|
|
|
|
জোটধর্মে জলাঞ্জলি, শ্রমিক
অসন্তোষে কংগ্রেস-তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
দু’টি শ্রমিক সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হল রানিগঞ্জের অমৃতনগর কোলিয়ারি এলাকায়। এই ঘটনায় আইএনটিটিইউসি এবং আইএনটিইউসি, দু’পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ হামিদ আনসারি নামে এক আইএনটিইউসি নেতাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে কংগ্রেস এবং আইএনটিইউসি-র লোকজন থানা ঘেরাও করেন। পুলিশ ধৃতকে ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেয়।
কোলিয়ারি সূত্রে জানা যায়, রবিবার আইএনটিইউসি কর্মী চন্দন গোপকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো কাজে যোগ দেন। রবিবার কাজ করলে দ্বিগুণ বেতন পাওয়া যায়। এই ঘটনায় পক্ষপাতের অভিযোগে সোমবার আইএনটিটিইউসি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা কোলিয়ারি বন্ধ রাখে। শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে খনি কর্তৃপক্ষ চন্দনবাবুর হাজিরা কেটে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। মঙ্গলবার সকালে এ ব্যাপারে আইএনটিইউসি বিক্ষোভ দেখাতে গেলে দুই সংগঠনের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামিদ আনসারির অভিযোগ, “মঙ্গলবার আমরা বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে আইএনটিটিইউসি নেতা মহম্মদ সাবিরের নেতৃত্বে এক দল লোক চড়াও হয়। আমাদের ১৫ জন জখম হন। আমাকে একটি ঘরে আটকে রাখার চেষ্টা করে ওরা। অথচ পুলিশ এসে আমাকে ধরে নিয়ে যায়।” মহম্মদ সাবির অবশ্য বলেন, “মঙ্গলবার জোর করে কাজ বন্ধ করতে চাইছিল আইএনটিইউসি। আমরা তার প্রতিবাদ করে কর্মীদের কাজে নামতে বলি। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামিদ খনি কর্তৃপক্ষকে গালিগালাজ করে। আমাদের মারধর শুরু করে।” এ দিকে, হামিদকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরে আসানসোলের কংগ্রেস নেতা অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, রবিউল ইসলাম, কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের নেতা চণ্ডী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে থানায় বিক্ষোভ শুরু হয়। রবিউল ইসলাম বলেন, “পুলিশকে ব্যবহার করে তৃণমূল সমস্ত সংগঠন দখল করতে চাইছে। এতে কিন্তু সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকবে না।”
তৃণমূল নেতা তথা আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যা শুনেছি, হামিদ বিনা কারণে ঝামেলায় প্ররোচনা দিচ্ছিল। ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে মিটিয়ে নেওয়া হবে।” কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ জানান, এমন ঘটনা অবাঞ্ছিত। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|