পাঁচ দিন লড়ে মৃত্যুর কাছে হার আজহার-পুত্রের
পুত্রশোকের ট্র্যাজেডি থেকে নিষ্কৃতি পেলেন না মহম্মদ আজহারউদ্দিন।
গত পাঁচ দিন ধরে মৃত্যুর একের পর এক ‘বাউন্সার’ সামলে জীবনের যুদ্ধে কোনও মতে ‘ক্রিজে’ ছিলেন বছর উনিশের মহম্মদ আয়াজউদ্দিন। দেশ জুড়ে ছিল প্রার্থনা। হাসপাতালে বিনিদ্র রাত জাগছিলেন আয়াজের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়রা। ছিলেন বাবা আজহারও, যিনি লন্ডনে নেমেই পেয়েছিলেন ছেলের বাইক-দুর্ঘটনার দুঃসংবাদ। সঙ্গে সঙ্গে ফিরতি বিমানে উড়ে আসেন ভারতে। আয়াজের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কিডনি বাদ দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের টিম। কিন্তু যত সময় যেতে থাকে, তত অবস্থার অবনতি হয়। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন আয়াজ। অনূর্ধ্ব ১৩, অনূর্ধ্ব ১৫ এবং অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট খেলেছেন। হায়দরাবাদের ক্রিকেটমহলে প্রতিশ্রুতিমান বলে যথেষ্ট সুনাম ছিল আয়াজের। আজ বিকেল পাঁচটায় আয়াজকে অন্তিম শয়নে শায়িত করা হয়। প্রার্থনার জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মক্কা মসজিদে। আজহার বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। আয়াজের মৃত্যুতে হায়দরাবাদ তথা দেশের ক্রিকেটমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং সাইটেও আসতে থাকে শোকবার্তা। যেমন সানিয়া মির্জা টুইট করেন, “শান্তিতে বিশ্রাম নাও আয়াজউদ্দিন... তোমার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও প্রার্থনা...আল্লা যেন এই কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তি তাঁদের দেন।” আজহারের শৈশবের বন্ধু ও ক্রিকেট ভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে টুইট করেছেন, “...উনিশ বছরের আজহারকে মনে পড়ছে যাকে আমি চিনতাম। বয়সটা জীবন শুরু করার। শেষ করার নয়।” বলিউড অভিনেতা রাহুল বসু আবার লিখেছেন, “আজহারের ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে খুবই মর্মাহত। কোনও বাবা মাকে যেন এমন ট্র্যাজেডি সহ্য করতে না হয়। যেন এই সময়ের সঙ্গে লড়ার শক্তি আজহারের থাকে।” মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি। আজহারকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা অবশ্য তাঁর ছিল না।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.