ভিডিও কনফারেন্সে মুন্ডাকে ‘বাউন্সার’ পড়ুয়াদের
ছোটখাটো লিকপিকে ছেলেমেয়েগুলোর কাছ থেকে এমন ‘বাউন্সার’ আসতে পারে কল্পনাই করেননি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
চোখের সামনে টিভি-র পর্দায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে কিন্তু মোটেও ঘাবড়ায়নি ধানবাদের ওমপ্রকাশ, পুষ্পা বা দুমকার আদিত্য কুমার। সপ্রতিভ ভঙ্গিতে মুখ্যমন্ত্রীর চোখে চোখ রেখে ওই স্কুলপড়ুয়ারা অনুযোগ করেছে, “স্যার আমাদের স্কুলে একটাও খেলার মাঠ বা ল্যাবরেটরি কেন নেই বলতে পারেন?” কারও বা আর্জি, “আমি কম্পিউটার শিখতে চাই। স্কুলে কম্পিউটার এনে দিতে হবে।” ধানবাদের আর একট বালক তো বেজায় অবাক : “স্কুলে বিদুতের লাইন কবেই এসেছে, কিন্তু এমন পচা গরমেও কেন পাখা চলে না বলুন তো?”
বিরোধীদের ঝাঁঝালো আক্রমণও এর থেকে ঢের সহজে সামলে নেন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। কিন্তু আজ সকালে রাঁচির ধুরওয়ায় রাজ্যের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের (জেএসএসি) শীতাতপনিয়ন্ত্রিত স্টুডিওয় বসেও বাচ্চাদের প্রশ্নের ঠেলায় মুন্ডার চোখে-মুখে ঘামের আভাস দেখা দিল। কাষ্ঠহাসি হেসে কোনওমতে এই কচিকাঁচাদের বললেন, “বেশ তো তোমাদের জেলার কালেক্টরও তো সব কিছু শুনলেন। আমি ওঁকে বলে দিচ্ছি সব সমস্যার ব্যাপারটা দেখতে।”
এডুস্যাট প্রকল্পে রাঁচির স্টুডিও থেকে টেলি-যোগাযোগ পদ্ধতিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর
সঙ্গে কথা বলছে ধানবাদের স্কুল পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার। ছবি: চন্দন পাল
ইসরো-র সহায়তায় ঝাড়খণ্ডে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর তিনটি প্রকল্পের আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। এডুস্যাট প্রকল্পে রাঁচির স্টুডিও থেকে টেলি-যোগাযোগ পদ্ধতিতে দুমকা, ধানবাদ ও গুমলা জেলার স্কুলপড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডের তথ্যপ্রযুক্তি সচিব সতীন্দ্র সিংহ বলেন, “ইসরো ও জেএসএসি-র সহায়তায় আপাতত দশটা জেলায় একটি করে কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। দূর গাঁয়ের বাচ্চাদের ‘ভার্চুয়াল ক্লাসে’ সেরা শিক্ষকদের কাছে পড়াশোনার সুযোগ মিলবে এই ব্যবস্থায়। অনেক দূরে বসেও ক্লাসে শিক্ষকের সঙ্গে কথার্বাতাও বলতে পারবে পড়ুয়ারা। ভোটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যদেরও এ ভাবে তালিম দেওয়া হবে।” রাজ্যের ৯টি বিএড কলেজ, ১৩টি পলিটেকনিক-সহ ২৪টি জেলায় এই অন-লাইন ক্লাস শুরু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ দিনই, আরও দু’টো প্রকল্প চালু হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের ৬০টি ব্লকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবহাওয়া নির্ণয় কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। উপগ্রহের মাধ্যমে রাঁচির মূল কেন্দ্র থেকে এই ব্লকগুলির আবহাওয়ার খবর নেওয়া হবে।
কৃষির জন্য মূলত বৃষ্টি-নির্ভর রাজ্যে সম্প্রতি আবহাওয়ার নিরিখে বিমা চালু হয়েছে। আবহাওয়া নির্ণয় কেন্দ্রগুলি সেই কাজেও সাহায্য করবে। এ ছাড়া, পঞ্চায়েত স্তরেই এখন জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট বা বিপিএল কার্ড দিতে চাইছে ঝাড়খণ্ড সরকার। রাঁচির কাঁকে ব্লকে গড়ে উঠেছে ‘প্রজ্ঞাকেন্দ্র’, যেখানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে এই সব শংসাপত্র তৈরি করে সরাসরি বিলি হবে। এ দিন এই ব্যবস্থারও সূচনা হল। ক্রমশ গোটা রাজ্যেই এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.