নতুন মরসুম শুরু হওয়ার আগেই ব্যারেটো-ওডাফাদের সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন টোলগে ওজবে। মঙ্গলবার যুবভারতীতে রয়্যাল ওয়াহিংদোর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে জোড়া গোল করার পর লাল-হলুদের অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার বললেন, “নাম দিয়ে ফুটবল খেলা হয় না। গত মরসুমেও তো বড় বড় ফুটবলার ছিল মোহনবাগানে। কী হল? কে সেরা তার জবাব মাঠেই দেব। মুখে নয়।”
চ্যাপম্যানের রয়্যাল ওয়াহিংদোকে এ দিন ৪-১ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল। জোড়া গোল করলেও মাঠে টোলগের চেয়ে বেশি চোখ টানলেন ট্রেভর মর্গ্যানের নতুন আবিষ্কার অ্যালান গাও। বাইশ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের ইনসুইংয়ে একটা চোখ ধাঁধানো গোল করলেন। যা দেখে বিপক্ষ কোচ চ্যাপম্যানও মুগ্ধ, “অদ্ভুত গোল। এত ভাল গোল অনেক দিন বাদে দেখলাম। বাঁ পায়ে এতটা সুইং করাল? ভাবতেই পারছি না। ছেলেটা কিন্তু লম্বা রেসের ঘোড়া।” ইস্টবেঙ্গলের আর এক গোলদাতা উগা ওপারা। |
স্কটিশ ফুটবলারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মর্গ্যানও। এমনকী টোলগে আর গাও-র মধ্যে কোথায় পার্থক্য, সেটারও ব্যাখা দিলেন তিনি। বলছিলেন, “দু’জন আলাদা মানসিকতার ফুটবলার। টোলগে খুব ছটফটে। গোলটা খুব ভাল চেনে। দলের গোল মেশিন। সেখানে গাও প্রচণ্ড বুদ্ধিমান ফুটবলার। গাও-র সবচেয়ে ভাল হল, ওকে যেখানে খুশি ব্যবহার করা যাবে।” পেন অবশ্য টোলগেকেই এগিয়ে রাখছেন, “টোলগে অন্য মাপের ফুটবলার। গাও ভাল খেলে। কিন্তু টোলগের গতি আর টাইমিং অসাধারণ।”
গাও এসে পড়ায় এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে বিদেশিদের মধ্যে। মর্গ্যানের প্রথম দলে কোন তিন বিদেশির ঠাঁই হবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। যার এক ঝলক পাওয়া গেল খোদ যুবভারতীতেই। মঙ্গলবারের ম্যাচে পেনকে বাইরে রেখে প্রথম এগারো নামিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ। ফরোয়ার্ডে টোলগে। রক্ষণে ওপারা। সেন্টার হাফ গাও। পেনের কিন্তু সেটা একেবারেই পছন্দ হয়নি। সারাক্ষণ মাঠের বাইরে মুখ গোমড়া করেছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ পেয়েই নিজের রাগ উগরে দিলেন এই নাইজিরিয়ান মিডিও। একটা ফ্রি কিক যেটা মারার কথা গাওয়ের, সেটা কাউকে না জিজ্ঞেস করে নিজেই মেরে দিলেন। বোঝা গেল, লড়াই চলছে অন্দরেও। ইস্টবেঙ্গলে কোনও স্থায়ী ফিজিও নেই। তাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের মনোবিদ এবং ফিজিও বাসু এসকে ফিজিও হিসেবে রাখতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। এ দিন মাঠে ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন বাসু। বললেন, “কথাবার্তা মোটামুটি হয়ে গিয়েছে। কোচের সঙ্গে একবার আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” বাসুর প্রধান কাজ হবে চোটের কবলে পড়ে থাকা ফুটবলারদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ করে তোলা। মোহনবাগানে যে কাজটা করছেন জোনাথান কর্নার। এ দিকে, প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে ৪-০ গোলে হারাল প্রয়াগ ইউনাইটেড। জোড়া গোল করলেন জোসিমার। একটি করে গোল সৌমিক চক্রবর্তী এবং ক্রিস্পেন ছেত্রীর। আজ প্রয়াগের অনুষ্ঠানে আসছেন বিশিষ্ট গায়ক অজয় চক্রবর্তী। রবিবার পৈলান অ্যারোজের সঙ্গে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে সাহায্য করা হবে বিখ্যাত কোচ মুরারি শুরকে। |