রাস্তা আছে। কিন্তু তা চলাচলের অযোগ্য। পিচ উঠে গর্ত হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও জল জমে গর্ত ডোবার আকার নিয়েছে। কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়ে, ঘটকপুকুর-বারুইপুর রোড, ঘটকপুকুর-ভাঙড় ৯১ নম্বর বাস রোড, ও ভোজেরহাট-লাইহাটি রোডের এমনই অবস্থা। বাসন্তী ও গোসাবা বিধানসভা এলাকার সোনাখালি-গদখালি এবং সোনাখালি-ঝড়খালি এলাকার রাস্তার হালও খুব শোচনীয়। খারাপ রাস্তার কারণে নিত্য নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে পথচারীদের। |
রাজ্যের পর্যটন মানচিত্র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুন্দরবন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে সুন্দরবন যাওয়ার একমাত্র সড়কপথ হওয়ায় বাসন্তী হাইওয়ের আর এক নাম ‘গেটওয়ে অব সুন্দরবন’। কলকাতা থেকে বাসন্তী যাওয়ার রাস্তার মধ্যে পড়ে বানতলা, বামনঘাটা, ভোজেরহাট, পাগলাহাট, ঘটকপুকুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রধান এই সড়কপথ উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ, মালঞ্চ, সরবেড়িয়ার উপর দিয়ে গিয়ে বাসন্তী হয়ে সুন্দরবনে মিশেছে। বাসন্তীর সোনাখালি থেকে আবার দুটি রাস্তা বেরিয়ে গদখালি ও ঝড়খালি হয়ে সুন্দরবনে মিশেছে। গুরুত্বপূর্ণ এই হাইওয়ের দু’পাশে ঘন জনবসতি, দোকানবাজার, হাসপাতাল, স্কুল থাকায় প্রচুর মানুষ এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। চলে বিভিন্ন রুটের বাস-সহ নানা যানবাহন।
এর পাশাপাশি ঘটকপুর-বারুইপুর রোড-সহ অন্যান্য রাস্তার গুরুত্বও কম নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, দীর্ঘদিন ধরে মেরামতি না হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই সব রাস্তা চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ক্ষতি হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশের। সম্প্রতি ঘটকপুর মোড়ে যানজট ও দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্র্যাফিক সিগনাল ও ট্র্যাফিক গার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাঙড় থানার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে, বেহাল রাস্তার কারণে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। ভাঙড়-১-এর বিডিও পারমিতা রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তা মেরামতির কাজ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে পূর্ত দফতরকে জানানো হয়েছে। |
অন্য দিকে ক্যানিং মহকুমার রাস্তার ব্যাপারে মহকুমাশাসক বলেন, পূর্ত ও সড়ক বিভাগকে অবিলম্বে রাস্তা সারাইয়ের জন্য বলা হয়েছে। পূর্ত ও সড়ক বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শঙ্কর দত্ত বলেন, “প্রচণ্ড বৃষ্টির জন্য রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করা যায়নি। কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।” তবে তাঁর কথায়, “ভাঙড় ৯১ নম্বর বাস রোডটি বারাসত সড়ক বিভাগের মধ্যে পড়ে। ওই রাস্তার ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।” |