড়ে ফাঁসিদেওয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফাঁসিদেওয়া |
কংগ্রেস ও সিপিএমের বিবাদের জেরে ৬ বছর ধরে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফাঁসিদেওয়ার জালাস এলাকার ঘটনা। বাসিন্দাদের তরফে প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাতেও কাজের কাজ হয়নি বলে বাসিন্দাদের। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক বলেন, “ফাঁসিদেওয়ার কোথাও কোনও স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে বলে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০০৬ সালে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অর্থে জালাস গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালজোতে হেড কোয়ার্টার হিসাবে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু ওই এলাকার গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কংগ্রেস এবং সিপিএমের দ্বন্দ্বের ফলে এতদিনে সেটা চালু হয়নি। ফলে ওই এলাকার বহু গরিব মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে কার্যত বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে অবশ্য ওই দলের নেতাদের মধ্যে চলছে চাপানউতোর। কেউ এই নিয়ে কোনও দায় স্বীকার করছেন না। অঞ্চল কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক আকবর আলি বলেন, “এতে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। সিপিএমের বাগড়ার জন্য সেটি চালু হয়নি।” সিপিএম নেতা তথা জালাস গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আনন্দ সিংহ বলেন, “এই নিয়ে আমাদের দলেরও কোনও সর্ম্পক নেই। পঞ্চায়েত অফিসের ঘরে একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। পঞ্চায়েত অফিস থেকে গোয়ালজোতের কেন্দ্রটি প্রায় দু’মিটার দূরে। পঞ্চায়েত অফিস লাগোয়া গ্রামের লোকজন দূরে যেতে চাইছেন না। কংগ্রেসের একটি মহল পঞ্চায়েত অফিস থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে গোয়ালজোতে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত শুরু করেছে।” বাসিন্দারা জানান, ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দ্বিতলের ওই স্বাস্থ্য ভবনটি তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি জালাসে যত স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে, তার হেড কোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কথা। ১ জন চিকিৎসক, দু’জন নার্স ও অন্যান্য কর্মী থাকার ব্যবস্থা সহ সব রকমের পরিকাঠামো রয়েছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় থেকে তা নষ্ট হতে বসেছে বলে অভিযোগ। তাঁদের কয়েকজনের কথায়, “আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার গ্রামের একজন কৃষক ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য জমি দিল। অথচ এই নিয়েও নেতারা রাজনীতি শুরু করায় তা চালু হচ্ছে না। স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনে জানিয়েও বিষয়টি নিয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই।
|
দিন-রাত স্বাস্থ্য পরিষেবার দাবি, নেত্রীর কাছে দরবার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকে তুরতুরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দিনরাত পরিষেবা চালুর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের তুরতুরি অঞ্চল সভাপতি বলেন, “এক সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা পাওয়া যেত। ফার্মাসিস্ট, অ্যাম্বুলেন্স সবই ছিল। বর্তমানে কিছুই নেই। দিনে তিন-চার ঘণ্টা পরিষেবা মিলছে। ফের আগের মতো পরিষেবা চালু করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পাঠিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।” তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এর আগেও স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েক দফায় বামফ্রন্টের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ওই দাবি জানায়। কিন্তু লাভ হয়নি। পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও সেখানে সবর্ক্ষণের জন্য চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়নি। এক জন চিকিৎসক সকাল ১০টা নাগাদ এসে কয়েক ঘণ্টা বহির্বিভাগে কাজ করে চলে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রামপ্রসাদ তিরকি বলেন, “এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। বেশিরভাগ আদিবাসী। বছরভর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ চলে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় রোগী নিয়ে আলিপুরদুয়ারে যেতে হচ্ছে।” বাসিন্দাদের সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রাধারমন বণিক। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা আছে। সেগুলি মিটিয়ে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা চালু করা হবে।” |
|
|
|
|
|