পাঁশকুড়ার হাউর গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়েছে বলে জানাল প্রশাসন। সিপিএমের প্রধান লক্ষ্মীকান্ত সামন্ত ওই পদে বহাল থাকছেন বলে প্রতিটি পঞ্চায়েত সদস্যকে শনিবার লিখিত চিঠি পাঠিয়েছেন পাঁশকুড়ার বিডিও।
হাউর পঞ্চায়েতের ১৭ জন সদস্যের মধ্যে ১০ জম বামফ্রন্টের আর ৭ জন তৃণমূলের। প্রধান লক্ষ্মীকান্তবাবুর বিরুদ্ধে উন্নয়নে ব্যথর্তার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের ৭ জন অনাস্থা প্রস্তাব আনলে গত ২৫ অগস্ট পাঁশকুড়ার বিডিও তলবি সভা ডাকেন। ওই সভায় প্রধান-সহ ৮ জন বাম সদস্য অনুপস্থিত থাকলেও তৃণমূলের ৭ ও সিপিএমের দুই সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বিডিও’র প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ওই দিন অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সভায় প্রথমে ধ্বনি ভোট হয়। তাতে ৮ জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করেন। এক জন সিপিএম সদস্য ভোটদানে বিরত থাকেন। এরপর অধিকাংশ সদস্যের দাবি মেনে প্রকাশ্য ব্যালটে ভোটদানের ব্যবস্থা হয়। এই সময় তৃণমূলের ৭ সদস্য অনাস্থার পক্ষে ভোট দিলেও সিপিএমের দুই সদস্য চিত্তরঞ্জন দোলই ও নীলিমা গঙ্গোপাধ্যায় ভোটদানে বিরত থাকেন। নয়টি ভোট দরকার বুঝতে পেরে সিপিএমের ওই দুই সদস্যকে ভোট দেওয়ার দাবি ওঠে। যদিও নিয়ম মেনে তাঁদের ভোটগ্রহণ হয়নি। এই নিয়ে চাপানউতোর হওয়ায় তলবি সভার রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়ে দেয় ব্লক প্রশাসন। পরে বিডিও চিঠি দিয়ে জানান, পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রাহ্য নয়। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপ্তি জানা বলেন, “আমাদের সাত জন ছাড়াও সিপিএমের দুই সদস্য অনাস্থার পক্ষে সায় দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান সিপিএমের প্রধানের ওই পদে থাকার কোনও নৈতিক যোগ্যতা নেই।” অন্য দিকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে খুশি সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি বলেন, “আমাদের দু’জন পঞ্চায়েত সদস্যকে জোর করে নিজেদের পক্ষে সমর্থন করাতে চেয়েছিল তৃণমূল। ওদের সেই উদ্দেশ্য ব্যথর্র্ হয়েছে।” |