|
|
|
|
মেদিনীপুরেও এগিয়ে |
কেশপুর কলেজে নিরঙ্কুশ জয় নিশ্চিত টিএমসিপি’র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ক্ষমতার হাতবদল। রাজ্যের পরে এ বার ‘লালদুর্গ’ কেশপুরের কলেজেও।
কেশপুর কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নিরঙ্কুশ জয় নিশ্চিত। মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৪০টি আসনের সব কটিতেই মনোনয়ন দিয়েছে শুধু টিএমসিপি। এসএফআই, ছাত্র পরিষদ কেউই প্রার্থী দেয়নি! অর্থাৎ ভোটাভুটি ছাড়াই ছাত্র সংসদ দখল করতে চলেছে টিএমসিপি। গত বছরও প্রতিদ্বন্দ্বী হয়নি। তবে সে বার এক তরফা ভাবে জিতেছিল এসএফআই’ই। কেশপুরের টিএমসিপি নেতা শেখ তইদুল আলি বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম ভোট হোক। কিন্তু অন্য কোনও সংগঠন তো মনোনয়নই জমা দেয়নি।” তাঁর দাবি, ছাত্রছাত্রীরাই এসএফআইয়ের থেকে মুখ ফিরিয়েছে। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পন্ডার অবশ্য অভিযোগ, “কেশপুর জুড়ে এখন সন্ত্রাসের আবহ। তাই এই পরিস্থিতি। দলীয় কর্মী- সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়েছে।” কলেজ ভোট ঘিরে কেশপুরে এখনও গোলমাল বাধেনি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশান্ত দোলই বলেন, “মনোনয়ন-পর্ব নির্বিঘ্নেই মিটেছে।” |
|
মেদিনীপুর কলেজে টিএমসিপি’র বিজয়োৎসব। নিজস্ব চিত্র। |
শুধু কেশপুর নয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের অধিকাংশ কলেজেই এ বার পালাবদলের ইঙ্গিত। মেদিনীপুর কলেজে এ দিন ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই কলেজের ছাত্র সংসদ এসএফআইয়ের দখলে ছিল। এ বার অবশ্য তারা নামমাত্র আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। অন্য দিকে, ৮৭টি আসনের মধ্যে ৮৪ টিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ৩৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসের অদূরে মিছিল করে টিএমসিপি। চলে আবির খেলা! সংগঠনের মেদিনীপুর শহর সভাপতি বুদ্ধ মণ্ডলের বক্তব্য, “এ বারের ভোটে ছাত্রছাত্রীরা এসএফআইয়ের দীর্ঘ সন্ত্রাসেরই জবাব দেবেন।” তাঁর দাবি, দীর্ঘ ক’বছর এখানে ভোটের পরিবেশই ছিল না। এ বারই প্রথম অবাধ ভোটের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দাবি উড়িয়ে এসএফআইয়ের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক অসিত লৌহের অভিযোগ, “সন্ত্রাস করেই কলেজের ছাত্র সংসদ দখলের পথ মসৃণ করেছে টিএমসিপি। ওদের আচরণে ছাত্রছাত্রীরা সন্ত্রস্ত।”
ভোট- পর্বকে কেন্দ্র করে ক’দিন ধরেই উত্তেজনা রয়েছে কলেজ ক্যাম্পাস ও তার আশপাশে। এদিন সকাল থেকেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এই পরিস্থিতিতে কলেজে পড়াশোনার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট বলে দাবি করে ছাত্র পরিষদের নেতা মহম্মদ সইফুল্লা বলেন,“ ছাত্র সংসদ দখল করাই তো শেষ কথা নয়! আমরা চাই কলেজে পড়াশোনার স্বাভাবিক পরিবেশ থাকুক।” জেলার অধিকাংশ কলেজেই মঙ্গলবার বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে এদিন গড়বেতা কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন একাংশ ছাত্রছাত্রী। এঁরা সকলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ- ছাত্র পরিষদের কর্মী বলে পরিচিত। গড়বেতার যুব তৃণমূল নেতা জয় রায়ের বক্তব্য,“ কলেজ কর্তৃপক্ষের মদতেই ভোট বানচালের চেষ্টা হচ্ছে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই ভোট হোক। না হলে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।” খড়্গপুর কলেজে আবার এসএফআই-টিএমসিপি বচসা বেধেছে। ক’দিন ধরেই এখানে উত্তেজনা রয়েছে। তবে পুলিশ মোতায়েন থাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ডেবরা কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছে ছাত্র পরিষদ কর্মী- সমর্থকরা। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, তাদের মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|