|
|
|
|
|
|
গাল টিপে দিলেন উত্তমকুমার
অধীর বাগচী |
|
শৈশবের রবিবারগুলো ভারী মজার ছিল। সকাল থেকে বন্ধুদের জড়ো করে বউবাজারের বাড়ির ছাদে ক্রিকেটের আসর বসানো। কখনও বা ফুটবল। হাওড়ার সালকিয়ার মামার বাড়িতে জন্মেছিলাম। আবার আড়াই বছর বয়সে চলে এলাম বউবাজারের ১১২ নং কলেজ স্ট্রিটের বাড়িতে। আমরা ছিলাম দুই ভাই এক বোন। দাদা অলোক আমার চেয়ে সাত বছরের বড়। আর বোন রত্না। কী যে আনন্দে কেটে যেত ছুটির রবিবারগুলো। খেলা ছাড়াও আমার দুটো জিনিসের প্রতি আকর্ষণ ছিল আঁকা ও লেখা। রবিবার হলেই আঁকতে বসে যেতাম। আর আট-দশ বছর বয়স থেকে যা পারি লিখতাম। রবিবার মানেই স্কুল নেই, পড়া নেই, গৃহশিক্ষকও আসবেন না। কিশোর বয়সেই নেশা ধরে গেল গানে। বাবা প্রখ্যাত সুরকার অনিল বাগচী। তবে বাবা নিজের কাজ নিয়েই সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতেন বলে গানে হাতেখড়ি মা অমিয়া দেবীর কাছে। ক্লাসিকাল, আধুনিক, নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত সব ধরনের গানই মা শেখাতেন। ছোটবেলা থেকেই আমি আর দাদা দু’জনেই গান গাইতাম। আমাদের নাড়া বেঁধেছিলেন উস্তাদ মেহেদি হুসেন খান। খান সাহেবের কাছে টানা দশ বছর গান শিখেছি। পড়তাম সিটি কলেজিয়েট স্কুলে। গানে আমার অনুপ্রেরণা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। উনি প্রায় আসতেন আমাদের বাড়িতে। সন্ধ্যাদি (মুখোপাধ্যায়) আসতেন। এমনও হয়েছে, মা কাজে ব্যস্ত রান্না করছেন, উনি আমাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি করে দিচ্ছেন। আমার ঘুমটা খুব কম। দুপুরে ঘুমোতাম না, একটা কিছু নিয়ে থাকতাম, লেখা, নয় গান।
রবিবারের খাবার মেনুটা ছিল স্পেশাল। এই একটা দিন মাংস খাওয়া অবধারিত। পাঁঠার মাংস হত। আমাদের বাড়ির নীচে পাঁঠার দোকান ছিল। গণেশের পাঁঠা বিখ্যাত। বাড়িতে ছানা, মিষ্টি আসত।
|
|
আমি ছোটবেলা থেকেই একটু পাকা ছিলাম। কলেজে পড়ার সময় সিনে ক্লাবের মেম্বারশিপ নিয়েছিলাম। তখনও আমার জীবনে স্পেশাল কেউ আসেনি। সিনে ক্লাবের অফিসটা তখন ছিল ২ নম্বর চৌরঙ্গি রোডে। সবাই আমাকে বলেছিল তুই কাপল কার্ড করেছিস! বলেছিলাম, যদি কখনও কোনও বান্ধবী আসে, আমার শিল্পী বন্ধু খুব কম, হয়তো আমি মিশতে পারতাম না, হতে পারে। মানসিকতাও ছিল না। বেশির ভাগ বন্ধুরা ছিল আমার থেকে বয়েসে বড়। পুলুদা মানে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কবি অশোক পালিত, ‘এক্ষণ’ পত্রিকার সম্পাদক নির্মাল্য আচার্য এঁদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। এঁরা আমাকে খুব বেশি পাত্তা না দিলেও ওঁদের কথা শুনতাম হাঁ করে। কফি হাউসে রবিবার হত এই আড্ডা। এক রবিবারেই পুলুদা সত্যজিৎ রায়ের কাছে ‘অপুর সংসার’ ছবিতে অভিনয় করার অফার পান। পরে পুলুদা নায়ক হলেন, ছবিও হিট করল।
অর্ধেক সময় কেটে গিয়েছে গান নিয়ে। এ জন্য বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে খুব একটা আড্ডা দিতে পারিনি। আমাদের সময় মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হলেও আপনি বা তুমি বলে সম্বোধন করতে হত, কিন্তু আমার সঙ্গে মেয়েদের তুই-তোকারির সম্পর্ক ছিল। আসলে মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশার একটা প্রবণতা আমার তৈরি হয়েছিল তখন থেকেই। তখন আমার বান্ধবীর সংখ্যা ছিল ১৫-১৬, এদের সবাইকে একসঙ্গে হ্যান্ডেল করেছি। তখন তো এখনকার মতো মোবাইল ছিল না, বাড়িতে ফোন আসত। আর এই ফোনগুলোও আসত রবিবারে। খুব ভয়ে ভয়ে থাকতাম কারণ ফোনটা ছিল শোবার ঘরে। যদি ফোনের আওয়াজে বাবার ঘুম ভেঙে যায়! নির্দিষ্ট টাইমে ফোন আসত। দু’বার ফোন বাজতেই বাবা বলতেন, কে বিরক্ত করে?
প্রথম প্রেমটা ছিল রবিবারে, প্রথম বিচ্ছেদটাও রবিবার। রুবি আমার থেকে বছর দুয়েকের সিনিয়র ছিল। আমি তখন ফার্স্ট ইয়ার ও তখন সেকেন্ড ইয়ার। রবিবার রবিবার আমরা সিনে ক্লাবে কুরোসওয়া, মাইকেল আন্তনিয়োনির ছবি দেখতে যেতাম। কোনও কোনও রবিবার ওর বাড়ি যেতাম, ছবি দেখতাম। ছবি নিয়ে আলোচনা হত। প্রেমের কথার থেকে ঝগড়াই বেশি হত আমাদের। আইডিয়াজ না মিললে ছিটকে চলে যেতাম বাড়ি।
প্রথম উত্তমকুমারকে দেখি এক রবিবারে। বাবাকে ওঁদের পাড়ার ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করতে এসেছিলেন। ছোটবেলায় আমি খুব মোটসোটা ছিলাম, আমার গাল টিপে আদর করেছিলেন আর বলেছিলেন, ব্যায়াম করতে। আর তার পর তো পরিণত বয়সে তাঁর সঙ্গে কত রবিবার কাটিয়েছি।
|
|
অনুষ্ঠান করে কেটে গিয়েছে জীবনটা। পড়তে ভালবাসি। প্রিয় লেখক রবীন্দ্রনাথ, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। মেডিক্যাল বুকস-এর প্রতি আমার খুব আগ্রহ।
আমি দুই মেয়ে ইন্দ্রাণী, নীলাঞ্জনাকে নিয়ে রবিবারগুলো বেড়াতে চলে যেতাম। আমার গাড়ির খুব শখ। কিছু দিন অন্তর অন্তর গাড়ি পাল্টাই। এখন আছে স্যান্ট্রো জিং। এটাও পাল্টাব ভাবছি। ছোটবেলায় মেয়েদের নিয়ে ঘুরতে গিয়ে গাড়ি খারাপ হলে ওদেরকে দিয়ে ঠেলিয়েছি। বিয়ের পর অধিকাংশ সময় আমার মেয়েদেরকে নিয়েই কেটে গিয়েছে। ঘুরতে খুব ভালবাসি। বার্লিন, জার্মানি, লন্ডন, ঘুরেছি।
পুণেতে গানের অনুষ্ঠান সেরে ট্রেনে কলকাতায় ফিরছি। সঙ্গে আরতি মুখোপাধ্যায়, অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ও ছিলেন। স্টেশনের নাম মাননপুর। বন্যা হয়েছে। স্টেশনে মাইকে ঘোষণা করছে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ট্রেন ডুবে যাবে। কী ভাবে যে বেঁচে গেলাম। সে দিন সাক্ষাৎ মৃত্যুকে প্রত্যক্ষ করেছিলাম।
|
আমার প্রিয়
খাবার: মিক্সড চাউমিন, মিষ্টি
পোশাক: পাঞ্জাবি, চোস্ত
রং: মেরুন, নীল
গায়ক/গায়িকা: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়,
অরুন্ধতী হোমচৌধুরী, শ্রেয়া ঘোষাল, মান্না দে,
মহম্মদ রফি, কিশোরকুমার
পরিচালক: তরুণ মজুমদার
অভিনেতা/অভিনেত্রী: উত্তমকুমার, সৌমিত্র, দীপঙ্কর,
সন্ধ্যারানি, সন্ধ্যা রায়, কোয়েল মল্লিক, শ্রীদেবী। |
|
এখন রবিবারগুলো অশোকনগরে আমার বোনের বাড়ি চলে যাই। সেখানে আমার ছোট্ট বান্ধবী আছে। আমার বোনের মেয়ে, সাড়ে তিন বছর বয়স। ওকে না দেখে থাকতে পারি না। ওর নাম দিয়েছি কুট্টি ভাই। অসম্ভব ইনটেলিজেন্ট মেয়ে। একটা সাড়ে তিন বছরের মেয়ে যে এই রকম কথা বলতে পারে, ভাবা যায় না। ও যখন আমাকে বলে, তুমি খেয়েছ? ঘুমিয়ে পড়ো, তখন মনে হয় আমার মা কথা বলছেন।
আমি এখন অনেকটা সময় কাটাই সল্ট লেকের ‘সাউন্ড অব মিউজিক অ্যাকাডেমি’-তে। মিউজিক থেরাপি নিয়ে গবেষণা করছি। নয়তো বাড়িতেই থাকি গান নিয়ে। সুর করি, গান শেখাই, ছাত্রছাত্রীরাই আমার পরিবার। এখনও মনের বয়স হয়নি। হবেও না।
|
সাক্ষাৎকার পিয়ালী দাস
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
lঅফিস যাওয়ার তাড়া থাকলে পকেটে শুধুই মেট্রোর টিকিটের ভাড়া থাকলে অনুগ্রহ করে মেট্রোয় উঠবেন না। কারণ, যে কোনও সময় পাতাল থেকে মর্ত্যে উঠে দুগ্গা বলে ঝুলে পড়তে হতে পারে।
টুকু দে। বালি
lদক্ষিণ ২৪ পরগনায় সিপিএম খরচ সামলাতে তাদের জেলা দফতরের একতলাটা প্রতি বর্গফুট ২০ টাকা দরে ভাড়া দিচ্ছে। কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি আমদানি হবে, আমআদমিও খুশি হবেন, যদি রাজ্যের পার্টি অফিসগুলোকে বিয়েবাড়ি হিসেবে ভাড়া দেয়! শুধুমাত্র বাড়ির গেটে লেখা থাকবে: ৩-৪ বছর নয়, কমপক্ষে ৩৪ বছরের বিবাহিত জীবনের গ্যারান্টি সহ ভাড়া দেওয়া হয়।
গৌতম মুখোপাধ্যায়। খড়দহ
lদিকে দিকে কঙ্কাল উদ্ধারের খবর বাংলা মাতিয়ে রেখেছিল। হঠাৎ অণ্ণা ইস্যু, তিস্তা ইস্যু, দিল্লির বিস্ফোরণে কঙ্কাল-খবর বেপাত্তা। এ জন্যেই বোধ হয় বলে, বাঙালি মরেও ন্যাশনাল নিউজে টিকতে পারে না!
সুদর্শন নন্দী। মেদিনীপুর
lবুদ্ধবাবু দলীয় কর্মীদের কথা কম বলে বেশি শোনার আদেশ দিয়েছেন। আসলে যা যা শুনতে হচ্ছে, তাতে বলার আর মুখ থাকছে না।
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া
lশেয়ার সূচকের নিরন্তর পতনের এই সময়ে ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরে আমানতকারীরা শেয়ারে লগ্নিকারীদের উদ্দেশ্যে বলতেই পারেন এ (বি)স্বাদের কোনও শেয়ার (ভাগ) হবে না!
দেবব্রত সরকার। বনগাঁ
lএ বারের বিশ্বকর্মা পুজোয় রাজ্য সরকারের লক্ষ্য: বিভিন্ন কারণে ভোঁ-কাট্টা হওয়া শিল্পপ্রকল্পগুলোর সঙ্গে আবার যোগসূত্র গড়ে তোলা!
রতন দত্ত।
lকথায় বলে, সোজা আঙুলে ঘি ওঠে না। ক্রিকেট আর হকির ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা। ধোনিরা সোজা ব্যাটে ধনী হয়ে গেল, হকির ব্যাট বেঁকিয়েও দেড়লাখি মনসবদার মাত্র!
মুকুল হালদার। হিন্দমোটর
lএমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জটিকে অবিলম্বে বর্তমান ঠিকানা থেকে উচ্ছেদ করে কালীঘাট থেকে মহাকরণ রুটের ধারে এনে বসানো হোক। সবচেয়ে বেশি চাকরিপ্রার্থীরা এখানেই ঝাঁপাচ্ছেন।
তমোশ্রী পাইন। হাজরা
lএ বার দেবীপক্ষ না দিদিপক্ষ?
রন্টু শিকদার। রাখাল আঢ্য রোড |
|
|
|
সত্যি কোথায় যাচ্ছে বলুন দেশটা!
অবাধ ব্যবসা মিটছে চোলাই তেষ্টা!
খোলা রাস্তায় শ্লীলতাহানির চেষ্টা!
প্রতিবাদী মাকে মার খেতে হল শেষটা!
হবে না তো হুঁশ, তবুও ঘুঁটের মালা তোমার গলায়,
হাওড়া পুলিশ, এ বার ঝোলার পালা |
|
|
ঘিরে থাকা রূপকথারা ... |
|
শ্রীপর্ণা ঘোষ |
সময়টা সাতের দশক। মোবাইল ফোন চালু হয়নি। ফোন মানে ল্যান্ডলাইন। সেই ল্যান্ডলাইনে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে কথা বলছিল। এদের সঙ্গে দ্বিতীয় একটি মেয়ের ফোনের ক্রস কানেকশন হয়ে গেল। দ্বিতীয় মেয়েটি চুপচাপ প্রথম দু’জনের প্রেমালাপ শুনতে উৎসুক। কিন্তু একটু পরেই সে বুঝল, এরা ভাই-বোন। তখন সে নিজের উপস্থিতি জানাল। তিন জনের কথাবার্তা শুরু হল। শেষ হল পরস্পরের টেলিফোন নম্বর বিনিময়ে।
ছেলেটি ও দ্বিতীয় মেয়েটির ফোন পর্ব শুরু হল। ক্রমশ দু’টি ফোনের মাঝের সময়ের ব্যবধান কমতে থাকল। তিন বছর কেটে গেল। হঠাৎ এক দিন তাদের মনে হল, এত কথা হয়, দেখা করলে মন্দ হয় না। ছেলেটি একটু ভীতু। একা নয়, সে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে ‘গ্লোব’-এর সামনে পৌঁছল। সিনেমা দেখা হল। এর পর বন্ধু ব্যতীতই দু’জনের ঘন ঘন দেখা হতে থাকল।
এক দিন ছেলেটি মেয়েটিকে বলল, ‘আমায় বিয়ে করবে?’ মেয়েটি বলল, ‘বিয়ে? ভাবিনি তো?’ ছেলেটির বিয়ের পক্ষে অদ্ভুত যুক্তি, ‘দেখো, তোমার অন্য জায়গায় বিয়ে হলে, আমি রোজ রোজ ফোন করলে তোমার বর সন্দেহ করবে। আমার বউয়েরও এক অবস্থা হবে। তার থেকে আমরা বিয়ে করে নিলে কারও কোনও অসুবিধে হবে না।’ মেয়েটি বুদ্ধিমতী হলেও প্রেমে পড়লে বুদ্ধি নিশ্চয় গুলিয়ে যায়, কারণ বিয়ে করার পক্ষে ছেলেটির এই অদ্ভুত যুক্তি তার কাছে ঠিকই লাগল!
বিয়ে হয়ে গেল। একটি মেয়ে হল। জীবন বয়ে চলল মন্দাক্রান্তা ছন্দে। ছেলেটি হল ভদ্রলোক, মেয়েটি ভদ্রমহিলা। এখন আর শুধু প্রেমালাপ নয়, মাঝে মাঝে ধুন্ধুমার ঝগড়াও লাগে। কিন্তু কেউ কাউকে ছেড়ে থাকে না। এমন সময়ে মহিলা এক দিন কঠিন অসুখে পড়ল। আড়াই মাস সেবা-শুশ্রুষা করে লোকটি স্ত্রীকে সুস্থ করে তুলল।
ক’দিন আগে এদের সঙ্গে এক সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা হল। দু’জনেরই চেহারায় বয়সের ছাপ পড়েছে। কথায় কথায় পরিবারের গল্প হল। সেই ক্রস কানেকশনের আলাপ এখনও চলছে। |
|
|
চাকরি চেয়ে গায়ে আগুন দিয়ে হাহাকার: ‘দিদি,
আমি কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিলাম’!
রাজা সেন, গড়িয়া
|
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
একমাত্র পুত্রের জন্য গরিব বিধবার মেয়েকে পুত্রবধূ নির্বাচন করলাম। বিয়ের আগেই হবু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ছেলেকে প্রস্তাব দেয় অমুক জায়গায় দেখা করো, তোমার বাবা-মা যেন জানতে না পারেন। নববধূ বাড়িতে প্রবেশ করেই হুমকি দিল, ‘তোমার ছেলেকে যখন-তখন বের করে নিয়ে যেতে পারি।’ বুঝলাম, বউমা মুখরা। বউমার মাকে এ কথা বলতে, তিনি এবং তাঁর বড় মেয়ে চিৎকার করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে আমাকে অপমান করলেন। ছেলে নির্বিকার, কোনও প্রতিবাদ করল না, এবং বউমাও তাদের সঙ্গে যোগ দিল। এই ঘটনার পর আমাদের ছেলে বউমা এবং তার বাপের বাড়ির লোকেদের নিয়ে ‘সুখের সংসার’ পাতল। বুঝলাম, সবটাই পূর্বপরিকল্পিত। ৪০ বছর ধরে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তোলা সংসার যারা ভেঙে দিল, তাদের ক্ষমা করিনি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি এমন বেইমান সন্তান যেন তিনি আর কাউকে না দেন। বিজন চৌধুরী
উত্তর ২৪ পরগনা |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|