হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে রোগী নিখোঁজ হলেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শল্য বিভাগ থেকে বেলা ১১ টা নাগাদ এক রোগী নিখোঁজ হন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ রোগীর নাম অনিল বিশ্বাস। বয়স ৬০ বছর। বাড়ি তিনবাতির শান্তিপাড়া এলাকায়। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বার হওয়ায় প্রথমে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এবং পরে গত বৃহস্পতিবার তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, রোগী ওয়ার্ডে নেই বিষয়টি নজরে আসার পর ওয়ার্ডের নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের তা জানানো হলেও তারা গুরুত্ব দিতে চাননি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা নাগাদ ওয়ার্ড মাস্টারদের স্বাস্থ্য কর্মীরা তা জানান। এর পরও রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়নি। ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবারের লোকেরা এর পর নিজেরাই মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে রোগী নিখোঁজ বলে অভিযোগ দায়ের করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। বেলা ১১ টা থেকে নিখোঁজ হলেও সব জেনে বুঝেও পুলিশকে খবর দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেন গাফিলতি করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। অনিলবাবুর ছেলে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বাবা নিখোঁজ হলেন কী করে বুঝতে পারছি না। হাসপাতালের নার্সদের, স্বাস্থ্যকর্মীদের তা জানানো হলেও এ দিন রাত পর্যন্ত তারা রোগীকে খুঁজতে বা পুলিশকে জানাতে কোনও চেষ্টাই করেননি দেখে অবাক হই। দিনভর নিজেরাই হাসপাতাল চত্বরে খোঁজ করেছি। রাতে পুলিশকে আমরা জানাই।”
করিডরে সম্মেলন। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগের করিডরে কর্মচারী সংগঠনের সম্মেলন করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার হাসপাতালে প্রসূতিদের বহির্বিভাগের সামনে করিডরে শাসকদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল নন গেজেটেড হেল্থ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ওই সম্মেলন হয়। ইউনিফায়েডের ওই সংগঠনের সম্মেলন উপলক্ষে হাসপাতাল চত্বরে সংগঠনের ফেস্টুন, ব্যানার লাগানো হয়। হাসপাতালের সুপার সুশান্ত সরকার জানিয়েছেন, জায়গার অভাবে হাসপাতাল কর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন বা চিকিৎসকদের সংগঠন সকলেই শনিবার বিকালে অথবা রবিবার ছুটির দিনে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলে করিডরে সম্মেলন করে। তবে মাইক নিষিদ্ধ। সেখানে খাওয়ার আয়োজন করা হলে তা পরিষ্কার দিতে হয় সংশ্লিষ্ট সংগঠনকেই।” |