টুকরো খবর

নয়া নিম্নচাপ হাজির, আজ বৃষ্টির আশা
ভরা ভাদ্রের গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। গুমোট গরম থেকে রেহাই দিতে একটি নিম্নচাপ হাজির বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এ দিন বিকেলের পরে কমবেশি বৃষ্টিও হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তাতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। আজ, বুধবার রাজ্যের সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ মঙ্গলবার বলেন, “বাংলাদেশ সন্নিহিত বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবে রাজ্যের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গরমে কয়েক দিন ধরে যে-অস্বস্তিকর আবহাওয়া তৈরি হয়েছে, বৃষ্টিতে তার অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।” তবে নিম্নচাপটির গতিপ্রকৃতি তাঁদের কাছে এখনও স্পষ্ট হয়নি বলে জানান আবহবিদেরা। গোকুলবাবুর কথায়, “নিম্নচাপটি সবে তৈরি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সেটি আরও শক্তি বাড়াবে কি না, এখনই সেটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে, নিম্নচাপের শক্তি বাড়লে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির দাপট বাড়তে পারে।”

বনকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-তদন্ত
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল অতনু রাহার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। মঙ্গলবার মহাকরণে মন্ত্রী জানান, ওই বনকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। হিতেনবাবুর কথায়, “সেই সব অভিযোগ অর্থ দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থ দফতর ওই বনকর্তার বিরুদ্ধে স্পেশ্যাল অডিট করবে।”অতনুবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরেই নানা ভাবে তাঁকে অপদস্থ করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। আমি একটুও বিচলিত নই। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় তথ্য তুলে দেব আমি।” দুর্নীতির অভিযোগে বন দফতরের কোচবিহার ডিভিশনের ওয়াইল্ড লাইফ (৩)-এর ডিএফও-কে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।

আইএএস কম, কেন্দ্রের দ্বারস্থ রাজ্য
পশ্চিমবঙ্গে আইএএস অফিসারের সঙ্কট কাটাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইল রাজ্যের নতুন সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত মাপকাঠি অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের হাতে মোট ৩১৪ জন আইএএস অফিসার থাকার কথা। কিন্তু এখন আছেন তার চেয়ে অন্নত ১০০ জন কম। ফলে প্রশাসন চালাতে হিমশিম খাওয়ার দশা রাজ্য সরকারের। এই অবস্থায় এক-এক জন প্রবীণ আইএএস অফিসারকে একাধিক দফতরের সচিবের কার্যভার সামলাতে হচ্ছে। আইএএস পরীক্ষায় সফল হয়ে প্রতি বছর যাঁরা নতুন চাকরিতে ঢুকছেন, বহু বছর ধরেই তাঁদের মধ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে গড়ে ৪-৫ জন অফিসার। ২০০৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছিল মাত্র এক জন আইএএস। রাজ্য চায়, অনুমোদিত পদের সঙ্গে বাস্তবে আইএএস অফিসারের সংখ্যার ওই ফারাক কমাতে ২০১১ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে প্রতি বছর গড়ে ১২ থেকে ১৫ জন নতুন আইএএস অফিসার দেওয়া হোক। সেই জন্য রাজ্য-ভিত্তিক আইএএস অফিসার বণ্টনের যে-সূত্র কেন্দ্র মেনে চলে, তার ‘মধ্যবর্তী পর্যালোচনা’-ও চেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

জঙ্গলমহলে যাচ্ছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
জঙ্গলমহলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের শিশু ও নারী কল্যাণের কাজে গতি আনতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ২০ সেপ্টেম্বর জঙ্গলমহলের বিনপুর-২ নম্বর ব্লকে যাবেন। সেখানে এক অনুষ্ঠানে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৮০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মধ্যে শাড়ি বিতরণ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, “পুজোর আগে পিছিয়ে-পড়া জেলা পুরুলিয়াতেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মহিলা কর্মীদের শাড়ি দেওয়া হবে। সব জেলাতেই অনুরূপ কর্মসূচি নেওয়া হবে।” জঙ্গলমহলে ২৩টি ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। চলতি আর্থিক বছরে সেখানে আরও ৮টি কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা আছে। মন্ত্রী জানান, জঙ্গলমহল-সহ পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় ভাবে গুদামও তৈরি করা হবে। সেখানে ওষুধ, খাবার এবং শিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে অক্ষর পরিচয় করানোর জন্য সরঞ্জাম মজুত রাখা হবে। মন্ত্রীর কথায়, “দ্রুত সামগ্রী সরবরাহ করার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধীর জন্য পুজোয় আদর্শ ট্যাক্সি
পুজোয় মূলত প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন মণ্ডপে ঘোরাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘আদর্শ ট্যাক্সি’র বন্দোবস্ত করল বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিমলকুমার গুহ মঙ্গলবার জানান, পঞ্চমী থেকে দশমী ২৪ ঘণ্টাই ওই সব ট্যাক্সি চলবে। ট্যাক্সিতে থাকবে ফার্স্ট এড বাক্স, মোবাইল ফোন, বোতলের জল ইত্যাদি। ন্যূনতম পাঁচ ঘণ্টার জন্য ৯০০ টাকার বিনিময়ে ট্যাক্সি ‘বুক’ করা যাবে। পরের প্রতি ঘণ্টায় দিতে হবে ১৮০ টাকা। প্রতিবন্ধী ও প্রবীণেরা মোট খরচের উপরে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন তাঁরা। যোগাযোগ এই নম্বরে: ২৪৭৫-৩৫০৫ এবং ২৪৭৪-২২৪৯।

তিস্তা প্রকল্পে দেরি কেন, তদন্তে তৈরি হল কমিটি
তিস্তা প্রকল্পের কাজে কেন গতি আসেনি, তা দেখতে তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্যের সেচ দফতর। পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির প্রধান প্রাক্তন সেচসচিব বিশ্বতোষ সরকার। মঙ্গলবার মহাকরণে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “কমিটি দ্রুত রিপোর্ট দেবে।” তিনি জানান, তিস্তা প্রকল্পের কাজের জন্য আসা অনেক যন্ত্রপাতি পড়ে আছে। সেগুলি ব্যবহার করা হয়নি। কমিটির করণীয় কী? মানসবাবু জানান, কমিটি মূলত তিনটি বিষয়ে তদন্ত করবে। i ওই প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি হয়েছে কি না। i তিস্তা প্রকল্পের কাজের ‘রোড ম্যাপ’-এর কী হল? i প্রকল্পের কাজে দেরি হল কেন? সমস্যার সমাধানই বা কী, সেই ব্যাপারেও সুপারিশ করবে কমিটি।

জমি-নীতি
মন্ত্রিসভার বুধবারের বৈঠকে রাজ্যের নিজস্ব জমি-নীতি অনুমোদন হওয়ার কথা। মঙ্গলবার রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ কথা জানান। সরকারি সূত্রের খবর, সরকার অনেক আগেই জমি-নীতি ঠিক করে ফেলেছে। কিন্তু এর মধ্যে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মন্ত্রিসভার বিগত বৈঠকে জমি-নীতি অনুমোদন করানো যায়নি। পার্থবাবুর আশা, মন্ত্রীদের কাছ থেকে নতুন করে কোনও প্রশ্ন না-এলে বুধবারের বৈঠকেই রাজ্যের জমি-নীতি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.