|
|
|
|
|
বৃষ্টিতে জমল না
পুজোর বাজার
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
|
বৃষ্টির জন্য পুজোর আগে রবিবারের বাজার তেমন জমল না বীরভূমে। তবে, ব্যবসায়ীরা তাতে দমতে নারাজ। জেলার অধিকাংশ শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা এ বারের পুজোর বাজার নিয়ে বেশ আশাবাদী। তাঁদের একটাই কথা, “এ বার ঈদের বাজার ভালো হয়েছে। তাই বৃষ্টির জন্য রবিবারের বাজার তেমন না জমলেও, পুজো আরও এগিয়ে এলে ঠিক ক্রেতারা ভিড় জমাবেন।”
সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় আকাশ মুখ ভার করেছিল। কখনও মুষল ধারা তো কখনও ঝিরঝিরে বৃষ্টি। ছাতা মাথায় অনেককেই এ দোকান-সে দোকানে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। ক্রেতা দেখে আড়মোড়া ভেঙে খুশি-খুশি মুখে ব্যবসায়ী সোকেস খুলে পোশাক হাজির করেছেন। সাঁইথিয়ার বস্ত্র ব্যবসায়ী জগদীশপ্রসাদ অগ্রবাল, সিউড়ির সুজিত কুণ্ডুরা বলেন, “এ বার পুজোর বাজার তেমন জমেনি ঠিকই। তবে, ঈদে ভাল বিক্রিবাটা হয়েছে। তাই দুর্গাপুজোতেও ভাল বিক্রি হবে বলেই আমরা আশা করছি।” সকাল দিকে সাধারণত গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা বাজার করতে আসেন। বিকেল থেকে শহরের ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়। এ দিন বৃষ্টি হলেও ছুটির দিন থাকায় সংখ্যায় কম হলেও বেশ কিছু লোকজন সপরিবারে বাজার করতে এসেছিলেন। নতুন পোশাক, জুতো, সাজসজ্জার সরঞ্জামের পাশাপাশি নতুন ছাতা কিনতেও দেখা গিয়েছে। সাঁইথিয়ার মানিক সাউা বলেন, “এ বার মনে হয় পুজোতেও বৃষ্টি ভোগাবে। তাই নতুন জামা-কাপড়ের সাথে ছাতাও রাখতে হবে। তা নাহলে মণ্ডপে মণ্ডপে হয়ত ঘোরাই যাবে না। দেখছেন না বিশ্বকর্মা পুজোয় কী হচ্ছে!”
সাঁইথিয়ার ব্যবসায়ী সজন অগ্রবাল ও রামপুরহাটের ঘনশ্যাম ভট্ট বলেন, “আমাদের বাজার মূলত গ্রামীণ অর্থনীতি নির্ভর। এ বার ভাল বর্ষা হওয়া ধান চাষ হয়েছে। চাষিরাও তাই খুশি। সেজন্য ঈদের বাজার জমেছে। দুর্গাপুজোর বাজারও তাই জমবে বলেই আশা।” বোলপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ীর সুরেন্দর আঞ্চালিয়ার গলায় খুশির আমেজ। তিনি বলেন, “শহরের লোকরা বেশ কিছু দিন আগে থেকেই বাজার শুরু করে দিয়েছেন। পুজো যত এগোবে, ভিড় ততই বাড়বে।”
মল্লারপুরের একটি বেসরকারি বিএড কলেজের শিক্ষিকা সোহিনি দাস বলেন, “পুজোর মুখে কিনতে গিয়ে অনেক সময় পছন্দসই শাড়ি পাওয়া যায় না। তাই এ বার আর দেরি না করে আগেই কিনে নিয়েছি।” সাঁইথিয়ার কিশোরী সুলগ্না বিত্তেল বলেন, “বৃষ্টির জন্য রবিবার হলেও দোকানগুলো কিছুটা ফাঁকা থাকবে বলে ছাতা মাথায় বেরিয়ে পড়েছিলাম।” তাঁর মতোই এ দিন খুশি খুশি মুখে অনেকেই বাজার সারলেন। |
|
|
|
|
|