পুজোয় বৃষ্টির আভাস
কাশের বনে সাদা ফুলের বাতাসে মাথা দোলানো, সকালের রোদে কিছুটা নরম ছোঁয়ায় চারদিকেই পুজোর আভাস। অগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকেই উত্তরের আকাশে টুকরো টুকরো সাদা মেঘ শরতের বার্তা নিয়ে এসেছে। তবে পুজোর দিনগুলিতে এমন নীল আকাশে মেঘের ভেলার পরিবেশ নাও থাকতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এ বছর পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই দফতরের হিসেব বলছে, এ বছর পুজো পড়েছে বর্ষা মরসুমেই। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর হাত ধরেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা আসে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায় নেয় অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ক্যালেন্ডারের হিসেব ধলে ১০-১২ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে বর্ষা থাকে। সাধারণত মৌসুমী বায়ু বিদায় নেওয়ার আগে দু’এক পশলা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকে। এ বছর দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে ২ অক্টোবর। সেই হিসেবে পুজোর সময়ে ঝিরঝিরে বা হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সুত্রে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি চলতি বছরে বর্ষার মরসুমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। সেক্ষেত্রে মরসুমের একেবারে শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি সেচ দফতরের আধিকারিকেরা। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত বলেন, “উত্তরের আকাশ থেকে বর্ষা বিদায় নেয় অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এ বছর পুজো কিন্তু উত্তরবঙ্গে বর্ষার মধ্যেই পড়েছে। সেক্ষেত্রে পুজোর দিনগুলি মেঘমুক্ত আকাশ থাকবে একথা বলা যাচ্ছে না। বরঞ্চ ঝিরঝিরে বৃষ্টির আশঙ্কাই বেশি। যদিও এখনই হলফ করে সেটা বলা সম্ভব নয়। তবে পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছেই।” অভিজ্ঞতায় এমনও দেখা গিয়েছে সেপ্টেম্বেরের শেষের দিকে উত্তরবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ষা বিদায়ের ঘটনা নেহাত ব্যাতিক্রম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ইন্দ্রনীলবাবুর কথায়, “সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে এ ঘটনা উত্তরবঙ্গে বিরল। সাম্প্রতিক কালে তার নজির নেই।” এ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই উত্তরের পুজো উদ্যোক্তার কাছে আবহাওয়া দফতরের পরামর্শ, বৃষ্টির আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে পুজো মন্ডপে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। পুজো মন্ডপে অবশ্যই ত্রিপল বা পলিথিন ব্যবহার করতে হবে। বৃষ্টি হলে মন্ডপে জল জমে কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়া ঠেকাতে মন্ডপের পাশে বালি মজুত করে রাখা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে জমা জলে বালি ফেলে কাদা আটকানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি মন্ডপের আশেপাশে মাটি কেটে বেশ কয়েকটি নিকাশি নালা তৈরি করলেও বৃষ্টির জল বেরিয়ে যেতে পারে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “এ বছর তো আগেই পুজো হচ্ছে। যদি দেখা যায় পুজোর ৫-৬ দিন আগেও বৃষ্টি চলছে, তবে শহরের পুজো উদ্যোক্তাদের ডেকে বৈঠক করে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.