|
|
|
|
টেক্সটাইল কলেজে অচলাবস্থা কাটেনি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
বহরমপুরের গভর্মেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল টেকনোলজি কলেজের অচলাবস্থা এখনও কাটেনি। গত ২৯ অগস্ট থেকে ছাত্র আন্দোলনের জেরে বন্ধ রয়েছে কলেজের পঠনপাঠন। এমনকী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরও কলেজের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে আন্দোলনকারীরা। ফলে কলেজের বাইরে ক্যান্টনমেন্ট রোডে বসে থাকতে হচ্ছে কলেজ শিক্ষকদের।
এরই মধ্যে কলেজের যাবতীয় সমস্যা কত দিনের মধ্যে সমাধান হবে, তা জানতে চেয়ে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে চিঠি জমা দেওয়ার পাশাপাশি ডিরেক্টর অফ টেকনিক্যাল এডুকেশনকে ফ্যাক্স বার্তা পাঠান স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্যরা। তার আগে গত বৃহস্পতিবার স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যক্ষ চক্রধর দত্ত। কিন্তু সমাধানসূত্র মেলেনি। বৈঠকে হাজির পড়ুয়ারা দীর্ঘসূত্রী পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন। চক্রধরবাবু বলেন, “ছাত্রদের দাবিগুলো নিয়ে কলকাতায় ডিরেক্টর অফ টেকনিক্যাল এডুকেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে পিএসসি-র মাধ্যমে শিক্ষক ও অন্য কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে কথা হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেনিং অ্যান্ড প্লেসমেন্ট পদে শ্রীরামপুর কলেজে যিনি রয়েছেন, তাঁকে অতিরিক্ত কলেজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি সপ্তাহে এক দিন করে বহরমপুরে আসবেন।”
কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষকে ওই সময় দিতে রাজি নয় কলেজ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্যরা। স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ্ত পাণ্ডে বলেন, “শিক্ষক পদ তৈরি না করেই ২০১০ থেকে কলেজে মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিয়ারিং কোর্স চালু হয়েছে। ওই দুটি কোর্সে শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে এক বছর ধরে টালবাহানা চলেছে। তাই নয়, ল্যাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে টেকনিক্যাল স্টাফ এবং লাইব্রেরি অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগে উদ্যোগী হয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।” তাঁর অভিযোগ, ২০০৭-এ কল্যাণী গভর্মেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল টেকনোলজি-র টিপিও কলেজের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। তিনি গত বছর দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তাঁর আমলে কোনও নিয়োগ হয়নি। |
|
|
|
|
|