এক সদ্যোজাতের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভাঙচুর চালালেন রোগীর বাড়ির লোকেরা। মঙ্গলবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে। যদিও এই ঘটনায় রোগীর বাড়ির তরফে হাসপাতাল সুপারের কাছে বা থানায় চিকিৎসায় গাফিলতির কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে ভাঙচুরের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন ক্যানিংয়ের উত্তর তালদি এলাকার বাসিন্দা দেবিকা মণ্ডল। ওই রাতেই তাঁর চিকিৎসা করেন চিকিৎসক অমিতাভ গাইন। মঙ্গলবার ভোরে দেবিকাদেবী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এর পরে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শিশুটি মারা যায়। চিকিৎসকের গাফিলতিতেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তুলে রোগীর বাড়ির লোকজন হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করে দেন। সুশান্ত হালদার নামে হাসপাতালের অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। দেবিকাদেবীর স্বামী বিকাশ মণ্ডলের অভিযোগ, “চিকিৎসক অমিতাভ গাইন ঠিকমতো চিকিৎসা না করাতেই তাঁদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।” |
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে দেবিকাদেবী ও তাঁর বাড়ির লোকদের বলে দেওয়া হয়েছিল বাচ্চার অবস্থা ভাল নয়। বাচ্চাটি ছিল অপরিণত। ৩৪ সপ্তাহের। প্রসবের পরে দেখা যায় বাচ্চাটির ওজন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম। তা ছাড়া তার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও ছিল। এ জন্য অক্সিজেন থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।”
হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, “শিশুমৃত্যুর ঘটনা দুভার্গ্যজনক। অপরিণত ওই শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শিশুটির মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে যে ভাবে হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হল তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর ফলে অন্য রোগীদের অসুবিধায় পড়তে হয়।’’ এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। এদিকে ভাঙচুরের ঘটনার পর রোগীর বাড়ির লোকজনকে আর দেখা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |