|
|
|
|
|
সবুজ টপ, ঘিয়ে ট্রাউজার
হতে পারে অষ্টমীর স্পেশাল অর্পিতা মজুমদার • দুর্গাপুর |
|
লো-লেংথ স্কার্ট না কি ট্রাউজার আর কুর্তি!
এ বার পুজোয় নজর কাড়তে পারে ‘মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ’ ফান্ডাও।
টিনএজারদের জন্য এ বার পুজোর লেটেস্ট ফ্যাশন কী, কোন ধরনের পোশাক পুজোর চারটে দিন আপনাকে করে দিতে পারে মণ্ডপের নন্দিনী, তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে।
নিজেকে ‘ফ্যাশনেবল’ করার জন্য পুজোর দিনগুলির জুড়ি নেই। কারণ এই চার দিন মেজাজ থাকে ফুরফুরে। চোখ খুঁজে বেড়ায় নতুনত্ব। তাই বয়স ব্যতিরেকে সকলেই অন্যের চোখে নিজেকে কম-বেশি সুন্দর দেখাতে চান। আর সেই সুযোগটাকে চুটিয়ে কাজে লাগায় বিপণিগুলি।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, এ বার পাতিয়ালা চলছে রমরমিয়ে। এ বছর কিন্তু স্রেফ পাতিয়ালা দিয়েই আপনি মাত করে দিতে পারেন প্রতিদ্বন্দ্বীকে। এছাডা চুড়িদার, কালিদার তো আছেই। সঙ্গে বড় ঘেরের কামিজ, রুমাল কাট, স্লিভলেস হাতের সঙ্গে সর্ট কুর্তা, নেটের ফুলহাতা কামিজ। এ বার বাজারে মাল্টি কালারড বেল্টও বিক্রি হচ্ছে দেদার। টিনএজারদের লুক বদলে দিচ্ছে সামান্য এই সংযোজন।
এ বার আসা যাক পাশ্চাত্য পোশাকের বিষয়ে। টিনএজারদের জন্য এ বার বাজার মাতাচ্ছে সর্ট ড্রেস। নি লেংথের লেগিন্সের সঙ্গে বয়সের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে যে কোনও ডিপ রঙের টপ, লো লেংথের স্কার্ট, বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশনেবল ফ্রক।
আবার রেডিমেড যে কিনতেই হবে এমন নয়। মনের মত সালোয়ার-স্যুট বানিয়ে নেওয়াও যেতে পারে। সুতির কাপড়ের উপর অনবদ্য সব ডিজাইনের পিস মিলছে বাজারে। এছাড়া রয়েছে ব্রাসো কাপড় বা সিফন, সিল্কের উপর জারদৌসির কাজ-সহ বিভিন্ন নজর কাড়া ডিজাইন। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শিল্পাঞ্চলের আবহাওয়ায় সুতির পোশাকের জুড়ি নেই। তবে পুজো চার দিন তাঁরা ছাড়পত্র দিচ্ছেন সুতি বাদে অন্যান্য কাপড়কেও। ‘ফ্যাশন স্টেটমেন্ট’ বলেও তো একটা কথা আছে!
চাকুরিরতা মধ্য তিরিশের মহিলারা অনেকেই হয়তো পাশ্চাত্যের ছোঁওয়া লাগা পোশাক পরতে পারেন না। পুজোর দিনগুলিতে তাঁরা কিন্তু ট্রাউজারের সঙ্গে লম্বা ঝুলের ফ্যাশনেবল কুর্তি ট্রাই করে দেখতে পারেন। অথবা নি লেংথের স্কার্টের সঙ্গে সর্ট সার্ট বা টপ। অষ্টমীর সকালে গতানুগতিক শাড়ি বাদ দিয়ে পরা যেতে পারে ডিপ সবুজ টপ, ঘিয়ে রঙের ট্রাউজার আর সঙ্গে ভারি বিটস এর গয়না।
এ বার পুজোয় লাল, হলুদ, ম্যাজেন্টা, সি-গ্রিন, নীল, সবুজ রঙ বাজার মাতাচ্ছে। সে সাবেকি বস্ত্রবিপণি হোক বা কোনও ব্র্যান্ডেড শো-রুম, সব জায়গার ছবিটা এক। শপিং মলগুলিতে কেনাকাটার উপরে রয়েছে বিশেষ অফারও।
তবে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে বাজার এখনও সে ভাবে জমছে না। সপ্তাহের শেষে ভিড় হচ্ছে ভালই। পুজো যত এগিয়ে আসবে তত মুছে যাবে কাজের দিন বা সপ্তাহান্তের ব্যবধান, সেই আশায় দিন গুনছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|