পুরুলিয়ার জন্য আরও বেশি সার দেওয়ার আবেদন জানাল কৃষি দফতর। জেলার জন্য বরাদ্দ সার ইতিমধ্যে এসে গিয়েছে। কিন্তু আরও সারের প্রয়োজন রয়েছে বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা অশ্বিনীকুমার কুণ্ডু জানান, ইফকো গত শুক্রবার পুরুলিয়ার জন্য বরাদ্দ প্রায় ২৫০০ টন ইউরিয়া সার পাঠিয়েছে। তা ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, এর পরেও চাষিদের কাছে সারের চাহিদা রয়েছে বলে খবর আসছে। বুধবার বলরামপুর কৃষি সমবায় সমিতির সামনে এলাকার চাষিরা ভিড় জমান। সিপিএম নেতা তথা বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কোকিল রজক বলেন, “অনেক চাষিই সার পাননি।” সে দিন চাষিদের এমন জমায়েতের কারণে ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজটও হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সারের দাবিতে শুক্রবার সকালে কংগ্রেসের নেতৃত্বে পাড়া থানার সামনে সাঁওতালডিহি-পুরুলিয়া রাস্তা অবরোধ করেন শতাধিক চাষি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা রিজুয়ান আহমেদের অভিযোগ, “এই সময়ে ধানের কলম বাড়ানোর জন্য ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু খোলা বাজার বা কৃষি সমবায় সমিতি, কোথাও ওই সার মিলছে না। কৃষি দফতর ও প্রশাসনকে জানিয়েও সমাধান হয়নি। পাড়ার কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক জহরলাল ভৌমিক জানান, জেলায় ২৬০০ মেট্রিক টন সার এলেও বেশির ভাগই পুরুলিয়া সদর ডিভিশনে চলে গিয়েছে। রঘুনাথপুর বিভাগে কৃষি সমবায় সমিতির সংখ্যা কম এবং সার মজুতের পরিকাঠামোও দুর্বল। ফলে সার পেতে চাষিদের সমস্যা হচ্ছে। তাঁর আশ্বাস, “জরুরি ভিত্তিতে সার আনার ব্যবস্থা হয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যেই চাষিরা সার পাবেন।
উপ-কৃষি অধিকর্তা অশ্বিনীবাবু বলেন, “আমাদের দু’লক্ষ ৭৮ হাজার হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। অন্য বার সারের এত চাহিদা থাকে না। কিন্তু এ বার পুরো জমিতে চাষ হয়েছে। পাশাপাশি আরও কিছু জমিতে ধান লাগিয়েছেন চাষিরা। তাই এ বার সারের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। আরও সার দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” এ দিকে, বাঁকুড়ায় ২৫০০ টন ইউরিয়া সারের যে রেক আসার কথা ছিল, শুক্রবারও তা আসেনি। জেলা কৃষি দফতরের সহ-কৃষি অধিকর্তা অনন্ত হাজরা জানান, কিছু সমস্যা হওয়ায় এ দিন রেক আসেনি। আজ, শনিবার সেটি এসে পড়বে বলে তিনি আশ্বাস দেন। |