কোচবিহার, কলকাতা রুটে আবার উড়ান |
কয়েক দিন বন্ধ ছিল। সোমবার আবার উড়ল কোচবিহারের উড়ান। এ দিন সকালে গুয়াহাটি থেকে নর্থ-ইস্ট শাটল সংস্থার বিমানটি কোচবিহারে আসে। সেখান থেকে ছ’জন যাত্রী আসেন কলকাতায়। বিকেলে পাঁচ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি কলকাতা থেকে কোচবিহারে পৌঁছয়। সেখান থেকে গুয়াহাটি উড়ে গিয়েছেন ন’জন যাত্রী। ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা-কোচবিহার রুটে উড়ান চলাচল শুরু হয়েছে। তার পরে মাঝখানে শুধু বৃহস্পতিবার বিমানটি এক বার গুয়াহাটি থেকে কোচবিহার ঘুরে কলকাতায় আসে। সে-দিন কোচবিহার থেকে দু’জন যাত্রী এসেছিলেন। কলকাতা থেকে কোচবিহার যাওয়ার যাত্রী কম থাকায় সে-দিন বিমানটি কলকাতায় রেখে পরের দিন গুয়াহাটি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। নর্থ-ইস্ট শাটল সংস্থা উত্তর-পূর্ব ভারতে নিয়মিত উড়ান চালায়। সম্প্রতি সেখানে তাদের একটি বিমান বসে গিয়েছে। তাই যে-বিমানটিকে রাতে কলকাতায় রেখে কোচবিহার ও জামশেদপুরে নিয়মিত উড়ান চালানোর কথা, সেটি চালাতে হচ্ছে উত্তর-পূর্বে। তাই সেখানকার পূর্বনির্ধারিত সূচি পাল্টে বিমানটিকে পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় এনে রাখা যাচ্ছে না। সোমবারেও বিমানটি ইম্ফল-শিলচর রুটে চালিয়ে তবে গুয়াহাটি ঘুরে কোচবিহারে আসে। কোচবিহারে বিমান সংস্থার এজেন্ট প্রসূনকান্তি বর্ধন জানান, বিমানের অভাবে আজ, মঙ্গলবারের উড়ানটিও বাতিল করা হয়েছে। ওই দিনের জন্য কোচবিহার-কলকাতা রুটে পাঁচ, কলকাতা-কোচবিহার রুটে দুই এবং কোচবিহার-গুয়াহাটি রুটে ছ’জন যাত্রী টিকিট কেটেছিলেন। সকলের টিকিটই বাতিল করতে হয়েছে। বুধবার এমনিতেই উড়ান বন্ধ রাখার কথা। বিমান সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে নিয়মিত উড়ান চালানো হবে।
|
উলুবেড়িয়ার তুলসীবেড়িয়ায় একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের উদ্বোধন হল। সোমবার এর উদ্বোধন করেন রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। কমপ্লেক্সটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (আরআইডিএফ) থেকে তদানীন্তন রাজ্য সরকার হাওড়া জেলা পরিষদকে এ জন্য ৯৯ লক্ষ টাকা ঋণ দেয়। তুলসীবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত জমির ব্যবস্থা করে। বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সটি তৈরির কাজের তত্ত্বাবধানও করে গ্রাম পঞ্চায়েত। জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, দ্বিতল কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে ৯৩টি স্টল। এগুলিকে দোকানঘর হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়াও রয়েছে তিনটি বড় ঘর। ব্যাঙ্ক বা অফিস হিসাবে এগুলি ব্যবহার করা যাবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুলতান আহমেদ, বামফ্রন্ট শাসিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের মীনা ঘোষ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। অরূপবাবু বলেন, “উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও রাজনীতি নয়। বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সটির স্টল এবং বড় ঘরগুলি দ্রুত বিলির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাঙ্কগুলি যাতে এখানে কার্যালয় খোলে সকলকে সে জন্য চেষ্টা করতে হবে।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “লটারির মাধ্যমে স্টলগুলি শীঘ্র বিলি করা হবে। শিক্ষিত বেকারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।” পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের মদন মণ্ডল জানান, বাণী খাঁ নামে এক গ্রামবাসী ন্যূনতম শর্তে প্রায় এক বিঘা জমি এ জন্য পঞ্চায়েতকে দান করেন। তাতেই কমপ্লেক্সটি গড়ে উঠেছে।
|
মারুতিতে আজ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগ মানেসরে |
শেষ পর্যন্ত কড়া পদক্ষেপই করছে মারুতি-সুজুকি। আজ, মঙ্গলবার থেকে মানেসর কারখানায় নতুন স্থায়ী কর্মী নিয়োগ শুরু করবে তারা। কর্মী অসন্তোষের জন্য ব্যাহত হচ্ছে ওই কারখানার উৎপাদন। উৎপাদন বাড়াতে গুড়গাঁও কারখানা থেকে কিছু কর্মীকে নিয়ে আসার পাশাপাশি সম্প্রতি চুক্তির ভিত্তিতেও সেখানে কয়েকশো কর্মী নিয়োগ করেছিল সংস্থাটি। আচরণবিধি সংক্রান্ত বন্ডে সই করার যে-নির্দেশ কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন, কর্মীরা তার বিরোধিতা করার জেরেই গোলমালের সূত্রপাত। সই না-করলে কারখানায় তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কাজে অসহযোগিতার অভিযোগে ইতিমধ্যে সংস্থা কিছু কর্মীকে বরখাস্তও করেছে। অধিকাংশ স্থায়ী কর্মীই কাজে যোগ দেননি। এই পরিস্থিতিতে আজ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি সোমবার মানেসর ও গুড়গাঁও কারখানা মিলিয়ে মোট ৫০০টি সুইফট গাড়ি তৈরি হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, মে মাসে দৈনিক এই হারেই পুরনো সুইফট তৈরি করত তারা। সমস্যা মেটাতে অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে এ দিনই জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে কর্মীদের এক প্রতিনিধিদল। জনৈক কর্মী বলেন, ‘আমরা কাজে যোগ দিতে চাই। কিন্তু বন্ডে সই করব না।” কর্তৃপক্ষ যাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেই কর্মীদেরও ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
|
পর্যটন মরসুমে নিরাপত্তা চেয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ও পর্যটন মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠাবে আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাব। তাদের অভিযোগ, পর্যটনের নামে হয়েছে লজ। ভাড়ার ঠিক নেই। দমকল, পর্যটন ও বন বিভাগের নিয়ম কেউ মানছে না। অথচ স্থানীয়দের নিয়ে সমবায় গড়ে লজ তৈরি হলে কর্মসংস্থান হত।
|
বারাসতে রেমন্ডের বিপণির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থা বাজারে আনল নতুন পণ্যের সম্ভার। |