|
|
|
|
ভূপতিনগরে ফের উদ্ধার হাড়গোড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
ফের হাড়গোড় উদ্ধার হল ভূপতিনগরে।
মাসখানেক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানা এলাকার বাজকুলে একটি স্কুল চত্বর থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় পাওয়া গিয়েছিল। শুক্রবার বড়বড়িয়া হাজরা বিদ্যাপীঠে নতুন ভবনের কাজ চলাকালীন মাটি খুঁড়ে ৬০-৬৫টি হাড়ের টুকরো মেলে। এখনও পর্যন্ত দেহাবশেষের দাবি জানায়নি কেউ। তবে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক মামুদ হোসেনের বক্তব্য, “জেলায় আমাদের ১৯ জন কর্মীর কোনও হদিস নেই। ওই হাড়গোড় ওঁদেরই কারও হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।” ভগবানপুর ২ ব্লকে বাসুদেববেড়িয়ায় দু’একরেরও বেশি জায়গা নিয়ে বড়বড়িয়া হাজরা বিদ্যাপীঠ। উচ্চ মাধ্যমিক ওই স্কুলের চত্বরের এক দিকে সম্প্রতি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কাজ শুরু হয়েছিল। এ দিন মাটি খোঁড়ার সময়ে কিছু হাড়ের টুকরো উঠে এলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভূপতিনগর থানায় খবর দেন। পরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ভগবানপুর ২-এর বিডিও সৌম্য চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি প্রদীপ কয়ালেরাও সেখানে হাজির ছিলেন।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দুই মেদিনীপুরে একের পর এক জায়গা থেকে হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে। নাম জড়াচ্ছে ‘হেভিওয়েট’ সিপিএম নেতার। দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে জেল হাজতে যেতে হয়েছে সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষকে। বাজকুলের ঘটনায় সরাসরি না হলেও নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত পাত্রের কটাক্ষ, “তৃণমূল কর্মীদের হাড়গোড় উদ্ধারের বিষয়টা ফাটা রেকর্ডের মতো হয়ে গিয়েছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ।” মেদিনীপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন দাসেরবাঁধ হাড়গোড়-কাণ্ডে ধৃত সিপিএম কর্মী শিবরাম সিংহ। দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন। ঘণ্টা দেড়েক পরে তাঁকে ফের মেদিনীপুর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর শিবরামকে ফের আদালতে তোলা হবে। |
|
|
|
|
|