এক মাস বাদে সেনসেক্স ফের ১৭ হাজারের ঘরে। বুধবার ২০২.১৯ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স পৌঁছে যায় ১৭,০৬৫ অঙ্কে। মঙ্গলবারও সূচক বেড়েছিল ১৪৯.৪৮ পয়েন্ট। এ দিন কিন্তু আর গুটিকয়েক সংস্থার শেয়ার নয়, বাজার বেড়েছে সার্বিক ভাবে। “মনে রাখতে হবে, ভারত একটি দ্রুত এগিয়ে চলা অর্থনীতি। কিছুটা সমস্যা রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। আশা করি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তা বাগে আনতে সমর্থ হবে। আমার বিশ্বাস, আর মাস দুয়েক পর থেকেই শেয়ার বাজারে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করবে,” দাবি পিয়ারলেস মিউচুয়াল ফান্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও অক্ষয় গুপ্তের। কেবল অক্ষয়বাবুই নন, অনেকটা একই মত পোষণ করেন প্রবীণ বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে। অজিতবাবু জানান, “আশা করছি অবস্থা ভালর দিকেই যাচ্ছে। তবে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে ১৫ সেপ্টেম্বরের পর। কারণ, তখনই জানা যাবে, কোম্পানিগুলির কাছ থেকে আগাম আয়কর আদায় বাড়ল, না কমল। এই তথ্য শেয়ার বাজারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্র্। দেশের শিল্প ক্ষেত্রের অবস্থার একটি চিত্রও পাওয়া যাবে এই তথ্য থেকেই। যেটা বিশেষ ভাল লক্ষণ, তা হল, সূচকের অন্তর্গত অল্প কয়েকটি সংস্থার শেয়ার দরই নয়, সূচকের বাইরের নথিভুক্ত সংস্থার দরও বাড়তে শুরু করেছে।”
মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা সত্ত্বেও ভারতের শেয়ার বাজারের প্রতি বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির যে আস্থায় ভাটা পড়েনি, তার প্রমাণও মিলেছে সাম্প্রতিক কালে তাদের বিনিয়োগ দেখে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, গত মঙ্গলবারই ভারতের বাজারে ওই সব সংস্থা ৪৩১.৪৮ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলিও পড়তি বাজারে টানা শেয়ার কিনে চলেছে বলে বাজার সূত্রের খবর। যে কারণেই বাজার ক্রমশ চাঙ্গা হচ্ছে।
তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের আর্থিক সমস্যাকে যে উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই, তা অবশ্য কবুল করেছেন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই। তবে অজিতবাবু বলেন, “ভারতের নিজস্ব মজবুত আর্থিক অবস্থা যদি ভবিষ্যতে শেয়ার বাজারকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের সমস্যা উপেক্ষা করার জায়গায় নিয়ে যায়, তাতে আমি অবাক হব না।”
যে সব ক্ষেত্রের সংস্থার শেয়ার দর এই দিন উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক, নির্মাণ শিল্প, ধাতু, ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা। |