টুকরো খবর |
ভূমি দফতরের আসবাব ‘ক্রোক’ কাঁথিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
নিম্ন-আদালত থেকে জেলা আদালত, এমনকী কলকাতা হাইকোর্ট এক বিচারপ্রার্থীর জমি খাস নয় ‘রায়তি’ বলে রায় দেওয়ার পরেও ভূমিসংস্কার দফতর রেকর্ড সংশোধন করেনি। আদালত অবমাননার জেরে মঙ্গলবার কাঁথি-১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের অফিসের আসবাবপত্র ক্রোক করা হল। কাঁথি আদালতের নির্দেশে আদালতের নাজির ব্লক ভূমি অফিসের ৪টি চেয়ার, ২টি আলমারি ও ২টি টেবিল ‘ক্রোক’ করেছেন। কাঁথি আদালতের আইনজীবী শুভেন্দুবিকাশ বেরা জানান, পূর্ব কুমারপুরের প্রয়াত ত্রৈলোক্য বেরা ১৯৪১-৪২ সালে সরকারের কাছ থেকে জালালখাঁবাড় মৌজায় বরাবরের জন্য ৯৪ ডেসিমেল জায়গার বন্দোবস্ত পান। ১৪০৭ বঙ্গাব্দ অবধি ওই জমির খাজনাও নিয়মমতো জমা করেন ত্রৈলোক্যবাবুর উত্তরসূরিরা। ১৪০৮ থেকে খাজনা নেওয়া বন্ধ করে দেয় ভূমি দফতর। এর আগে ১৯৬৬ সালে ভূমি দফতরের রেকর্ডে ওই ৯৪ ডেসিমেল জমি ‘খাস’ হিসাবে দেখানো হয়। প্রতিবাদে ১৯৬৭ সালে কাঁথি আদালতে ও পরে জেলা আদালত ও হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় ত্রৈলোক্যবাবুর পরিবারের তরফে। হাইকোর্ট ‘রায়তি’ জমি হিসাবেই রায় দেয়। তার পরেও কিন্তু ভূমি দফতর রেকর্ড সংশোধন করেনি। আদালতের নির্দেশে আসবাব ক্রোকের প্রেক্ষিতে মহকুমা ভূমি আধিকারিক জগৎবন্ধু মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁর অফিসে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। |
হলদিয়ায় প্রার্থী দিতে পারল না এসএফআই
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
এক সময় যে হলদিয়া ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি, পালাবদলের পরে সেখানে কলেজের মনোনয়নই তুলতে পারল না সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ফলে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই হলদিয়ার রামপুর বিবেকানন্দ মিশন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ দখল নিতে চলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন তোলার শেষ দিন ছিল এই কলেজে। এসএফআইয়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়কের অভিযোগ, “টিএমসিপি-র ছেলেরা মনোনয়ন তুলতে দেয়নি।” ফলে ২৬ তারিখ, নির্বাচনের আগেই কার্যত ছাত্রসংসদের দখল পেয়ে গেল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। উল্লেখ্য, বুধ ও বৃহস্পতিবার হলদিয়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ে মনোনয়নপত্র তোলার দিন। কিন্তু সেখানেও টিএমসিপি-র ছেলেরা মনোনয়নপত্র তুললে মারধরের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ এসএফআই নেতাদের। রামপুর বিবেকানন্দ মিশন ও হলদিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রসংসদ এতদিন এসএফআইয়ের দখলে ছিল। সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সম্পাদক দীপক দাস বলেন, “ওরাই বরং কলেজে ভোট করতে দিত না। ১৪ বছর পর বিবেকানন্দ মিশন কলেজে জয়লাভ করলাম আমরা।” |
পুরসভার পথবাতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
শহরের বেশ কিছু রাস্তার ধারে আলোর ব্যবস্থা না থাকা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। সম্প্রতি তাঁদের দাবি মেনে নিল পুরসভা। অবশেষে প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হলদিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাচক জি ব্লক ও নিউকলোনি এলাকার একাংশে ১৫৬টি পথবাতি বসানো হয়েছে। মঙ্গলবার এই উপলক্ষে এলাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উপ-পুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিক, সুভাষচন্দ্র নস্কর-সহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। |
রাজ্য সড়ক মেরামতে ১৫ কোটি
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
|
বেহাল কোলাঘাট-জশাড় রাস্তা। ছবি তুলেছেন পার্থপ্রতিম দাস। |
পুজোর আগেই জেলার বিভিন্ন বেহাল রাজ্যসড়ক মেরামতির জন্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ঠিকাদার নিয়োগ করল পূর্ত দফতর। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত দফতরের স্থায়ী সমিতির বৈঠকে রাস্তাঘাট সংস্কার ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পূর্ত স্থায়ী সমিতির সদস্য তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, জেলার সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ সুফিয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা মেরামতির জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ঠিকাদার নিয়োগ করেছিল জেলা পরিষদ। পুজোর আগেই এই সব কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ দিন বৈঠকে জেলার পূর্ত আধিকারিকেরা জানান, বাজকুল-এগরা, কাঁথি-জুনপুট, তমলুক থেকে টেংরাখালি, পুরষাঘাট প্রভৃতি রাজ্যসড়ক সম্পূর্ণ ভাবে মেরামতির জন্য ১০৭ কোটি টাকা চেয়ে রাজ্য পূর্ত দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বৈঠকে তমলুকের নিমতলা থেকে হলদিয়ার সুতাহাটা পর্যন্ত রাজ্যসড়ক সম্প্রাসারণের কাজ ঢিমেতালে চলায় পূর্ত স্থায়ী সমিতির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাংসদ শুভেন্দু বলেন, “স্বচ্ছতা আনতে জেলা পরিষদ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইন করতে হবে।” এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাজের ক্ষেত্রেও অনলাইনে ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব দেন শুভেন্দু। |
বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আবাসন থেকে মঙ্গলবার সকালে সুমন সিংহ (৬১) নামে এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হলদিয়ায়। বাড়িতে মিলল প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার অর্ধদগ্ধ কিষান বিকাশ পত্র। বৃদ্ধার বাড়ি ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলায়। এখানে সম্পর্কিত ভাইপো দীপক সিংহের কাছে থাকতেন তিনি। অফিসের কাজে দু’দিনের জন্য কলকাতায় গিয়েছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী দীপক। তাঁর দাবি, সোমবার রাতে সুমনদেবীর সাড়া না পেয়ে তিনি পুলিশে খবর দেন। |
|