বিস্ফোরণের হুমকি দিয়ে একটি এসএমএস ছড়িয়ে পড়েছিল সোমবার রাতে। আতঙ্ক ছড়িয়ে যায় পুলিশ মহলেও। তড়িঘড়ি তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেটি ছিল নেহাতই গুজব। এবং তা ছড়িয়েছিল পূর্ব কলকাতার একটি স্কুল থেকে। আর মঙ্গলবারই নিউ মার্কেট-সহ শহরের বিভিন্ন শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা। পুলিশের একাংশের দাবি, এসএমএসটি গুজব হলেও আগেভাগে বাড়তি সতর্কতা নিতেই এ দিনের এই পরিদর্শন। পাশাপাশি, হাইকোর্ট চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খুঁটিয়ে দেখেন পুলিশ কমিশনার।
দিল্লি বিস্ফোরণের পরে কলকাতা হাইকোর্টের নিরাপত্তা ও গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ। অবশ্য শুধু হাইকোর্ট চত্বরই নয়, দিল্লিতে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের পরে গোটা শহরের নিরাপত্তা নিয়েই ‘নড়েচড়ে’ বসেছে পুলিশ। গত ১৪ অগস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের আগের দিনও বিভিন্ন শপিং মলে গিয়েছিলেন কমিশনার। |
সম্প্রতি হাইকোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। এর চেয়ারপার্সন হয়েছেন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটিতে আরও কয়েক জন বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল, সরকারি আইনজীবী, পূর্তসচিব, পুলিশ কমিশনার-সহ পুলিশ ও আইনজীবীদের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার ফের এই কমিটির সদস্যেরাই হাইকোর্ট চত্বর পরিদর্শন করে বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে পার্কিং সমস্যা নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা বলেন, “শীঘ্রই ফের আলোচনায় বসা হবে।” ট্রাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, হাইকোর্ট চত্বরের যানচলাচল নিয়েও একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট চত্বরে পার্কিংয়ের সমস্যা দীর্ঘদিনের। পুলিশের যুক্তি, হাইকোর্ট চত্বরে যে ভাবে গাড়ি দাঁড় করানো হয়, তাতে চলাচলে রাস্তা থাকে না। হাইকোর্ট চত্বরে পাঁচশোর কাছাকাছি গাড়ি রাখা যায়। মঙ্গলবার সেখানে গাড়ি ছিল প্রায় সাতশোটি। লালবাজারের এক অফিসার জানান, বিধানসভা চলাকালীন গাড়ির সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পুলিশ-দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারবে না বলেও লালবাজার সূত্রের দাবি। কিন্তু পুলিশের যুক্তি মানতে নারাজ অধিকাংশ আইনজীবীর পাল্টা দাবি, পুলিশের নজরদারিই যথেষ্ট নয়। |