অনেক জানলা...
যতগুলো ভাষা,ততগুলো জীবন
চ্চ মাধ্যমিকের পরে অ্যানিমেশন নিয়ে পড়তে চায়। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই জাপানি ভাষা শিখতে শুরু করে দিয়েছে বিভু। জাপানে কার্টুন, গ্র্যাফিক স্ট্রিপ, অ্যানিমেশন ফিল্ম নিয়ে এখন অনেক নতুন নতুন কাজ হচ্ছে। ওই সব বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাইলে জাপানি ভাষা জানা ভাল বলে ইতিমধ্যেই নানা জায়গা থেকে শুনেছে সে। তা ছাড়া নতুন ভাষা শেখার একটা আনন্দও আছে। ভাষা শেখানোর ফাঁকে ওই দেশের মানুষের চলাফেরা, সংস্কৃতি, খাওয়া-দাওয়ার মতো অনেক কিছু নিয়ে গল্প করেন সেনসেই (জাপানি ভাষায় শিক্ষককে সেনসেই বলে)। এখন তাই বিভু আরও ভাল বুঝতে পারছে টিভির কার্টুন অনুষ্ঠান শিন চ্যান, ডোরেমনদের কার্যকলাপ। বন্ধুদেরও কার্টুন নিয়ে নতুন নতুন খবর জানাতে পারছে সে। অন্যের কথা সহজে বুঝতে শেখার জন্য ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত দেখানো হয় জাপানি সিনেমাও। তাতেই উৎসাহ আরও বাড়ছে।
আট বছরের বড় মাসতুতো দিদি রিয়াকে দেখেই জাপানি শিখতে আগ্রহী হয়েছিল বিভু। সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ছাত্রী রিয়ার গবেষণার বিষয় ছিল জাপানের জনপ্রিয় লোকনাট্য কাবুকির সঙ্গে পুরুলিয়ার ছো নাচের তুলনা। কাবুকি নিয়ে কাজ করার আগে কিছুটা জাপানি শিখলে গবেষণায় সুবিধে হবে বলে রিয়াকে পরামর্শ দেন তার রিসার্চ গাইড। তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে জাপানের সংস্কৃতি জগতের সঙ্গেও অনেকটা পরিচয় করে নিতে পেরেছে রিয়া। সাহিত্য, সিনেমা, সংস্কৃতি চর্চা বা সেগুলি নিয়ে গবেষণার কাজের ক্ষেত্রে এখন সর্বত্রই কোনও না কোনও বিদেশি ভাষার জ্ঞানকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
জাপানের সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে দিয়েও যে ওই ভাষার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পরিচিতি বাড়ানো হয়, তা জানালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অফ ল্যাঙ্গোয়েজেস’-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে জাপান ফাউন্ডেশনের তরফে স্পিচ কনটেস্ট আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া জাপানি চলচ্চিত্র উৎসবেও নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। জাপানে এখন বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের প্রচুর স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এ ছাড়া, বিভিন্ন কাজের জন্য সে দেশে বাইরে থেকেও লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। ভাষা জানা থাকলে নানা ধরনের কাজ পেতেও সুবিধে হবে। তবে সেখানকার সংস্কৃতি ভারতের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই ভাষা শেখানোর জন্য সেখানকার মানুষের চলাফেরার ধরনের সঙ্গেও একটু পরিচিত হতে হয়। এক বার পরিচিতি হয়ে গেলে দেশে বসেই হোক বা জাপানে গিয়ে, ওই ভাষার সঙ্গে জড়িত কাজকর্ম করতে পরে বেশ সুবিধেই হয় ছাত্রছাত্রীদের।
চেক ভাষায় একটা প্রবাদ আছে, “যতগুলো নতুন ভাষা তুমি বলতে শিখবে, ততগুলোই নতুন জীবন যাপন করতে পারবে। যদি একটা মাত্র ভাষা জানো, তবে মাত্র এক বারই বাঁচলে তুমি।”
অতিকথন মনে হলেও কথাটা কিন্তু মোটেই ভুল নয়। যে যতগুলো ভাষা জানে, সে তত ভাল করে চিনতে এবং উপভোগ করতে পারে আশপাশটাকে। নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে দিন দিনই ছোট হয়ে আসছে পৃথিবীটা। নানা দেশের মানুষের মধ্যে রোজই বেড়ে যাচ্ছে যোগাযোগ। কোনও বিদেশি ভাষায় দক্ষতা তাই দিন দিন বেশ প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে। কোনও একটা বিদেশি ভাষা জানা থাকলে অনেক নতুন সুযোগ খুলে যায়। তবে কেউ কেউ যেমন কাজের বাড়তি সুযোগ পাবে বলে নতুন ভাষা শেখে, কেউ আবার শেখে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে। নতুন ভাষা জানার সুবাদে পরিচয় হয় সে ভাষার সঙ্গে জড়িত সংস্কৃতির সঙ্গেও।
এ রকম অনেকে আছে যারা আরবি ভাষা শেখে ভাল ভাবে কোরান পড়ার জন্য। অনেকে আবার তাদের সঙ্গে ওই ভাষা শেখে দুবাই বা মধ্য-প্রাচ্যে কাজের সুযোগ পাওয়ার আশায়। সহপাঠীদের নিয়ে এ রকম নানা কথার ফাঁকে আরবি ভাষার ছাত্রী সুলগ্না জানাল, সে ভাষাটা শিখতে শুরু করেছিল ‘আরব্য রজনী’ পড়ে মুগ্ধ হয়ে। ওই সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পারবে, এমন ভেবেছিল তখন। আবার সে ভাষা জানার সুবাদেই মধ্য-প্রাচ্যে একটি আইসিএসই স্কুলে ইংরেজি পড়ানোর সুযোগ পেয়েছে সুলগ্না।
কোনও নতুন ভাষা শিখতে শিখতে বদলে যেতে পারে নিজের পছন্দ-অপছন্দগুলোও। এ রকম দু’জনের কথা জানা গেল তাদের বন্ধুদের থেকে। প্রথম জনের নাম ঋক। কলেজে ওর বিষয় অর্থনীতি। স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য বিদেশে যেতে ইংরেজির পাশাপাশি আরও কোনও ইউরোপীয় ভাষা জানা থাকলে সুযোগ পেতে সুবিধে হবে ভেবেই ফরাসি শিখতে শুরু করেছিল। কিন্তু আপাতত আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমকালীন ফরাসি নাটক নিয়ে ছ’মাসের এক কর্মশালায় যোগ দিতে গিয়েছে সে। ঋকের ফরাসি ক্লাসের বন্ধুরা জানাল, ওদের ইনস্টিটিউটে ফরাসি ভাষায় কথোপকথনে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সংস্কৃতি চর্চায় জোর দেওয়া হয়। ইনস্টিটিউটেই প্রথম ফরাসি নাটক দেখে ঋক। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চলে ব্যালে, গান, নাটকের মতো নানা বিষয়ে কর্মশালা। অর্থনীতির থেকেও এখন ঋকের বেশি পছন্দের বিষয় ‘থিয়েটার’। ঋকের যাবতীয় পড়াশোনা এখন তা নিয়েই। ওই বিষয়টি নিয়েই এগিয়ে যেতে চায় সে।
ঋকের নাকি ইচ্ছে আছে এর পরে বাংলা নাটকে মন দেবে। বিদেশে যে সব নতুন নতুন ধরনের গবেষণা হচ্ছে নাটক নিয়ে, তার কিছু এখানকার নাটকেও ব্যবহার করতে চায় সে। যারা গান, বাজনা, নাচের মতো পারফরম্যান্স আর্ট নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে, তাদের মধ্যেও অনেকের বিদেশি শিল্পে আগ্রহ বাড়ছে। আরও অনেক নতুন কিছু জানা যাবে সে সব দেশের ভাষায় স্বচ্ছন্দ হয়ে গেলে। বিশেষ কোনও জায়গার সংস্কৃতিচর্চায় মন থাকলে তো অবশ্যই সেখানকার ভাষা জানতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে তো সে সব জায়গায় গিয়ে পড়াশোনার জন্য নানা ধরনের সুযোগ পাওয়া যায় ভাষাটা জানা থাকলে।
ওই আলোচনায় আর যার কথা উঠে এল, সে হল শিল্পী। গুজরাতি পরিবারের মেয়ে। বি কম পাশ করে পারিবারিক ব্যবসায় মন দেবে ভেবে আর এম কমে ভর্তি হয়নি। ব্যবসার কাজ শেখার ফাঁকে একটু স্বাদ বদলের কথা ভেবেই ফরাসি শিখতে শুরু করেছিল শিল্পী। কিন্তু এখন নিজের কেরিয়ার নিয়ে এক্কেবারে অন্য রকম ভাবনা ওর। কলকাতায় একটু ভাল ভাবে ভাষাটা শিখে নিয়ে দিল্লি চলে যেতে চায় শিল্পী। সেখানে জেএনইউ থেকে ফরাসিতে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করার ইচ্ছে। বাবা-কাকাদের এক্সপোর্ট-ইম্পোর্টের ব্যবসা বাড়াতে এর পর ফ্রান্সের কিছু সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করার কথা ইতিমধ্যেই ভাবা হয়ে গিয়েছে তার। ভাষাটা জানায় আবার ফরাসি সাহিত্যও খুব ভাল লাগছে ওর। তাই ব্যবসার পাশাপাশি সে বিষয়ে পড়াশোনাটাও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় শিল্পীর।
শুধু ব্যবসাই বা কেন, চাকরি করতে করতেও শেখা যায় কোনও নতুন ভাষা। কলকাতায় বেশির ভাগ ইনস্টিটিউটই বিভিন্ন সময়ের ক্লাসের ব্যবস্থা রাখে। বিশেষ করে কাজের দিন সন্ধ্যেবেলা বা ছুটিরও দিনে অনেক ক্লাস আছে। একটু মন দিয়ে একটা নতুন ভাষা শিখলে নিজেদের রোজের কাজের পাশাপাশি করা যায় অন্য রকম কোনও কাজ। যেমন, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার-এর ‘স্কুল অব ল্যাঙ্গোজেস’-এর অধ্যক্ষা চন্দনা গুহ সরকারের কাছে জানা গেল, সেখান থেকে ভাষা শিখে অনেকেই রোজের চাকরির পাশাপাশি নানা ধরনের কাজ করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন দোভাষীদের প্রয়োজন হয়। আবার অনেক দফতরে প্রয়োজন হয় নানা ধরনের নথিপত্র অনুবাদের। নিজের চাকরি রেখে, অবসর সময়ে করা যায় তেমন কোনও কাজ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক স্তরের কিছু পরীক্ষা হয় বিভিন্ন ভাষার ক্ষেত্রে। তেমন পরীক্ষা দেওয়া থাকলে অনেক সময়ে বিভিন্ন কনস্যুলেটেও কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
বিদেশি ভাষা আরও অনেক ধরনের যোগাযোগের দিক খুলে দিতে পারে। নতুন ধরনের খাবার থেকে শুরু করে অপরিচিত খেলা, ফিল্ম, সাহিত্য, হাতের কাজ সবের মধ্যে দিয়ে অনেক সমৃদ্ধ হতে পারে নিজের ভাবনাচিন্তা। বিশেষ কোনও কাজের কথা ভেবে বিদেশি ভাষা শিখতে শুরু করে অনেকেই। হয়তো তোমরাও কেউ কেউ করেছ। তবে ভবিষ্যতে অনেকেই আর সেই কাজে আটকে রাখে না নিজেকে। নতুন ভাষা জানার সুবাদে বেড়ে যায় নিজের ভাবনার পরিধিটাই।
দেশ-বিদেশের রান্নায় আগ্রহ থাকলেও শিখে নেওয়া যায় কোনও বিদেশি ভাষা। কয়েক বার রেস্তোরাঁয় গিয়ে সে সব পদ খেয়ে অনেকেই হয়তো চাও বাড়িতে সে রকম কিছু রান্না করতে। এ ধরনের ইচ্ছেয় সব চেয়ে সমস্যা হয় প্রণালী এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে। অনেক ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটে তা পাওয়া যায় সেই দেশের ভাষায়। যেমন আমাদের দেশের অনেকেই এখন মেক্সিকান খাবার খুব পছন্দ করছে। ওই দেশের রান্নায় শখ থাকলে শিখে নেওয়া যায় স্প্যানিশ ভাষা। মেক্সিকোর পাশাপাশি লাতিন আমেরিকার আরও বেশ কিছু দেশের রান্নার প্রণালী জানতে সুবিধে হবে ভাষাটি জানান থাকলে। আর যারা শেফ হতে চায়, বিদেশি কোনও ভাষা জানা থাকলে তারা সেখানকার নানা ধরনের রান্না নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করারও সুযোগ পাবে।
যদি বিদেশে কোথাও যেতে হয়, তবে তো আরওই প্রয়োজন সেখানকার ভাষা শিখে নেওয়া। হাতে খুব কম সময় থাকলে মাস ছয়েকের কোনও কোর্স করে নেওয়া যায় প্রয়োজনীয় কথোপকথন চালানোর মতো। এখানকার অনেক ইনস্টিটিউটেই এ ধরনের ‘কমিউনিকেটিভ’ কোর্স করানো হয়।

কোথায় শিখবে?
বিদেশি ভাষা নিয়ে বহু দিন ধরেই চর্চা চলছে শহরে। গোলপার্কের রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার-এর ‘স্কুল অব ল্যাঙ্গোয়েজেস’-এ (ফোন- ২৪৬৪১৩০৩, ২৪৬৫২৫৩১, ২৪৬৬১২৩৫) এখন ১৪টা বিদেশি ভাষা শেখানো হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ফোন- ২২৪১০০৭১) অনেকগুলো ভাষা নিয়ে পড়াশোনা হয়। কিছু বিদেশি ভাষা নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত পড়ার সুযোগ রয়েছে সেখানে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (ফোন-২৪৭৩৫৩৩৯, ২৪৬৩৫৭৯৯) বেশ কিছু বিদেশি ভাষা নিয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। সার্টিফিকেট কোর্স হয় রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও (ফোন- ২৫৫৭৩০২৮)। এ ছাড়া, অলিয়ঁস ফ্রঁস্যাজ দু বেঙ্গাল-এ (ফোন- ২২৮১৫১৯৮, ২২৮৩০৭৬৯) ফরাসি পড়ানো হয়। জার্মান ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করা যায় ম্যাক্সমুলার ভবনে (ফোন- ২৪৮৬৬৩৯৮) আর রাশিয়ান ভাষায় সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করা যায় গোর্কিসদন (ফোন- ৯৮৩১০৩৯৩২৮, ৯১৬৩৭২০১৮৩) থেকে। এর পাশাপাশি আরও অনেক বেসরকারি সংস্থা আছে চিনা, জাপানি, স্প্যানিশ, ফরাসি, জার্মান ইত্যাদি ভাষা শেখার জন্য। আর বিদেশি ভাষা নিয়ে ডিস্ট্যান্স লার্নিং কোর্স আছে ইগনুতে।

কারা শিখতে পারে ভাষা?
ভাষা শেখার জন্য কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় না। তবে বেশির ভাগ ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক বা স্নাতক হতে হয়।

কাজের সুযোগ?
ট্যুরিজমের সঙ্গে জড়িত অনেক ধরনের কাজের দিক খুলছে। বড় হোটেল চেন-এ বিদেশি ভাষায় বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন বাড়ছে। বেসরকারি হাসপাতালেও এখন বিদেশি ভাষাবিদের নিয়োগ করা হচ্ছে। কাজের সুযোগ রয়েছে নানা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাতেও। সেখানে পার্ট-টাইম কাজও মেলে। যেমন বিদেশি প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞরা শহরে এলে তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে হয় এই ভাষা বিশেষজ্ঞদের। এ ছাড়া, অনুবাদ, ভাষান্তর এবং ভাষা শেখানোর কাজ রয়েছে। আবার কোনও ভাষা জানা থাকলে সেই দেশে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ এবং বিভিন্ন ধরনের চাকরি পাওয়া যায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.