ছাত্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শান্তিপুর কলেজ। বুধবার দুপুরে আচমকা বোমাবাজি শুরু হয় কলেজে। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি।
বুধবার ক্লাস চলাকালীন কলেজ চত্বরে আচমকা বোমাবাজির ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “কলেজের মধ্যে দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে বোমাবাজি হয়। পুলিশ দু’টো বোমা উদ্ধার করেছে। এক জন পথচারী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন।”
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কলেজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ইসলাম শেখ। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জোটের দখলে রয়েছে এই কলেজের ছাত্র সংসদ। সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র পরিষদের। তবে ক্ষমতার দখলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই কলেজে দু’টি ছাত্র সংগঠনের একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা আগেও ঘটেছে। ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হলে তা নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। কলেজ চত্বরে অবাধে ঘোরাফেরা শুরু করে বহিরাগতেরা। বুধবারও সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটে এ দিন। এ দিন দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক তুষার প্রামাণিক বলেন, “তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর সমর্থনে এক দল বহিরাগত কলেজে ঢুকে কলেজে হামলা করে। তৃণমূলেরই অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। তারাই কলেজে বোমাবাজি শুরু করে।” যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি জয়ন্ত পাল বলেন, “যারা শান্তিপুর কলেজে গোলমাল করছে, তারা আমাদের সংগঠনের কেউ নয়। এরা এসএফআই থেকে আমাদের সংগঠনে যোগ দিতে এসেছিল, আমরা ওদের দলে নিইনি। এই ঘটনায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা আমাদেরই সদস্য। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।”
কলেজের অধ্যক্ষ বিমল গোস্বামী বলেন, “কলেজের ভিতরে দু’টি দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।” |