|
|
|
|
বন্ধ উঠলেও স্বস্তি এখনও দূর অস্ৎ অশান্ত মণিপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
থাকল অবরোধ, উঠল বন্ধ। মণিপুরে। কিন্তু বন্ধ প্রত্যাহারের ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি বন্ধ সমর্থকদের অনেকেই। ফলে কাল সন্ধ্যায় মণিপুরে সদর হিল জেলা কমিটির অনির্দিষ্টকালীন বন্ধ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার অল্প পরেই বন্ধ সমর্থক ও আসাম রাইফেলসের মধ্যে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। জ্রালিয়ে দেওয়া হয় অন্তত ৯টি ট্রাক। খণ্ডযুদ্ধে জখম হন ৫৬ জন মহিলা। তাঁদের পাঠানো হয় কাংপোকপি মিশন হাসপাতাল ও স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কুকিদের দাবি, আসাম রাইফেল্স ১১ জন অবরোধকারীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে সকলকে না ছাড়লে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ঘটনা হল, পরের পর বন্ধ, অবরোধ ও আন্দোলনের ফেরে মণিপুরের সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। কাল ভোরে, নাগাদের বন্ধ প্রত্যাহার ও আজ ভোর থেকে সদর হিল দাবি কমিটির বন্ধ উঠে যাওয়ার ফলে তাঁরা কিছুটা স্বস্তির আশায়। কিন্তু কাল সন্ধ্যা ও রাতের গোলমালের পর সেই স্বস্তি আদৌ মিলবে কিনা নিজেরাই ধন্দে।
মণিপুরবাসীর দুর্দশার কথা বিবেচনা করে সদর হিল পৃথক জেলা দাবি কমিটি গত কালই বন্ধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। অবশ্য ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিলের মতোই সদর হিল পৃথক জেলা কমিটিও জানিয়ে দিয়েছে, জাতীয় সড়কগুলির উপরে ‘অর্থনৈতিক অবরোধ’ অব্যাহত থাকবে। ফলে, স্থানীয়ভাবে যানবাহন চলাচল ও অফিস-বাজার শুরু হলেও বাইরে থেকে পণ্য আসার ক্ষেত্রে সমস্যা আপাতত রয়েই গেল।
সদর হিল জেলা দাবি কমিটির মুখপাত্র সেইখোথাং হাওকিপ বলেন, “মণিপুরবাসীর নাজেহাল অবস্থার কথা ভেবেই সার্বিক বন্ধ তুলে নেওয়া হল। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা ও আশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখালাম আমরা। তবে, সরকারের দিক থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে যে কোনও সময় ফের বন্ধ ঘোষণা করা হবে।” মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ এখন টোকিও সফরে রয়েছেন। দাবি কমিটির নেতারা রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের তীব্র সমালোচনা করেন।
তবে, বন্ধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি অবরোধকারীদের অনেকেই। বন্ধ শেষ করার কথা ঘোষণা হওয়ার পরেই কাল সন্ধ্যায় কাংপোকপি এলাকায় ৯টি ট্রাকে পর পর আগুন লাগিয়ে দেন বন্ধ সমর্থকেরা। এর পর রাতে আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা চড়াও হন বিক্ষোভকারীদের উপরে। লাঠি, বন্দুকের বাঁটের ঘায়ে জখম হন ৫৬ জন মহিলা। গুরুতরভাবে জখম ২০ জন মহিলাকে কাংপোকপি মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকি ৩৬ জনকে কাংপোকপি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
অন্য দিকে, গত কাল, কাথা লামখাই এলাকায় আসাম রাইফেলসের কনভয় লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছোড়া হয়। এতে জখম হন দুই জওয়ান। |
|
|
|
|
|