|
|
|
|
প্রবন্ধ ১... |
তিনি অনমনীয়, সেটাই তাঁর শক্তি, সমস্যাও |
এক দিকে, সরকারি অনাচারের বিরোধিতায় আপসহীন। অন্য দিকে, তিনি সহযোগী চান না,
অনুগামী চান। অণ্ণা হজারে মানুষটা আসলে কেমন? প্রথম পর্বে লিখছেন
স্বাতী ভট্টাচার্য |
রাজনীতিতে ‘কী কথা হচ্ছে,’ সেই প্রশ্নটা ‘কে কথা বলছে,’ তার চেয়ে বারবার বড় হয়ে উঠতে চায়। তাই ‘অণ্ণা হজারে লোকটা কেমন?’ সে প্রশ্নটা আজ উত্তর দাবি করছে। গোটা ভারত অণ্ণাকে দেখেছে দিল্লির আন্দোলনে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে তিন দশক ধরে অণ্ণা কেমন আন্দোলন করছেন, কী ভাবে তিনি সরকার ও রাজনৈতিক দলের মোকাবিলা করেছেন, কারা রয়েছেন তাঁর পাশে, তার উত্তর থেকে অণ্ণার যথাযথ পরিচয় তৈরি হয়।
সেই পরিচয় কী, অন্যান্য রাজ্যের মানুষের কাছে তা আজও স্পষ্ট নয়। অণ্ণা হজারের ডাকে যত মানুষ মিছিল করেছেন, উপোস করেছেন, তাঁরা অনেকেই জানেন না অণ্ণার প্রস্তাবিত ‘জনলোকপাল বিল’ কী বলছে, কেমন করে তা দিয়ে দুর্নীতি কমবে। তাঁরা এসেছিলেন কারণ অণ্ণাকে তাঁরা সৎ, সাহসী বলে মনে করেন। কংগ্রেস নেতারাও তা বোঝেন, তাই বারবার অণ্ণা এবং তাঁর সহযোগীদের সততাকে আক্রমণ করেছেন দিগ্বিজয় সিংহ, সতীশ তিওয়ারি। তাতে বিশেষ সুবিধে হয়নি। অণ্ণার সাদাসিধে জামাকাপড়, তাঁর গলার তুলসীমালা, তাঁর দীর্ঘ অনশন-সত্যাগ্রহ আন্দোলন তাঁকে ঘিরে মর্যাদার একটা বলয় তৈরি করেছে। পেশাদার রাজনীতিকরা তা ভেদ করে তাঁকে বিদ্ধ করতে পারেননি। অণ্ণা আজ তাঁদের ভয়ের কারণ। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল।
যা ভাল নয় তা এই যে, কথার মাপকে ছাড়িয়ে যেতে চাইছে বক্তার মাপ। লোকপাল বিল নিয়ে গণবিতর্ক শুরু হতে না-হতেই অণ্ণা নতুন দাওয়াই বাতলাচ্ছেন-- নেতারা ঘুষ খেলে ভোট দিয়ে তাদের খারিজ করো। প্রার্থীরা সবাই ঘুষখোর হলে সকলকে বাতিল করতে ভোট দাও। দুর্নীতি রোখার বহু রাস্তা রয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা বদলানোর উপায়ও অনেক। দুর্নীতি নিয়ে যত কথাবার্তা হল, সেখানেও ‘রাইট টু রিকল’ ‘রাইট টু রিজেক্ট’-- এর কথা আসেনি। এ দুটি দাবি এল কোথা থেকে, কোন পথে? অণ্ণার উপর আস্থা থেকে কি এই নতুন অধিকারের দাবিতে গলা মেলানো যায়? |
|
তাঁর ছায়ায়। রালেগন সিদ্ধিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ল। ছবি: পি টি আই। |
অণ্ণার দাবির জোর তাঁর যুক্তির জোরে নয়, তাঁর ব্যক্তিত্বের জোরে। তাই অণ্ণা ব্যক্তিটি কেমন, সে প্রশ্ন এত জরুরি হয়ে উঠেছে। রালেগণ সিদ্ধি, আহমেদনগর, পুণেতে ঘোরাঘুরি করে, কথাবার্তা বলে অণ্ণার যে পরিচয় পাওয়া যায়, তা নানা অস্বস্তি তৈরি করে। এই অস্বস্তি তাঁর ব্যক্তিগত সততা, দায়বদ্ধতায় কোনও ঘাটতির কারণে নয়। বাস্তবিকই মানুষটির জীবনযাত্রা অতি সাদাসিধে, চোরাগোপ্তা পথে নিজের পকেট ভরাচ্ছেন এমন কোনও নজির চোখে পড়ে না। কিন্তু নেতা হিসেবে নিজেকে তিনি যে ভাবে তুলে ধরেন, তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য এবং পদ্ধতি যে ভাবে স্থির করেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সহযোগীদের সঙ্গে তিনি যে ভাবে সম্পর্ক রাখেন, তা ঠাহর করা দরকার।
|
একা অণ্ণা |
অণ্ণার আন্দোলনের দুটি প্রধান ধারা রয়েছে, গ্রাম উন্নয়ন এবং দুর্নীতির বিরোধিতা। এই দুটি কাজেই তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ আন্দোলনের নানা মানুষ। আজ তাঁরা কেউ নেই অণ্ণার পাশে। দিল্লিতে ‘টিম অণ্ণা’ রয়েছে বটে, তাতে কোনও মরাঠি নেই। নিজের রাজ্যে কোনও বড় সংগঠন বা ব্যক্তিত্ব দীর্ঘ দিন শামিল রয়েছে তাঁর আন্দোলনে, এমনও চোখে পড়ে না।
‘অণ্ণা কারও সঙ্গে পরামর্শ করে কিছু করেন না,’ বললেন মোহন ধারে। বর্ষীয়ান মানুষটি জয়প্রকাশ নারায়ণের ভাবধারার অনুগামী ছিলেন। দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। বললেন, ‘রালেগণ সিদ্ধি গ্রামে অণ্ণার কাজ সফল হওয়ার পর তৈরি করা হল আদর্শ গ্রাম সমিতি, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সুধাকররাও নায়েকের আগ্রহে। অণ্ণাকে তার সভাপতি করা হল। কথা ছিল, অণ্ণার গ্রামের মডেলে অন্যান্য গ্রামে উন্নয়ন হবে। কিন্তু কোন গ্রাম বাছা হবে, তার কোনও নির্দিষ্ট শর্ত তৈরি করতে অণ্ণা রাজি ছিলেন না। কারওকে কিছু না বলে অণ্ণা একদিন হঠাৎ পদত্যাগ করলেন।’ অণ্ণার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কার্যকর্তা অনিল শর্মার বক্তব্য, ‘আমরা এখন নিজেদের নেটওয়ার্কের ১০০টা গ্রামে কাজ করছি। অণ্ণা সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।’ কিন্তু গ্রাম বাছাই হচ্ছে কী করে? ‘অণ্ণাই বেছে নিচ্ছেন। প্রকল্পও আমরাই ঠিক করছি। সরকার শুধু টাকা দেবে।’ |
|
|
আশিস নন্দী: পুরনো যে সব জাতি, কৌম ছিল, সেগুলো কিন্তু খুব দ্রুত ভাঙছে। সমাজ ক্রমশ ব্যক্তিসর্বস্ব হচ্ছে। এই অবস্থায় নাগরিক যদি অনশন করেন বা এই ধরনের অন্য যে কোনও পদ্ধতির শরণাপন্ন হন, রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য, তাকে অন্যায় বলা চলে না। |
|
|
আন্দ্রে বেতেই: অণ্ণা হজারে ও তাঁর অনুগামীদের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন এক সমাজিক আলোড়ন তৈরি করছে। এর ফলে যে দেশ ইতিমধ্যেই অত্যন্ত ভঙ্গুর এবং স্থৈর্যচ্যুত, তা আরও অস্থির হয়ে উঠবে। আমি এই আন্দোলনকে ভারতের নাগরিক সমাজের কণ্ঠস্বর বলে মনে করি না। |
|
|
|
মোহন ধারের সুরেই কথা বললেন বাবা আধব। জ্যোতিরাও ফুলের আদর্শে অনুপ্রাণিত বাবা আধব অসংগঠিত শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেন। অণ্ণার দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাতের সময়ে যোগ দিয়েছিলেন তিনিও। তবে তাঁর প্রস্তাব ছিল, সাত-আটজন অছিকে নিয়ে ‘ভ্রষ্টাচার বিরোধী জনআন্দোলন’ ট্রাস্ট তৈরি করতে হবে। তাতে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বজায় থাকবে। নানা স্বাধীনতা সংগ্রামী, সরকারি কর্মী, সমাজকর্মীরাও যোগ দিয়েছিলেন তখন। ‘কিছু দিন কাজ হওয়ার পর অণ্ণা বুঝিয়ে দিলেন, আমাদের প্রয়োজন নেই তাঁর। ট্রাস্ট রেজিস্ট্রেশনও করলেন না কিছুতেই। আমরা ইস্তফা দিলাম।’ ভ্রষ্টাচার বিরোধী জনআন্দোলনের যে দফতর রালেগণ সিদ্ধিতে রয়েছে, তার একজনই নেতা, অণ্ণা হজারে।
প্রাক্তন জনতা দল বিধায়ক, বর্তমানে পুনের গাঁধী ভবনের অধ্যক্ষ কুমার সপ্তর্ষি বলেন, ‘আণ্ণার সঙ্গে তথ্যের অধিকার আন্দোলনের সময়ে গোটা এক বছর ঘুরেছি আমি। অণ্ণা কারও সঙ্গে আলোচনা করেন না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করায় তিনি বিশ্বাসী নন।’
আর কোনও সংগঠন তাঁদের পাশে নেই কেন? অনিলের বক্তব্য, ‘আমরা রাস্তা রোকো, ভাঙচুর এ সবে বিশ্বাস করি না। অন্য সংগঠনদের তাই সঙ্গে রাখি না।’ তবে পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক যশোবন্ত সুমন্ত বলেন, ‘অনেক সমাজবাদী নেতা অণ্ণার সঙ্গে কাজ করলেও, এ বারে সরে গিয়েছেন। অণ্ণার পিছনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সমর্থন রয়েছে মনে করছেন তাঁরা। তাঁরা এও মনে করছেন যে অণ্ণা যে ভাবে দুর্নীতির বিরোধিতা করছেন, তাতে লাভ হবে না। এমন দু-চারটে আন্দোলন পকেটে ভরতে সরকারের কোনও সমস্যা হয় না। দুর্নীতি রুখতে যে পরিবর্তন প্রয়োজন, অণ্ণা তা আনতে পারবেন না বলেই ওঁরা ভাবছেন।’
|
সন্ত অণ্ণা |
অণ্ণার যাঁরা অনুগামী, তাঁদের একটা বড় অংশ কেবল সরকারি ব্যবস্থায় পরিবর্তন খোঁজেন না, নিজের জীবনেও পরিবর্তন খোঁজেন। রালেগণ সিদ্ধিতে দেখা হল এক যুবকের সঙ্গে। আগে চাকরি করতেন ফৌজে, এখন বেসরকারি সিকিউরিটি এজেন্সি চালান। গলায় তুলসীর মালা দেখিয়ে বললেন, ‘এটি অণ্ণাকে দিয়েছিলাম, নিজের হাতে আমায় পরিয়ে দিতে। তার পর মদ ছাড়তে পেরেছি।’ মহারাষ্ট্রের সমাজে সন্ত তুকারাম, সন্ত রামদাসের মতো ধর্মগুরুদের প্রভাব এখনও প্রবল। অণ্ণা সেই ধারায় রাখেন নিজেকে। আগত মানুষের কাছে বারবার বলেন, ‘আমার বাড়িতে আমি তিরিশ বছর ঢুকিনি, মন্দিরে থাকি। আমি বিয়ে করিনি, ভাইদের ছেলেমেয়েদের নাম কী তা-ও জানি না। এক পয়সা ব্যাঙ্ক ব্যালান্স নেই আমার।’
তাঁর জীবনযাত্রাও তুলে ধরেন যেমন বলেন, তিনি নিয়মিত যোগ করেন, ফলে জীবনে কখনও ইঞ্জেকশন নিতে হয়নি, সর্বদা নীরোগ, আনন্দময় তিনি। সেই সঙ্গে নিজের ক্ষমতার কথাও বলেন। ‘তিনজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর উইকেট নিয়েছি আমি,’ প্রায় রোজই উল্লেখ করেন। ত্যাগী কিন্তু ক্ষমতাবান পুরুষ, নিজের এই ‘সন্ত’ ভাবমূর্তিতে অণ্ণা নিরন্তর দাগা বোলান।
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে যে তাঁর এই ভাবমূর্তি খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পেরেছে, তা নয়। পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের অধ্যাপক সদানন্দ মোরে মহারাষ্ট্রে তিলক থেকে গাঁধীতে নেতৃত্বের পরিবর্তন বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণা করে বই লিখেছেন। বললেন, ‘মহারাষ্ট্রে অনেক গাঁধীবাদী নেতা আছেন, অণ্ণা তাঁদের একজন। গাঁধী বা তাঁর অনুগামী অনেক নেতার যে কোনও বিষয়কে যুক্তি-সহ প্রকাশ করার যে ক্ষমতা ছিল, অণ্ণার তা নেই। কিন্তু অণ্ণা তা পুষিয়ে নিয়েছেন তাঁর অপরিসীম কষ্ট-সহিষ্ণুতা দিয়ে।’ অণ্ণা তাঁর অনুগামীদের কাছেও তা দাবি করেন। বলেন, ‘তোমরা আমার মতো হতে পারবে না, তোমাদের পরিবার আছে। তবে যখন ডাক দেব, তখন জেলে যেতে তৈরি থেকো।’
|
দলিত, মুসলিম এবং অণ্ণা |
মহারাষ্ট্রের দলিতরা এই ডাকে খুব বেশি সাড়া দেননি। ‘আমি অস্পৃশ্যতার বিরোধিতা করে এক গ্রাম, এক কুঁয়ো আন্দোলন করেছি গ্রামে গ্রামে। এই ধরনের অস্পৃশ্যতা বিরোধী আন্দোলনে অণ্ণা যোগ দেননি, নিজেও কখনও তা করেননি,’ বললেন বাবা আধব। একই ভাবে, মহারাষ্ট্রে ছোটবড় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লেগেই থাকে, কিন্তু সেগুলোও অণ্ণার আন্দোলনের বিষয় হয়নি কখনও। ‘অণ্ণা দাঙ্গা-পীড়িত কোনও গ্রামে গিয়েছেন বলে শুনিনি,’ বললেন পি এ ইনামদার। তাঁর অসরকারি সংস্থা ২৯টি কলেজ চালায়। ‘মুসলিম উন্নয়নের কোনও বিষয় অণ্ণার কার্যসূচিতে আছে বলেও মুসলিমরা জানেন না।’
তার মানে অবশ্যই এই নয় যে, মুসলিম বা দলিতদের প্রতি অণ্ণা সংবেদনশীল নন। বরং উলটোটাই-- অণ্ণা রালেগণ সিদ্ধির মানুষকে অনুপ্রাণিত করে সমবেত উদ্যোগে দলিত পরিবারগুলিকে ঋণমুক্ত করেছেন। দিল্লিতে অনশন ভঙ্গেও তিনি দলিত ও মুসলিম বালিকাদের হাতে জল খেয়েছেন।
কিন্তু ভূদান আন্দোলন বা অস্পৃশ্যতা-বিরোধী আন্দোলনের মতো লড়াইয়ে নেমে দীর্ঘদিনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গোটা আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাটার সঙ্গে যে লড়াই, সেখানে অণ্ণাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর অতীত সহযোগীরা তাই বারবার বললেন, ‘অণ্ণার কোনও ইডিয়োলজি নেই।’ তাঁর দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনও বরাবরই গোটা কয়েক দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রী বা আমলার বিরুদ্ধে তীক্ষ্ন প্রতিবাদ হয়ে উঠেছে। সামাজিক পীড়নের রীতি, সরকারি ব্যবস্থার মজ্জাগত উদাসীনতায় পরিবর্তন আনার যে দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তাতে তিনি কখনও অংশগ্রহণ করেননি।
যেখানে তাঁর জোর, তা হল অনমনীয় ভাবে সরকারের বিরোধিতা। ‘প্রতিষ্ঠানকে ভিতর থেকে পরিবর্তন করার জন্য অনেক লোক আছে,’ বললেন সদানন্দ মোরে। ‘অণ্ণার প্রয়োজন অন্য জায়গায়।’ সদানন্দের মতে, সংসদ, বিধানসভার বাইরেও মানুষের প্রতিনিধির প্রয়োজন, যাতে ‘লোকশাহী’ শেষ পর্যন্ত ‘সংস্থাশাহী’ হয়ে না ওঠে। অণ্ণার বৈশিষ্ট্য এই যে মানুষের ক্ষোভ, বিরক্তি তাঁর আন্দোলনে প্রকাশের পথ খুঁজে পায়। তিনি অনবরত সরকারকে আঘাত করেন, কখনও সমঝোতার পথে হাঁটেন না।
মহারাষ্ট্রে অণ্ণার আন্দোলনের দিকে তাকালে বোঝা যায়, তাঁর অনমনীয়তা যেমন তাঁর শক্তি, তেমনই তা তাঁর সীমাবদ্ধতা।
|
(চলবে) |
|
|
|
|
|