মার খেয়ে রাস্তা অবরোধে উপপ্রধান |
পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে তৃণমূলের উপপ্রধানকে মারধর করেছে তাঁরই দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। এই অভিযোগ থানা নিতে চায়নি। তাই অনুগামীদের নিয়ে নিজেই রাস্তা অবরোধ করলেন উপপ্রধান। মঙ্গলবার বোলপুরের বাহিরিতে, নতুনহাট যাওয়ার রাস্তা তাঁরা কিছু ক্ষণ অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করার আশ্বাস দেওয়ার পরে অবরোধ ওঠে। বোলপুর থানার পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের ওই উপপ্রধানের নাম আব্দুল হাসমত আলি। তাঁর অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা রবি চৌধুরীর মদতে কয়েকজন দুষ্কৃতী সোমবার দুপুরে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে তাঁকে মারধর করেন। তিনি অন্য একটি ঘরের ভিতরে ঢুকে প্রাণ বাঁচান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবদুল হাসমত আলি আরএসপি’র টিকিটে নির্বাচনে জিতে উপপ্রধান হওয়ার পরে গত বছর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আরএসপি’র রবীন্দ্রনাথ চৌধুরীও তৃণমূলে যোগ দেন। তার পর থেকেই ওই দুই নেতৃত্বের মধ্যে গণ্ডগোল চলছে। আব্দুল হাসমত আলি’র অভিযোগ, “বিকেলে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ আমার অভিযোগ গ্রহণ করেনি। রবীন্দ্রনাথের কথায় পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। অবরোধ করার পরে পুলিশ অভিযোগ নিয়েছে।” রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী’র পাল্টা অভিযোগ, “এলাকার উন্নয়নের টাকা নয়ছয় করছেন আবদুল হাসমত আলি। তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।” বোলপুরের এসডিপিও দেবস্মিতা দাস বলেন, “পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
দেড় বছরের মাথায় ফের নলহাটি এক পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলীয় সদস্যরা। সোমবার রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মাধবেন্দ্র ঘোষালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব মা দেন ১১ জন সদস্য। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহমম্দ ইব্রাহিম জানান,পদ্ধতি মেনে অনাস্থা আনা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার পরে আস্থা ভোটের দিন ঠিক করা হবে। মাধবেন্দ্রবাবু লেন, “আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে তার ভিত্তিহীন।” উল্লেখ্য ২৬ সদস্য বিশিষ্ট নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেস ১৭, সোসালিস্ট দল ২, সিপিএমের ৭ জন সদস্য আছেন। ২০০৮-এ পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস বামফ্রন্টকে পরাজিত করে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে সভাপতি হয় কংগ্রেসের মহম্মদ রফিউদ্দিন। ২০১০-এর মার্চ মাসে তাঁর বিরুদ্ধে ১৫ জন সদস্য অনাস্থা এনেছিলেন। পরে সভাপতি হন মাধবেন্দ্রবাবু। ১১ জন মাধবেন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন।
|
বিদ্যুৎ অফিসে ভাঙচুর, বিক্ষোভ |
বিদ্যুৎবাহী তার মাঝেমধ্যেই গ্রামের মধ্যে ছিঁড়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে জানিয়েও সমস্যা মেটেনি। সোমবার রাতেও বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে পড়েছিল মুরারই থানার ধিতোড়া গ্রামে। রাতে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের মুরারই অফিসে গ্রামবাসীরা যোগাযোগ করলেও কর্মীরা আসেন মঙ্গলবার সকালে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দুই কর্মী এবং ঠিকাদারের এক কর্মীকে আটকে রাখেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। এর পরে বাসিন্দাদের একাংশ মুরারই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। দফতরে তালা মেরে কর্মীদের ভিতরে আটকে রাখা হয়। পরে অফিসের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার শ্যামল সেন বলেন, “তার মেরামতির কাজ এ দিন থেকে করা হবে বলে ওই গ্রামের লোককে জানানো হয়। গোটা ঘটনা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” |