|
|
|
|
পুজোর শহর নববধূর মতো |
ব্র্যাড পিট থেকে কাঁথাকাজ, সবেতেই সাবলীল। পুজোর লুক ও পুজোয় লুক
নিয়ে নানা কথা। দুই ভাইয়ের যুগলবন্দি। আমন ও আয়ান আলি খান |
ওঁদের আব্বাজানের একটি বিখ্যাত উক্তি আছে। ‘ধ্রুপদী হোক বা চলিত, সঙ্গীতের পরিচয় হল শুধুই সঙ্গীত।’ আমজাদ আলি খানের দুই সুপুত্রের চলন-বলন-পরিধানে সেই মুক্ত চিন্তারই প্রতিফলন। প্রাচ্য-পাশ্চাত্য, ঐতিহ্য-আধুনিক দুই পৃথিবীতেই অনায়াস ওঁরা।
মঞ্চে এই তন্ময় সুরসাধকদের দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। কিন্তু অবাক হওয়ার পালা আসে একটু পরই। এথনিক বেশে যাকে দেখে একটু তফাত গেছি, শ্রদ্ধা জেগেছে, তারা কিন্তু নিমেষে এসে বসতে পারে আপনার পাশে। একেবারে আধুনিক সজ্জায় সজ্জিত তিরিশের তরুণ। জিনস, টি শার্ট, স্নিকার্স পরে বেরিয়ে পড়তেই পারেন ঠাকুর দেখতে। কিম্বা এসে বসতে পারে পুজোর আড্ডায়।
ভারিক্কি কোনও অনুষ্ঠানেও পৌঁছে যাবে দুই ভাই। ডিজাইনার স্যুটে পাক্কা আমেরিকান সেজে। দেখেই বিস্ময়। আরে, আল পাচিনো না রবার্ট ডি নিরো। তার পরই চমক ভাঙে। কোথায়? এ তো আমান আলি। নিজের প্রিয় স্টাইল বাদশা’দের টুকলি করছে শুধু।
ছোটটি রকস্টার গোছের। আয়ান আলি মাঝেমধ্যেই সলমন খান, ব্র্যাড পিট সেজে ফেলে। নবমীর রাতে ও পরে বেরোবে আরমানি, ভারসাচি, সোহরাব দোরারজি বা রোহিত বালের মহামূল্য ডিজাইনার-বেশ। |
|
আর যদি সহোদরদ্বয় জমকালো কোনও শেরওয়ানি পরে? ওরে বাবা, সে তো যৌবনের আমজাদ আলি খান স্বয়ং। দুই ভাই মিলে সরোদের পাশাপাশি নন্দনবোধ, রুচি আর পরিশীলিত আদবকায়দার তালিমও যে নিয়েছেন আব্বার কাছে।
আচ্ছা, আর যদি পুজোর কলকাতায় আসেন, কেমন ভাবে সাজবেন উৎসবের দিনগুলো? আমান বললেন, ‘বাঙালি পোশাক মানেই ধনদৌলত, জমিদারি ব্যাপার। ছোট থাকতে মায়ের কাছে কাঁথাকাজ নিয়ে কত গল্প শুনেছি। তার পর কোথাও যাওয়ার হলে মা দুই ভাইকে কাঁথা কারুকাজ করা শৌখিন পোশাক পরিয়ে দিতেন। পুজোর দিনে ওই একটা চাই-ই।’ আয়ান বললেন, ‘পুজোর কলকাতা নবববধূর মতো সুন্দর। ওই সাজে আমি কলকাতাকে অনেক বার মুগ্ধ হয়ে দেখেছি। এ বারও আসছি। অনুষ্ঠান আছে আমার দুর্গাপুজোর সময়।’
আর যদি তখন বাঙালিরা বায়না জোড়ে, ‘আমান, আয়ান এক বার ধুতিটা পরেই দেখুন না, প্লিজ?’
চেষ্টার কসুর করবেন না কিন্তু। দু’জনে কথা দিয়েছেন গোটা বাংলাকে। |
|
|
|
|
|