পুজোর ভিড় সামাল দিতে এ বারও বেশি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁদের এই ঘোষণা কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, শুক্রবারও দিনভর ভুগিয়েছে মেট্রো। কখনও বাতানুকূল ব্যবস্থায় গণ্ডগোল, কখনও আবার সিগন্যালে বিভ্রাট হওয়ায় ট্রেন দেরিতে চলে।
সারা দিনই বেশ কিছু ট্রেন বাতিল এবং অনিয়মিত চলার কারণে ভোগান্তি হয় যাত্রীদের। তার জের চলে রাত পর্যন্ত।
এ দিন এসি মেট্রোয় বাতানুকূল ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ না করায় চরম অসুবিধা হয় যাত্রীদের। সকালে একটি ট্রেন বাতিল হওয়ার পরে বেলা ১১টা ৩১ মিনিটে দমদম থেকে ছাড়ে ওই রেকটি। গৌতম ঘোষাল নামে এক যাত্রী বলেন, “এসি কাজ না করায় শ্যামবাজারের পরে দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। বৃদ্ধেরা অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। কয়েক জন নেমে যান শোভাবাজারে।” মেট্রো সূত্রে খবর, মহাত্মা গাঁধী রোড আসার পরে অবস্থা আরও খারাপ হলে যাত্রীদের নামিয়ে খালি রেকটিকে টালিগঞ্জের দিকে পাঠানো হয়। ফলে পরের তিনটি ট্রেনে অসম্ভব ভিড় হয়। দুপুরেও দমদমমুখী এসি রেকে বাতানুকূল ব্যবস্থা চালু ছিল না বলে অভিযোগ। মেট্রো-কর্তৃপক্ষ অবশ্য এসি খারাপ হওয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, বেশি ভিড় হওয়ার ফলেই এসির ঠান্ডা কম বলে মনে হয়েছে। প্রচণ্ড ভিড়ে এসি ট্রেন চালানো মুশকিল বলেও জানান তাঁরা। মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “সকাল থেকেই ক্ষুদিরাম ও গীতাঞ্জলির মধ্যে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালে গোলমাল চলছিল। রাতের দিকে তা ঠিক হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে।”
অন্য দিকে, পুজোর মরসুমে প্রতি রবিবার সকাল দশটা থেকে চলবে মেট্রো। আগামী কাল থেকে দীপাবলি পর্যন্ত। পুজোর পরেও রবিবার সকালে মেট্রো চালানোর কথা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী জানান, তিনি কলকাতা মেট্রো পরিদর্শনের দিন যাত্রীরা দাবি তোলেন, সারা বছরই রবিবার সকালে মেট্রো চালানো হোক। একই দাবি রাজ্য সরকারেরও। তারই ভিত্তিতে দীনেশবাবু বলেন, “সারা বছরই যাতে রবিবার সকালে মেট্রো চালানো যায়, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।”
মেট্রো সূত্রে খবর, এ বারও পুজোর সময়ে সারা রাত ট্রেন চালানো হবে। ৪ ও ৫ অক্টোবর, অষ্টমী ও নবমীতে দুপুর দু’টো থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত চলবে মেট্রো। ২ অক্টোবর, সপ্তমীর দিন ট্রেন চলবে দুপুর দু’টো থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। তবে দশমীর দিন মেট্রো মিলবে তিনটে থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত। |