আমাদের স্কুল

হাঁটাল বিশালাক্ষী হাইস্কুল
ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৮২২।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ২৩।
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকা ২।
পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকা ৬।
করণিক ২।
শিক্ষাকর্মী ৩।
২০১১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৩০, উত্তীর্ণ ১০০।
২০১১ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৯৯, উত্তীর্ণ ৯২।


সমস্যা থাকলেও মানিয়ে
নিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা


দিলীপকুমার মহাপাত্র
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের হাঁটাল গ্রামে ১৯৫৮ সালের ১৬ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে হাঁটাল বিশালাক্ষ্মী হাইস্কুলের। হাঁটাল এবং তার পাশের গ্রাম বোহারিয়ার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী মানুষের উদ্যোগেই তৈরি হয় স্কুলটি। স্কুলের কাছেই রয়েছে বিশালাক্ষ্মীদেবীর মন্দির। সেই কারণে দেবীর নামেই স্কুলের নামকরণ করা হয়। প্রথমে এটি ছিল জুনিয়র হাইস্কুল। ১৯৬৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদন পায় স্কুলটি। ওই বছরেই স্কুলটি উন্নীত হয় হাইস্কুলে। ২০০২ সালে স্কুলটি পরিণত হয় উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে। প্রথমে ছোট একটি ভবনে স্কুলটি চালু হলেও পরবর্তীকালে এলাকার শিক্ষাদরদী মানুষ জন প্রতিনিধি, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সর্বশিক্ষা প্রকল্পের অর্থানুকুল্যে স্কুলের পরিকাঠামোর বৃদ্ধি ঘটেছে। ২০০৭-৮ সালে স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। উৎসব কমিটির সদস্যরাও স্কুলের উন্নতিতে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন।
স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা। পঠন-পাঠনের পাশাপাশি রয়েছে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চা। ছাত্র-ছাত্রীরা তো বটেই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অভিভাবকদের নিয়ে আমরা নিয়মিত বৈঠক করি। ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিকতা তৈরির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অবদান কী রকম হওয়া উচিত তা খোলাখুলি আলোচনা করা হয়। তবে প্রতিকূলতাও কম নয়। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার অনুপাতে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাব রয়েছে। গ্রন্থাগার থাকলেও নেই গ্রন্থাগারিক। খেলার মাঠ নেই। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পূর্ণ সময়ের প্রশিক্ষক নেই। তবে কিছু অভাব থাকলেও একটা কথা বলতে পারি, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী, অভিভাবক, পরিচালন সমিতির সব সদস্য এবং গ্রামবাসীদের নিয়ে আমাদের স্কুল একটি সুখী পরিবার।

আমার চোখে

কুন্তল মাজি
প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর কাছেই তার স্কুল হল খুব প্রিয়। আমার ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। আমি পঞ্চম শ্রেণী থেকে এই স্কুলে পড়ছি। যে বিষয়টি আমার নজর কাড়ে তা-হল স্কুলের নিয়মানুবর্তিতা। প্রতিটি কাজ চলে নিয়ম মেনে। এতে আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম থেকেই নিয়মনিষ্ঠ হতে চেষ্টা করি। এই নিয়মানুবর্তিতা আমাদের ভবিষ্যতের পক্ষে যথেষ্ট ভালো হবে বলে আমি মনে করি। পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে আমাদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যত্ন রয়েছে। কোনও বিষয় বুঝতে না-পারলে আমরা তাঁদের কাছে বিষয়টি ফের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। তাঁরা আমাদের জটিল বিষয় ফের বুঝিয়ে দেন। সেই কারণেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আমাদের স্কুলের ফল যথেষ্ট ভাল হয়। খেলাধুলা এবং শরীর চর্চার ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা নিয়মিত অনুশীলন করান। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও আমরা নিয়মিত অংশগ্রহণ করি। সব মিলিয়ে এই স্কুলে পড়াশোনা করা আমার কাছে এক সুখকর অভিজ্ঞতা।

—নিজস্ব চিত্র।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.