খাবারের গুণগত মান এবং পরিমাণ নিয়ে অভিযোগ তুলে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখালেন শ্রীরামপুর টিবি হাসপাতালের রোগীরা। রাস্তা অবরোধও করেন তাঁরা। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক পুলিশকর্তার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাসপাতালের রান্নাঘরে গিয়ে খাবারের মান নিজে যাচাই করে দেখেন ওই পুলিশকর্তা।
এ দিন সকাল থেকেই রোগীরা খাবার নিতে অস্বীকার করেন। এক সময় তাঁরা হাসপাতালের অফিসের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রোগীদের অভিযোগ, যে পরিমাণে খাবার দেওয়ার কথা, তা আদৌ দেওয়া হয় না। তাঁরা বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার না-দেওয়ায় তাঁদের পেট ভরে না। অভিযোগ, খাবারের মানও অত্যন্ত খারাপ। যদিও, এ বিষয়ে বহু অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি। উল্টে, খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদেরর লোকজন রোগীদের সঙ্গেই খারাপ আচরণ করেন।
বেশ কিছু ক্ষণ হাসপাতালের অফিসের সামনে বিক্ষোভ চলার পরে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সামনের রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন ক্ষুব্ধ রোগীরা। সেখানে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। |
সে সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) অমিতাভ বর্মা। তিনি গাড়ি থেকে নেমে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর কথায় অবরোধ ওঠে। অমিতাভবাবু হাসপাতালে ঢুকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। ঠিকাদারের কর্মীদের নিয়ে সটান ঢুকে পড়েন রান্নাঘরে। দেখা যায়, রোগীদের অভিযোগ অনেকাংশেই সত্যি। রুটির চেহারা থেকে মাছের ওজন কিছুই নিয়ম মেনে করা হয় না। পরীক্ষা করার জন্য দুধের নমুনাও সংগ্রহ করে নিয়ে যান ওই পুলিশকর্তা। তাঁর আশ্বাসে রোগীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়। এর পরে খাবার নিতে অস্বীকার করেননি তাঁরা। হাসপাতাল সুপার বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “রোগীদের ক্ষোভের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকালের জলখাবার, দুপুর এবং রাতের খাবার দেওয়ার কথা রোগীদের। এ জন্য দিনে ৪৬ টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। খাবার সরবরাহকারীদের দাবি, বরাদ্দ টাকা অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করা হয়। তাঁরা এই দাবি করলেও রোগীদের অভিজ্ঞতা অবশ্য অন্য রকম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, কম-সংখ্যক রোগী ভর্তি থাকায় এখানে টেন্ডার জমা করতেও উৎসাহ দেখান না ঠিকাদারেরা। |