দলের বিরুদ্ধে ‘জুলুমবাজি’র একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকায় অস্বস্তিতে পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। গড়বেতা, কেশপুর, নারায়ণগড় থেকে শুরু করে চন্দ্রকোনা, মেদিনীপুর সদর সর্বত্রই কমবেশি অভিযোগ উঠছে। ঘটছে গোষ্ঠী সংঘর্ষ। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের ‘সংযত’ করতে তৎপর হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার রাতে মেদিনীপুর শহরে এক বৈঠক করেন জেলার নেতারা।
ক’দিন আগে কেশপুরের দুই সিপিএম নেতার পরিবারকে ‘সামাজিক বয়কট’ করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই প্রেক্ষিতে বৈঠকে তলব করা হয় কেশপুরের তৃণমূল নেতাদের। উপস্থিত ছিলেন দলের কেশপুর ব্লক সভাপতি চিত্ত গড়াই। কেন বার বার কেশপুরে জোর-জুলুমের অভিযোগ উঠছে, সভাপতি-সহ ব্লক নেতাদের কাছে তা জানতে চাওয়া হয়। বৈঠক চলাকালীন দলীয় কর্মীদের মধ্যে বচসা বাধে বলে সূত্রের খবর। শেষে জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। চিত্তবাবুদের দাবি, দীর্ঘদিন যাঁরা সিপিএম করেছেন, এখন তাঁরাই তৃণমূলের নাম নিয়ে জোর-জুলুম করছেন। এমন ‘অস্বস্তিকর’ পরিস্থিতি এড়াতে কেশপুরের প্রতিটি অঞ্চলে দলীয় বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের মতে, অঞ্চলস্তরে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ২০০৯- এর লোকসভা ভোটের পরে যাঁরা দলে এসেছেন, তাঁদের কোনও পদ দেওয়া যাবে না। কোনও ভাবেই গোষ্ঠী রাজনীতি চলবে না।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “দীর্ঘধিন ধরে সিপিএম ওই এলাকায় সন্ত্রাস করেছে। ভোটে মানুষ তার জবাব দিয়েছেন। সিপিএম যে পথে সন্ত্রাস করেছে, তৃণমূলের কেউ যদি সেই পথে এগোনোর চেষ্টা করেন, তা বরদাস্ত করা হবে না। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।” কেশপুরের প্রতিটি অঞ্চলে বৈঠক হওয়ার পর ফের জেলাস্তরে এক বৈঠক হবে বলে জানান তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ। তাঁর কথায়, “দলবিরোধী কাজ করলে শাস্তি পেতেই হবে। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটছে। সব অভিযোগই খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” |