|
|
|
|
মণিপুর |
সড়ক অবরোধ, বিশেষ বৈঠক করলেন ইবোবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
জাতীয় সড়কে অবরোধজনিত সমস্যা নিয়ে বিশেষ বৈঠক করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ। পাশাপাশি, নিজেদের মধ্যে বিরোধ ভুলে, রাজ্যবাসীর স্বার্থে মণিপুরের দুটি জাতীয় সড়ক অবরোধমুক্ত করার ডাক দিল মণিপুরের মহিলা সংগঠনগুলি। তাঁদের আর্জি, যে ভাবে সদর হিল গড়ার দাবিতে কুকিরা ও সদর হিল গড়া রোখার দাবিতে নাগারা বন্ধ ও অবরোধ চালাচ্ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে ফের নাগা-কুকি সংঘর্ষ বা গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ইম্ফল-ডিমাপুর-গুয়াহাটি ও ইম্ফল-জিরিবাম-শিলচরের রাস্তা অবরোধের জেরে বন্ধ থাকায় মণিপুরে পণ্য সংকট চরমে। মণিপুর মাদার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আর কে খুমানলেইমার মতে, অবরোধ-বন্ধের আড়ালে কার্যত ফের গোষ্ঠী বিদ্বেষ ছড়াবার চক্রান্ত চলছে, যা মারাত্মক।
৫৩ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে, জিরিবাম থেকে যে ৭০০ ট্রাক ইম্ফল রওনা হয়, সেগুলি আজরাতের মধ্যেই ইম্ফল পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ বিশেষ বৈঠক করেন। মুখ্য সচিব ডি এস পুনিয়া, ডিজি ওয়াই জয়কুমার, আইজি (আসাম রাইফেল্স), ডিআইজি (অপারেশন্স)), বিএসএফ ও সিআরপিএফ কর্তারা বৈঠকে হাজির ছিলেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, টুপুল থেকে ইম্ফল অবধি ট্রাকের কনভয়ের দায়িত্ব নেবে রাজ্য পুলিশ। জিরিবাম থেকে টুুপুল অবধি অংশের দায়িত্ব নেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অবরোধকারীরা মহিলাদের সামনে এগিয়ে দেওয়ায় রাজ্য পুলিশ ৫০ জন মহিলা কম্যান্ডো, ৫০ জন মহিলা কনস্টেবল, ৫ জন মহিলা হেড কনস্টেবল ও ৫০ জন মহিলা হোমগার্ডকে নিয়ে বিশেষ জাতীয় সড়ক টহলদার বাহিনী বানিয়েছে। রাজ্যে পণ্যের বাড়ন্ত ভাঁড়ার নিয়ে আজ সকালে পুরনো সচিবালয়ে বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানে গণবন্টন কমিশনার এইচ ইমোচা সিংহ, আইন সচিব ওয়াই রমেশ, চিফ ইঞ্জিনিয়র (ওয়র্কস), ইন্ডিয়ান অয়েলের জেনারেল ম্যানেজার, খাদ্য নিগম ও বিআরও আধিকারিকরা হাজির ছিলেন।
অন্য দিকে, ইম্ফলে আজ সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে একটি বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ জানায়, পূর্ব ইম্ফল এডিসি দফতরের সামনেই বোমাটি ফাটে। তবে ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ১ অগস্ট এই এলাকায় বোমা ফেটেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগে, ১১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পূর্ব ইম্ফলে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আবদুল গনি ও তাঁর পরিবারের অন্য তিনজন জখম হয়েছেন। গ্রামবাসীরা দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করলেও ধরতে পারেন নি। কাল বিকেলে, সিংগামেই চিংগামাখা এলাকায়, রিমস-এর অধিকর্তা শেখরজিতের বাড়িতেও জঙ্গিরা গ্রেনেড ছোড়ে। তবে, সেটি ফাটেনি।
নদীবাঁধ নিয়ে আন্দোলন। রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের মধ্যেই কাল অসমের যোগীঘোপা বন্দরে নামল বৃহৎ নদীবাঁধের জন্য আনা টারবাইন। প্রতিবাদে আজ যোগীঘোপা-সহ সারা অসম জুড়ে তীব্র আন্দোলন শুরু করেছে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি। আজ তেজপুরের জয়মতির মাঠে, বৃহৎ নদীবাঁধ ও বাংলাদেশের হাতে অসমের ৬০০ একর জমি তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে বিরাট জনসমাবেশ করেন কৃষক নেতা অখিল গগৈ। সেই সঙ্গে যোগীঘোপা জাহাজঘাটাতেও চলছে বিক্ষোভ। জাহাজঘাটা ও টারবাইন পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় রক্ষিত আছে। |
|
|
|
|
|