জোড়া গোল ছত্রধরের ছেলের |
জেলায় শুরু হল ‘জঙ্গলমহল কাপ’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একটা সময় গুলি-বোমার শব্দে ভারী হয়ে থাকত বাতাস। সন্ত্রস্ত মানুষজন জীবনের ছন্দ ভুলেছিলেন। এই অবস্থা পাল্টাতে জঙ্গলমহলের নানা স্থানে পুলিশের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল ফুটবল প্রতিযোগিতা। এ বার জঙ্গলমহলের ৩ জেলা জুড়েই ফুটবলের আয়োজন। উদ্যোক্তা পুলিশই। |
|
রবিবার শালবনিতে খেলা।-নিজস্ব চিত্র। |
শনিবার পুরুলিয়ার বলরামপুরে উদ্বোধন হয়েছিল ‘জঙ্গলমহল কাপ’-এর। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে এই প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) জুলফিকার হাসান, জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি। মাওবাদী উপদ্রুত লালগড়, শালবনি থেকে সাঁকরাইল, সর্বত্রই খেলবে এলাকার ছেলেরা। মাঠে ভিড়ও যথেষ্ট। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি বলেন, “শান্তির জন্যই এই টুর্নামেন্ট। এর ফলে গ্রামের অনেক ফুটবল প্রতিভা সামনের সারিতে উঠে আসবে।” যাঁর নেতৃত্বে লালগড়ে ‘পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনগণের কমিটি’ গড়ে উঠেছিল, সেই ছত্রধর মাহাতোর ছেলে ধৃতিপ্রসাদও এ দিন লালগড়ের মাঠে ফুটবল খেলেন। |
|
সারেঙ্গা
একাদশের সঙ্গে ভালুকখুন্যা ছন্দবাসী স্পোর্টিং ক্লাবের। খেলা ছবি: উমাকান্ত ধর। |
প্রথম রাউন্ডের খেলায় তাঁর জোড়া গোলেই বামাল নেতাজি সঙ্ঘকে হারিয়ে জয়ী হয় আমলিয়া বয়েজ অ্যাথলেটিক ক্লাব। প্রথম খেলায় জোড়া গোল করে খুশি ধৃতিপ্রসাদ। তাঁর কথায়, “আরও ভাল খেলার চেষ্টা করব।”
রবিবার লালগড় রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছিল ফুটবলের আসর। সাঁকরাইলের মাঠে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিনীত গোয়েল। খেলা হয়েছে শালবনিতেও। জনসংযোগ বাড়াতে জন্য গত বছরও লালগড়ে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল জেলা পুলিশ। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলা-সহ জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৬টি থানা এলাকার ৬৮৮টি দল এই ‘জঙ্গলমহল কাপ’-এ যোগ দিচ্ছে। মাওবাদী উপদ্রুত হিসেবে পরিচিত এলাকার ৩০টি মাঠে মোট ৬৮৭টি খেলা হবে। পরে প্রশিক্ষণের জন্য টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারদের জার্মানির মিউনিখে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে পুলিশ। জেলা পুলিশের বক্তব্য, গ্রামবাসীরাও এই উদ্যোগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সকলেই চাইছেন, আর অশান্তি নয়, এলাকায় জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় থাকুক। |
|