টুকরো খবর

দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু মা-ছেলের
দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল ৬ বছরের শিশু ও মায়ের। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার বেনেশালা গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন রীমা চট্টোপাধ্যায় (২৮) ও মনোজ চট্টোপাধ্যায় (৬)। পরিবারের কর্তা বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়ের মাটি দিয়ে গাঁথা ইটের দেওয়াল ও টিনের চাউনি দেওয়া বাড়ি। একটি খাটে তিনি এবং তাঁর চার বছরের মেয়ে শুয়েছিলেন। অন্য খাটে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে শুয়েছিলেন। ভোর চারটে নাগাদ হঠাৎ বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের উপরে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। ঘটনার পরে বঙ্কিমবাবুর চিৎকার শুনে পড়শিরা ছুটে আসেন এবং পুলিশে খবর দেন। অল্প চোট পেয়েছেন বঙ্কিমবাবু এবং তাঁর মেয়ে। বঙ্কিমবাবুর কাকা ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ভাইপোর বাড়ির পাশে পুকুর আছে। বর্ষায় পুকুর ভর্তি হয়ে যাওয়ায় জল ক্রমাগত বাড়ির দেওয়ালে ধাক্কা মারছিল। জল লেগে দেওয়াল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা।” একই কথা বলেছেন সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের গৌতম মণ্ডল। তাঁর আশ্বাস, “আমরা বঙ্কিমবাবুর পাশেই আছি। তাঁকে সবরকম সাহায্য করব। বৃষ্টির কারণে এলাকার কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত বাড়িগুলির মেরামতির ব্যবস্থা করা হবে।” এ দিকে স্ত্রী ও ছেলেকে হারিয়ে পেশায় দিন মজুর বঙ্কিমবাবু মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি শুধু বলেন, “ভোর চারটে নাগাদ গায়ে ইট লাগায় ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখি বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে স্ত্রী ও ছেলে মারা গিয়েছে।”

বৃদ্ধাকে নিগ্রহের নালিশ
বিনা নোটিসে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙতে গিয়ে এক বৃদ্ধাকে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়া পুরসভার কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়া শহরের লোকপুর ভকতপাড়া এলাকায়। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ অনুপমা ভকতের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙতে যান পুরসভার কয়েক জন কর্মী। অভিযোগ, সেই সময় বৃদ্ধা অনুপমাদেবী বাধা দিলে পুরকর্মীরা তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। মাথায় চোট নিয়ে ওই বৃদ্ধাকে এলাকাবাসীর সাহায্যে ওই বৃদ্ধার প্রতিবন্ধী ছেলে শ্যামল ভকত মাকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। শ্যামলবাবু বলেন, “পুরকর্মীরা বিনা নোটিসে প্রাচীর ভাঙতে এসেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই মা বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে এ ভাবে ফেলে দিলেন পুরকর্মীরা! আমরা গোটা ঘটনা পুলিশকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।” বাঁকুড়ার পুরপ্রধান শম্পা দরিপার অবশ্য দাবি, “ওই পরিবার ‘বেআইনি’ ভাবে পুরসভার জায়গায় দেওয়াল তুলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারাধীন ছিল। আমরা হাইকোর্ট থেকে অনুমতি পাওয়ার পরেই প্রাচীর ভেঙেছি।” বৃদ্ধাকে নিগ্রহ করার অভিযোগ প্রসঙ্গে পুরপ্রধানের বক্তব্য, “ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল। বৃদ্ধাকে নিগ্রহের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে নালিশ
বছরে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরির অভিযোগ উঠেছে সিপিএম পরিচালিত তালড্যাংরা পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে তালড্যাংরার বিডিও-র কাছে বুধবার অভিযোগ করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতা মাধব মাজির দাবি, ত্যালড্যাংরা সেরিকালচার অফিস মোড় থেকে রাধামোহনপুর নদীঘাট পর্যন্ত একটি রাস্তা সংস্কার করার ছিল। কিন্তু কাজ না করেও গত ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল ওই প্রকল্পে ১৯২ জন শ্রমিক কাজ করেছে দেখিয়ে একটি মাস্টাররোল জমা দিয়েছেন প্রকল্পের সুপারভাইজার গুরুপদ লোহার। এ জন্য ১৯ হাজার ২০০ টাকা শ্রমিকদের মজুরির বাবদও দেখানো হয়েছে। মাধববাবুর অভিযোগ, “উল্লেখিত তারিখে ওই রাস্তার কোনও সংস্কারকাজ হয়নি। অথচ ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি করিয়ে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছেন পঞ্চায়েত প্রধান।” গুরুপদবাবুর দাবি, “ওই সময়ে কাজ করানো হয়েছিল। আমি কোনও ভুয়ো মাস্টাররোল জমা দিইনি। কিছু স্বার্থান্বেষী মিথ্যা অভিযোগ তুলে শ্রমিকদের মজুরির টাকা আটকাতে চাইছেন।” পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান অসিত ঘোষাল বলেন, “ওই কাজে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি করে টাকা আত্মসাতের কোনও চেষ্টা আমি করিনি। এ সব তৃণমূলের অপপ্রচার। তা ছাড়া মাস্টাররোল জমা পড়লেও এখনও টাকা দেওয়া হয়নি।” বিডিও সুমন দাশগুপ্ত বলেন, “তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ বাবদ কোনও অর্থ সুপারভাইজারকে না দিতে বলা হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানকে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইন্দাসে সমবায় তৃণমূলের দখলে
টানা ৩৪ বছর দখলে থাকার পরে ইন্দাস ব্লকের শ্রীপুর উদয়ন সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন সমিতি হাতছাড়া হল সিপিএমের। এ বার নির্বাচনে প্রার্থীই দিতে পারেনি সিপিএম। ফলে ওই সমবায়ের পরিচালন সমিতির প্রতিনিধিদের ৬টি আসনেই তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। সমিতির ম্যানেজার শেখ আব্দুল করিম বলেন, “২৬ সেপ্টেম্বর সদস্য প্রতিনিধি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তৃণমূলের প্যানেলের ৬ জনা জমা দিলেও আর কেউ দেননি। তাই ওই ৬ জনকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।” সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির আহ্বায়ক অসীম দাসের অভিযোগ, “এলাকায় তৃণমূল ব্যাপক সন্ত্রাস করছে। ফলে এখন কেউ আমাদের দলের হয়ে ভোটে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ওই সমবায় সমিতির ভোটেও প্রার্থী দিইনি।” ইন্দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি রবিউল হোসেনের অবশ্য দাবি, “এত দিন গায়ের জোরে এলাকার সব সমবায়ের ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল সিপিএম। এ বার যে আর ভয় দেখিয়ে ভোটে জেতা যাবে না, সেটা নিশ্চিত বুঝেই ওরা প্রার্থী দেয়নি। আর সন্ত্রাস কারা করছে, এলাকার মানুষ জানেন।”

মাওবাদী নাশকতায় যুক্ত সন্দেহে ধৃত
মাওবাদী নাশকতায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম তরণী টুডু। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার বেরসা গ্রামে। পুলিশের দাবি, ধৃত যুবক মাওবাদীদের অযোধ্যা পাহাড় স্কোয়াডের এরিয়া কমান্ডার। ২০০৬-এ ওই স্কোয়াডের সদস্য তরুণী এক বছর আগে এরিয়া কমান্ডারের দায়িত্ব পান। শুক্রবার সকালে কোটশিলা থানা এলাকা থেকে তাঁকে ধরা হয় বলে পুলিশের দাবি। পুরুলিয়া আদালতে হাজির করালে তাঁর ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়। তরুণীর পরিবারের দাবি, ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ বাঘমুণ্ডি থেকে ধরলেও এতদিন পরে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তুলেছে।

চাল নিয়ে ওন্দায় ক্ষোভ
নিজস্ব চিত্র।
খরার জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় আসা চাল বন্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। শুক্রবার ওন্দার রামসাগরের ঘটনা। ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান ধরণী বাগদিকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় হাতিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, “গত বছরের খরার জন্য সম্প্রতি বিনামূল্যে যে চাল বিলি করা হচ্ছিল, তা থেকে বঞ্চনা করা হয়েছে। কেন এই সরকারি সুবিধা আমাদের দেওয়া হল না তা জানতে এসেছিলাম।” সুনীল হাঁসদা, শ্রীমতি বাস্কের ক্ষোভ, “আমাদের মতো গরিব মানুষদের নামে আসা চাল মধ্যবিত্ত মানুষদের বিলি করা হচ্ছে, অথচ আমরা পাচ্ছি না।” বিপিএল তালিকার ত্রুটির জন্য কিছু সমস্যা হয়েছে স্বীকার করে প্রধান বলেন, “ওই গ্রামের কেউ যে খরার চাল পান নি ঠিক নয়। বিপিএল তালিকায় নাম না থাকার জন্য কেউ কেউ এই সাহায্য পান নি। পরবর্তীকালে সংশোধনের পরে তাঁদের প্রাপ্য পাবেন।” বিলি না করে কয়েক বস্তা চাল স্থানীয় একটি ক্লাব ঘরে মজুত করে রাখা হয়েছে বলেও বাসিন্দাদের অভিযোগ। এ ব্যাপারে প্রধানের দাবি, “ওই চাল পঞ্চায়েতের কিনা জানি না।”

বাজ পড়ে মৃত্যু তরুণের
কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক তরুণের। শুক্রবার সন্ধ্যার মুখে ঘটনাটি ঘটেছে বাঘমুণ্ডির কানুডি গ্রামের অদূরে। মৃতের নাম কালোবরণ কুমার। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। তাঁর সহপাঠী জপন কুমারও চোট পেয়েছেন। তাঁকে বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলেজ থেকে সাইকেলে দুই বন্ধু বাড়ি ফিরছিলেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তাঁরা একটি গাছের নীচে আশ্রয় নেয়। তখনই বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলেই কালোবরনের মৃত্যু হয়।

খুন, ধৃত আরও ১
কোদালের হাতল দিয়ে খুনের অভিযোগে মৃতের আর এক ভাইপোকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শ্যাম শবর। পুলিশ জানায়, পারিবারিক বিবাদের জেরে ২৭ অগস্ট মানবাজার থানার জামদা গ্রামের বাসিন্দা মহাদেব শবরকে কোদালের হাতল দিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। খুন করার অভিযোগে কান্ত শবর নামে তাঁর এক ভাইপোকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ওই থানার কেলারডি গ্রাম থেকে পুলিশ শ্যামকে ধরে।

তৃণমূলে যোগ
অনুন্নয়নের অভিযোগে তুলে শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বোরো থানার জয়পুর গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবার সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.