কখনও মিছিল, কখনও সভা, কখনও আবার শ্মশানযাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা সবই চোখের দাবিতে। সারাভারত অন্ধত্ব দূরীকরণ পক্ষপালন উপলক্ষে এ ভাবেই ছুটে বেড়াচ্ছেন শ্রীরামপুর সেবাকেন্দ্র ও চক্ষুব্যাঙ্কের সদস্যরা। এই উপলক্ষে গত ২৫ অগস্ট থেকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রথম দিন শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে সভা করা হয়। পরের দিন দিবা-রাত্র প্রচার চলে কেওড়াতলা শ্মশানে। এর পরে বিভিন্ন জায়গায় দিনে-রাতে এ বিষয়ে নিরন্তর প্রচার চালানো হচ্ছে। বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। চিকিৎসক-নার্সদের নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে আলোচনা সভা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বর্তমানে এ দেশে ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কনির্র্য়াজনিত কারণে দৃষ্টিহীন। কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করলেই এঁদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব। সারা দেশে বছরে ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ, বছরে মরণোত্তর কর্নিয়া পাওয়া যায় মাত্র ৪০-৪৫ হাজার। প্রতি বছর প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ কনির্র্য়াজনিত কারণে দৃষ্টিহীনের তালিকায় যুক্ত হন। |
চক্ষুদান নিয়ে আলোচনাসভা শ্রীরামপুরে।—নিজস্ব চিত্র। |
শ্রীরামপুর সেবাকেন্দ্র ও চক্ষুব্যাঙ্কের সদস্যরা জানান, মূলত অজ্ঞতা এবং কুসংস্কারের ফলেই মৃতের চোখ দান করতে চান না আত্মীয়স্বজনেরা। আবার চিকিৎসক-নার্সদের উদাসীনতার কারণেও অনেক সময় মরণোত্তর কর্নিয়া সংগ্রহে সমস্যা তৈরি হয়। বহু ক্ষেত্রে প্রচারের অভাবও এ জন্য দায়ী। গত কয়েক বছরে শ্রীরামপুর সেবাকেন্দ্র ও চক্ষুব্যাঙ্কের নিরন্তর প্রয়াস এই শহর তো বটেই, আশপাশের এলাকাতেও চক্ষুদান আন্দোলনে গতি এনেছে অনেকটাই। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে কর্নিয়া সংগ্রহের কাজে এক নম্বর স্থানে রয়েছে শ্রীরামপুরের এই সংগঠন। |