নিজস্ব সংবাদদাতা • পুড়শুড়া |
রবিবার পুড়শুড়ার শ্যামপুর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ঘরে ফেরাল মহকুমা প্রশাসন। এ দিন দুপুরে আধা সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তায় তাঁদের ফেরানো হয়। তার আগে, আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী এবং এসডিপিও রাজনারায়ন মুখোপাধ্যায় তাঁদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। শনিবার রাতে পুড়শুড়া থানার ওসি পার্থ পাল তৃণমূল নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। মহকুমাশাসক বলেন, “তৃণমূলের তরফে ২২৪ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। সকলকেই ঘরে ফেরানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব রাজনৈতিক দলকেই বার্তা পাঠানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশি নজরদারি ছাড়াও আধা সামরিক বাহিনীর রুট মার্চ চলবে।”
অবশ্য প্রশাসনের এই উদ্যোগের আগেই শনিবার বিকেলে শ্যামপুর পঞ্চায়েত এলাকার কিছু ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ঘরে ফিরছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ন্যাওটা গ্রামে তাঁদের সঙ্গে কিছু ‘অপরিচিত’ লোক দেখে উত্তেজনা ছড়ায়। দু’জনকে ধরে ফেলে মারধর করে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের দাবি, ওই দুই যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ১টি গুলিভর্তি পাইপগান এবং ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে বুবাই সামন্ত এবং দেবু হাইত নামে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুবাইয়ের বাড়ি পাটশ্যামপুরে। অপরজন কোটালপাড়ার বাসিন্দা। রবিবার আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সিপিএমের পুড়শুড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক সুখেন্দু অধিকারী বলেন, “ওই এলাকায় প্রকৃত পক্ষে কেউই ঘরছাড়া ছিলেন না। তৃণমূল স্রেফ রাজনীতি করার জন্য নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে শিবির করে কিছু গ্রামবাসীকে আটকে রেখেছিল। তাঁরা আমাদের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘরে ফিরছিলেন। কর্মী-সমর্থকরা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে, এই আশঙ্কায় ওরা গোলমাল পাকাল। উটকো কিছু লোক বন্দুক দেখিয়ে আতঙ্ক তৈরি করছিল।”
ধৃতরা দলের সক্রিয় কর্মী বলে জানান পুড়শুড়ার তৃণমূল নেতা পারভেজ রহমান। তাঁর অভিযোগ, “সিপিএম ষড়যন্ত্র করে ওঁদের মারধর করে, ব্যাগে অস্ত্র গুঁজে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ওরা অশান্তি বজায় রাখতে চাইছে।” সিপিএম ওই অভিযোগ মানেনি। |