|
|
|
|
শিক্ষক দিবসে আমন্ত্রিত নন মন্ত্রীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
শিক্ষক দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির মুর্শিদাবাদ জেলা শাখা।
আজ, সোমবার শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দফতর বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে জেলা কংগ্রেসের দুই মন্ত্রী, আবু হেনা ও মনোজ চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদে তারা অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেসের জেলা শিক্ষা সেল। তারা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী, বহরমপুরের বিধায়ক তথা পরিষদীয় দফতরের প্রতিমন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী-সহ পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্যকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে প্রতিবাদ জানায়। এ বিষয়ে তারা পৃথক ভাবে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছে।
মৎস্যমন্ত্রী আবু হেনা বলেন, “ওই অনুষ্ঠানের হাজির থাকার জন্য আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগই করেননি। অনুষ্ঠানে থাকতে পারলে ভাল লাগত।” আর পরিষদীয় দফতরের প্রতিমন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোকে ঘোর অপমান হিসেবেই দেখছেন। তাঁর কথায়, “অনৈতিক কাজ করেছে জেলা শিক্ষা দফতর।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভেন্দু দত্ত অবশ্য বলেন, “ওঁরা অনুষ্ঠান বয়কট করবেন কিনা আমার জানা নেই। তবে সমস্ত শিক্ষক সংগঠনের উপস্থিতিতে প্রতি বছর ওই অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। কোনও শিক্ষক সংগঠন অনুপস্থিত না থাকলে তা দুর্ভাগ্যজনক।” তিনি জানান, অতীত-অভিজ্ঞাতা বলছে, এর আগেও মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা আসেন না। তাই এ বার আর আলাাদা করে তাঁদের আমন্ত্রণ করা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়নি।
ডব্লুবিটিএ-র জেলা সভাপতি মহফুজ আলম ডালিম অবশ্য পাল্টা বলেন, “গত ২৯ জুলাই বহরমপুর সার্কিট হাউসে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে জেলার তিন মন্ত্রীকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আমন্ত্রণপত্র ছাপা হওয়ার পরে দেখছি তিন মন্ত্রীর নাম নেই। কোনও বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ব্যক্তিগত আক্রোশ চরিতার্থ করতেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরাও অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” |
|
|
|
|
|