চলে গেলেন ভারতীয় টেনিসের পিতামহ
‘ভারতীয় টেনিসের পিতামহ’ পরিচয়ে এ দেশের টেনিসমহলে বিখ্যাত সুমন্ত মিশ্র মারা গেলেন। কলকাতার সাউথ ক্লাবে চল্লিশের দশক থেকে পরের দু’দশক দিলীপ বসু, নরেন্দ্র নাথ, এমনকী রামনাথন কৃষ্ণনের সঙ্গেও প্রচুর ম্যাচ খেলা ছয় ফুট দুই ইঞ্চি দীর্ঘকায় কিংবদন্তি টেনিস তারকার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ৮০ বছর বয়সেও দিল্লি জিমখানার কোর্টে তাঁকে র্যাকেট হাতে মাঝেমধ্যে দেখা গেছে। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট ও পরের দিকে ইন্ডিয়ান এলুমিনিয়াম সংস্থায় কর্মরত ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস ব্যক্তিত্ব সুমন্ত আশির দশক থেকে দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন। রেখে গিয়েছেন স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই কন্যাকে। যাঁদের মধ্যে গৌরব মিশ্র বাবার মতোই ভারতকে ডেভিস কাপে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বর্তমানে আমেরিকায় টেনিস সেন্টারের ডিরেক্টর।
দীর্ঘ চেহারার জন্য মজা করে সুমন্তকে টেনিসমহলে ডাকা হত ‘টাইনি’ নামে। প্রচণ্ড জোরাল সার্ভিস আর ভলির জন্য বিখ্যাত সুমন্ত ১৯৪৭-’৫৬ টানা ১০ বছর ডেভিস কাপ খেলেন, ’৫২-’৫৩-এ ডেভিস কাপে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৪৬-এ ভারতের প্রথম জাতীয় টেনিস চ্যাম্পিয়ন সুমন্ত ওপেন যুগ-পূর্ব উইম্বলডনে জিমি মেটা-কে নিয়ে দু’বার ডাবলস কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেন পরপর ’৪৭ ও ’৪৮ সালে। তখনকার দিনে ভারতীয় টেনিসের ক্ষেত্রে যে কৃতিত্ব প্রায় অভাবনীয়। খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেও। পরে ষাটের দশকে তিনি দীর্ঘ দিন ডেভিস কাপ দলের নির্বাচক এমনকী ভারতীয় টেনিস সংস্থার সচিব পদ অলঙ্কৃত করেন। ছিলেন এআইটিএ-র কোচিং প্রোগ্রামের ডিরেক্টর।
সুমন্তর মৃত্যুতে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সুমন্ত মিশ্র দেশের অন্যতম নিখুঁত টেনিস প্লেয়ার কিংবা দক্ষ টেনিস প্রশাসকই শুধু ছিলেন না, বড় মনের মানুষও ছিলেন। আমার জুনিয়র টেনিসজীবনে প্রচুর সাহায্য করেছেন। টেনিসজীবনের সাফল্যর জন্য ওঁকেই সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দিই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.