অসীম মল্লিকের ‘রাজনীতি নয়, বাস্তববোধ থাকলেই শিশুমৃত্যু কমবে’ (৩০-৮) নিবন্ধের প্রেক্ষিতে ৩৩ বছরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জেলা হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজের বিভাগ ও বহু জনস্বাস্থ্য প্রকল্পের আধিকারিক থাকার সুবাদে জানাই, শিশুমৃত্যু বিশেষত নবজাতক শিশুমৃত্যুর কারণগুলো দু’একটা বাদ দিলে বেশির ভাগই প্রতিরোধমুক্ত। সাধারণ কারণগুলো তো সবারই জানা।
১) কম ওজনের বাচ্চা হওয়া বা পূর্ণ সময়ের পূর্বে জন্মানো অপরিণত শিশু।
২) কম বয়সি মা বা মায়ের অপুষ্টি।
৩) সংক্রমণ। বাড়িতে বা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ন্যূনতম জীবাণুশূন্যতা বজায় না রাখা।
৪) নবজাতকের শ্বাস নিতে দেরি বা শ্বাসকষ্ট।
৫) হৃদযন্ত্র বা অন্য প্রত্যঙ্গের সমস্যা। |
হাসপাতালে কাজ করতে গিয়ে সবার গোচরে আনি, নতুন টাইল-শোভিত লেবাররুমে একটি ওয়ার্মার, বা একটি ভেন্টিলেটর বা একটি পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থাও নেই। এমনকী নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-এ পাঠাবার গাড়ি অবধি নেই। অন্য দিন দেখি এক জনের ওয়ার্মার জুটছে তো দ্বিতীয় কম ওজনের বাচ্চার জন্য নির্ধারিত ওয়ার্মারের বাল্ব কাটা দু’জনে টানাটানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ উদ্যোগে দুটি ফুটফুটে সাদা মাতৃযান, ওয়ার্মার ও ভেন্টিলেটরের আজ সব মজুত। অন্য কেয়ার ইউনিটের থেকে পারদর্শী সেবিকাদের পর্যায়ক্রমে নিয়ে বাইরের হাসপাতালে অল্পস্বল্প প্রশিক্ষণ দিয়ে এই ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বাছাই করা ডাক্তারদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে ভেন্টিলেটর মনিটরে নিযুক্ত করতে হবে।
আশিস আচার্য। কলকাতা-১৩
|
নন্দীগ্রামে সাধারণ মানুষের প্রতিরোধ সংগ্রামকে কী করে প্রণব বর্ধন ‘দুই দলের গুন্ডাদের এলাকা দখলের রক্তাক্ত লড়াইয়ের’ সঙ্গে তুলনা করলেন, (মা, মাটি...১৮/১০) তা আমাদের বোধের অতীত। ২০০৭-এর ১৪ মার্চ পুলিশের গুলিতে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, বা ওই বছর নভেম্বরে নন্দীগ্রাম পুনর্দখলের পর যে মহিলারা চরম লাঞ্ছিতা হয়েছিলেন, তাঁরা যে গুন্ডা, এটা আগে জানা ছিল না। ১৪ নভেম্বর ২০০৭, কলকাতায় যে লক্ষাধিক মানুষ নন্দীগ্রাম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন, তাঁরা অবশ্যই গুন্ডামির প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু তা একটি দলের বিরুদ্ধে, তদানীন্তন শাসক দলের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় কোনও দল গুন্ডামি করেনি।
প্রণব দে। প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গ ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সমিতি, কলকাতা-৫৪ |