অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর আমিষ খাওয়া ছাড়তে হয়েছে। কাল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে বলেছিলেন, ইলিশের স্বাদ নিতে এক দিনের জন্য হলেও তিনি নিরামিষ ছাড়তে রাজি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পৌঁছে তিনি মধ্যাহ্নভোজনে নিরামিষই খান। কিন্তু মনমোহনের সম্মানে ‘সোনার গাঁও’ হোটেলের নৈশভোজ দেন শেখ হাসিনা। ভাপা ইলিশের সঙ্গে আরও নানা রকম পদ ছিল। সেখানে কিন্তু কথা রেখে ইলিশের স্বাদ চেখে দেখলেন মনমোহন।
|
মনমোহনকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিরাট গাড়ির কনভয় তৈরি ছিল। তার আগে বিমানবন্দরেই তৈরি একটি মঞ্চে উঠলেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজল। দু’টিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। তার পর প্রধানমন্ত্রীর জন্য রাখা নির্দিষ্ট বিএমডব্লিউ গাড়িতে উঠলেন মনমোহন। তাঁর সফরসঙ্গী অসম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীদের জন্যও আলাদা আলাদা গাড়ি রাখা হয়েছিল। শুধু খালি গেল একটা গাড়ি। তার বাইরে লেখা ছিল, ‘চিফ মিনিস্টার, ওয়েস্ট বেঙ্গল’।
|
বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ আগের বার ঢাকায় এসে বিরোধী দল বিএনপি-র কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করেছিলেন নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে। বুধবার খালেদা কিন্তু নিজেই আসছেন ‘সোনার গাঁও’ হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। বিএনপি-নেতৃত্ব ভারতকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, এত দিন যে ভারত-বিরোধিতার তাস তাঁরা খেলেছেন, এখন নিজেরাই সেখান থেকে বেরোতে চাইছেন। আর্থিক উন্নতির জন্য ভারতকে দরকার বাংলাদেশের।
|
মনমোহনের সফরের ৪৮ ঘণ্টা আগের খবর, মমতা আসছেন না। তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত। প্রথমটি হতাশাজনক হলে দ্বিতীয়টি হৃদয়বিদারক। মঙ্গলবার মনমোহন ঢাকায় পা রাখলেন বটে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশাই যেন শেষ। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন এক অফিসার, “এই সময়ে জ্যোতিবাবু থাকলে...।” সমস্বরে তাঁকে সমর্থন করলেন বাকিরা।
|
ঢাকায় মঙ্গলবারেই আর্জেন্তিনা-নাইজেরিয়ার ফুটবল ম্যাচ। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ভারতীয় সাংবাদিকরা যে হোটেলে রয়েছেন, সেই ‘রূপসী বাংলা’ হোটেলেই উঠেছেন মেসিরা। হোটেল মেসিদের জন্য সেজে উঠেছে সাদা-নীলে। ম্যাচ দেখার জন্য ঢাকায় ভিড়। ঢাকার দুই গুরুত্বর্পূণ অতিথি তাই এখন ম-এ মনমোহন আর ম-এ মেসি। অনুপস্থিত শুধু ম-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। |