কেবল অনগ্রসর নয়, রাজ্যের সব সংখ্যালঘুর জন্যই সংরক্ষণের দাবি জানাল অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিল। পাশাপাশি, রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের জন্য এক জন প্রতিমন্ত্রীর দাবিও জানাল তারা। সংগঠনের সভাপতি তথা রেড রোডে ঈদের নমাজের ইমাম ক্বারী কাজি ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল সোমবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী তথা সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ওই পরামর্শ দিয়েছেন।
ফজলুর রহমান বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর রেখেছেন, এটা ভাল কথা। কিন্তু নানা কারণে এক জন প্রতিমন্ত্রীর প্রয়োজন রয়েছে। চাইলেই মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব নয়। তা ছাড়া, অনেকগুলি দফতরের দায়িত্ব হাতে থাকায় তাঁর পক্ষে সংখ্যালঘু দফতরের কাজে নিয়মিত নজর রাখাও কঠিন হয়।”
গত ৩১ অগস্ট ঈদের দিন রেড রোডের নমাজের জমায়েতে কাজি ফজলুর রহমানই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছিলেন, ক্ষমতায় আসার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি পাহাড় ও জঙ্গলমহলের সমস্যা মিটিয়েছেন। কিন্তু সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধানে বিশেষ কিছুই করেননি। আগের বামফ্রন্ট সরকার শেষ দিকে দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তার বাস্তবায়ন হয়নি। তার জেরেই বামফ্রন্টকে বিদায় নিতে হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন ফজলুর রহমান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, সংখ্যালঘু সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান না করতে পারলে, তাঁকেও চলে যেতে হবে। এ দিন মিল্লি কাউন্সিলের সদস্যদের নিয়ে কাজি ফজলুর রহমান মহাকরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সংখ্যালঘুদের জন্য একগুচ্ছ দাবি জানান। মিল্লি কাউন্সিলের দাবি, শুধু অনগ্রসর মুসলিমদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ নয়। সাচার কমিটির সুপারিশ মেনে সব মুসলিমকেই সংরক্ষণের আওতায় আনতে হবে। মুসলিমদের মধ্য থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্য, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কমিটির প্রধান নিয়োগ করতে হবে। এ ছাড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষার দাবির সঙ্গে মুসলিমদের জন্য রাজারহাট, ডায়মণ্ড হারবার, কোনা এক্সপ্রেওয়েতে সমবায় ভিত্তিতে বাড়ি করার জন্য জমি দেওয়ার দাবিও জানান মিল্লি কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা। |